×

মুক্তচিন্তা

প্রয়োজন সতর্কতা ও সচেতনতা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৬ এপ্রিল ২০১৯, ০৮:৩৭ পিএম

বৈশাখের তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। সূর্যের প্রচণ্ড উত্তাপে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। তীব্র গরমে রাজধানীতে ডায়রিয়া, আমাশয়, সর্দি, কাশিসহ পানিবাহিত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে।

চিকিৎসকরা বলছেন, উচ্চ তাপমাত্রার কারণেই পানিবাহিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষ করে ডায়রিয়া রোগ থেকে পরিত্রাণ পেতে দৈনন্দিন বিশুদ্ধ পানি ও টাটকা খাবার খাওয়ার পরামর্শ চিকিৎসকদের।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, বৃষ্টিপাত না হওয়ায় তাপমাত্রা বেশি। তাপপ্রবাহের এই দাপট থাকতে পারে আরো দুয়েক দিন। বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ বিরাজ করছে। এটি আজ-কালের মধ্যে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। এরপর বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা কমে যাবে। প্রকৃতির এই বিরূপ আচরণ মানুষের হাতে প্রকৃতি ধ্বংসের কুফল। মানুষ নির্বিচারে বন, নদী, পাহাড় ধ্বংস করছে। এতে বাতাসে কার্বনের পরিমাণ বাড়ছে। বাড়ছে বায়ুম-লের উষ্ণতা। এতে অদূর ভবিষ্যতে অনেক দেশের ভূখণ্ড তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা। জলবায়ুর এই পরিবর্তনজনিত ঝুঁঁকিতে থাকা দেশগুলোর অন্যতম বাংলাদেশ। এই সময়ে দেশের সাধারণ মানুষ রোগব্যাধিতে আক্রান্ত বেশি হয়।

বিশেষ করে তারাই যাদের কাছে নিরাপদ পানি সহজলভ্য নয়, পানি ফুটিয়ে খাওয়ার সুযোগ বা সামর্থ্য নেই, খাবারের ব্যাপারেও বাছ-বিচার করার সুযোগ নেই। স্বাস্থ্য সচেতনতার অভাব পরিস্থিতিকে আরো নাজুক করে তোলে। রোগের প্রতিরোধ ও নিরাময় বিষয়ে প্রাথমিক পর্যায়ের জ্ঞান না থাকলে রোগীর প্রাণনাশের শঙ্কা তৈরি হতে পারে। কাজেই ডায়রিয়া প্রতিরোধে অন্তত দরিদ্র-পল্লী ও বস্তিতে নিরাপদ খাবার পানির সংস্থান করা খুবই জরুরি।

সরকারিভাবে এ ব্যাপারে প্রচারণামূলক কর্মসূচি নিতে হবে। সচেতন থাকতে হবে গ্রাম-শহর সবখানে সবাইকেই। গরমে তৃষ্ণা নিবারণে পথের পাশে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বানানো বা রক্ষিত শরবত, পানীয়, ফলমূল ইত্যাদি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। হোটেল-রেস্তোরাঁয় পরিচ্ছন্নতা অভিযান জোরালো করতে হবে। সর্বোপরি দেশের সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে ডায়রিয়া রোগীর চিকিৎসা ও পরিচর্যায় বাড়তি আয়োজন রাখতে হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App