×

অর্থনীতি

বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য থাকছে বিশেষ প্রণোদনা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০১৯, ০৩:৩৭ পিএম

বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য থাকছে বিশেষ প্রণোদনা
পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের জন্য আসছে বাজেটে (২০১৯-২০ অর্থবছরে) থাকছে বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজ। চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারির পর থেকে চলা দরপতনে অস্থিতিশীল পুঁজিবাজারকে স্থিতিশীল করতে এ উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়, বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষার জন্য বিশেষ এ প্রণোদনায় থাকছে- করপোরেট কর হার কমানোর উদ্যোগ, দ্বৈত কর প্রথা বাতিল এবং ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশকে (আইসিবি) আরো শক্তিশালী করা। অর্থাৎ আরো ৫ হাজার কোটি টাকা ফান্ডের জোগান দেয়া হবে। অর্থমন্ত্রী এই প্রস্তাবগুলো বাজেটে রাখতে সায় দিয়েছেন। তিনি গত সোমবার পুঁজিবাজার সহায়ক কিছু কর প্রণোদনার আশ্বাস দিয়েছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে। অন্যদিকে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভ‚ঁইয়া বাজেটে পুঁজিবাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে এমন কোনো কিছু করা হবে না বলে আশ্বাস দিয়েছেন বাজার সংশ্লিষ্টদের। এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় পুঁজিবাজারের জন্য প্রণোদনা রাখা হবে। পাশাপাশি ১৯৯৬ ও ২০১০ সালে দুটি বড় ধস হয়েছে। সেই ধসের মতোই কয়দিন পরপর বাজারে দরপতন হচ্ছে। এই দরপতনের পেছনে নিশ্চয় কেউ না কেউ আছেন। এদের খুঁজে বের করতে হবে। আইনের আওতায় নেয়া হবে তাদের। এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূইয়া বলেন, করপোরেট কর কমানো হতে পারে। বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় তার জন্য কর ছাড় দেয়া হবে। বর্তমান পুঁজিবাজারে তারল্য সংকট দূর করতে বন্ড লেনদেনের কর অব্যাহতির পাশাপাশি স্মলক্যাপ বোর্ডে তালিকাভুক্ত স্বল্প মূলধনী কোম্পানির কর অবকাশ সুবিধাসহ বাজেটে একগুচ্ছ প্রণোদনা চেয়েছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। সম্প্রতি এনবিআরকে এই প্রস্তাবগুলো দিয়েছে ডিএসই, সিএসই এবং বাংলাদেশ মাচেন্ট ব্যাংকার্স এসোসিয়েশন। ডিএসইর এমডি কে এ এম মাজেদুর রহমান বলেন, পুঁজিবাজারকে গতিশীল, উন্নয়ন ও বিশ্বমানের করতে প্রস্তাবনা বাস্তবায়ন খুবই জরুরি। অর্থনীতির সঙ্গে একটি সত্যিকারের পুঁজিবাজার গড়তে এসব প্রণোদনা প্রয়োজন। সিএসই’র এমডি সাইফুর রহমান মজুমদার বলেন, বর্তমানে দেশে লক্ষাধিক কোম্পানি নিবন্ধিত হলেও মধ্যম ও বৃহদায়তনের কমপক্ষে কয়েক হাজার কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করার সুযোগ আছে। অথচ শুধু কয়েকশ কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আছে, যা নগণ্য। বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তর করতে বেসরকারি পুঁজি সঞ্চালনের প্রয়োজন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App