×

জাতীয়

বন্দরের সক্ষমতা ৩ গুণবাড়াবে বে টার্মিনাল

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০১৯, ০৩:১৫ পিএম

বন্দরের সক্ষমতা ৩ গুণবাড়াবে বে টার্মিনাল
বে-টার্মিনাল নির্মাণ সম্পন্ন হলে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা ৩ গুণ বেড়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল জুলফিকার আজিজ। তিনি বলেন, বর্তমান বৈদেশিক বাণিজ্যের সিংহভাগ সামাল দিচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর। বর্তমানে কনটেইনারবাহী জাহাজ বহির্নোঙরে আসার এক থেকে দুদিনের মধ্যে জেটিতে ভিড়ছে। এ ছাড়া একদিন অপেক্ষা না করে জাহাজ সরাসরি জেটিতে ভিড়ার রেকর্ডও রয়েছে। বন্দর স¤প্রসারণের লক্ষ্যে বে-টার্মিনাল নির্মাণ কাজ চলছে। বে-টার্মিনালে বেশি ড্রাফটের বড় বড় জাহাজ জোয়ারের অপেক্ষা ছাড়াই ২৪ ঘণ্টা ভিড়তে পারবে। এতে সক্ষমতাও বৃদ্ধি পাবে। ২০২৫ সালের মধ্যে বে-টার্মিনালে ১৫শ মিটার দীর্ঘ মাল্টিপারপাস, ১২২৫ ও ৮শ মিটারের ২টি কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ কাজ করছে। প্রাথমিকভাবে ইয়ার্ড, ট্রাক টার্মিনাল ও সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে শহীদ ফজলুর রহমান মুন্সি অডিটোরিয়ামে চট্টগ্রাম বন্দরের ১৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম বন্দরের স¤প্রতি চিত্র তুলে ধরে চবক চেয়ারম্যান জুলফিকার আজিজ বলেন, কনটেইনার উঠানামার রেকর্ড করেছে চট্টগ্রাম বন্দর। ২০১৭ সালে যেখানে কনটেইনার উঠানামা হয়েছিল ২৬ লাখ ৬৭ হাজার টিইইউস। সেখানে ২০১৮ সালে হয়েছে ২৯ লাখ ৩ হাজার টিইইউস। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৯ শতাংশ। সাধারণ কার্গো উঠানামা হয়েছে ৯ কোটি ৬৩ লাখ মেট্রিক টন। এর মাধ্যমে প্রবৃদ্ধি আয় হয়েছে ১৩ শতাংশ। নতুন করে ৩৭ একর জায়গায় ওপর ওভারফ্লো কনটেইনার ইয়ার্ড যুক্ত হতে যাচ্ছে। বর্তমানে বন্দরের ইয়ার্ডে ৫০ হাজারের বেশি কনটেইনার রাখা সম্ভব হচ্ছে। তিনি আরো জানান, বে-টার্মিনাল নির্মাণ সম্পন্ন হলে বন্দরের বর্তমান সক্ষমতা বেড়ে যাবে ৩ গুণ। বে-টার্মিনালে বেশি গভীরতা ও বেশি দৈর্ঘ্যরে জাহাজ দিনরাত ভিড়ানোর সুযোগ থাকবে। ২০১৮ সালে ১ হাজার কোটি টাকারও বেশি ব্যয়ে ৬০টির অধিক যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করেছে বন্দর। এ ছাড়া ২০১৮ সালে প্রথমবারের মতো ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে রেল মাউন্টেড গ্যান্ট্রি ক্রেন কিনেছে। বহির্নোঙরে অবস্থানরত বড় জাহাজ থেকে পণ্য লাইটার করে খালাস করতে কর্ণফুলী নদীর তীরে সদরঘাটে নির্মাণ করা হয়েছে ৫টি লাইটারেজ জেটি। তিনি বলেন, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মাধ্যমে বন্দর স¤প্রসারণের লক্ষ্যে বে-টার্মিনাল, পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল, লালদিয়া টার্মিনাল, কর্ণফুলী কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণের প্রকল্প চূড়ান্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি মিরসরাই-সীতাকুণ্ড ফেনী নিয়ে দেশের বৃহত্তম বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরকে সাপোর্ট দিতে সীতাকুণ্ডে আরেকটি টার্মিনাল নির্মাণের প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ চলছে। কর্ণফুলীর ড্রেজিং প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গত বছরের সেপ্টেম্বরে নতুন উদ্যোমে কর্ণফুলী নদীর ড্রেজিং শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ নৌবাহিনী ৪২ লাখ ঘনমিটার ড্রেজিংয়ের এ প্রকল্পের কাজ করছে। এতে বন্দরের খরচ ২৪২ কোটি টাকা। ৪ বছরে ড্রেজিংয়ের কাজ শেষ হবে। মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মো. জাফর আলম, সদস্য (প্রকৌশল) কমডোর খন্দকার আক্তার হোসেন, পরিচালক (প্রশাসন) মো. মমিনুর রশিদ, সচিব মো. ওমর ফারুক, পরিচালক (পরিবহন) এনামুল করিম, পরিচালক (নিরাপত্তা) লে. কর্নেল তানভীর আহাম্মদ জায়গীরদার ও উপসচিব (জনসংযোগ) মোহাম্মদ আজিজুল মওলা। এদিকে আজ বৃহস্পতিবার পালিত হবে চট্টগ্রাম বন্দর দিবস। এ উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App