×

অর্থনীতি

২০৩০ সাল পর্যন্ত কর অব্যাহতি চাইলেন পোল্ট্রি উদ্যোক্তারা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০১৯, ০৪:৫৩ পিএম

২০৩০ সাল পর্যন্ত কর অব্যাহতি চাইলেন পোল্ট্রি উদ্যোক্তারা
পোল্ট্রি শিল্পের জন্য ২০৩০ সাল পর্যন্ত কর অব্যাহতির দাবি জানিয়েছে এ খাতের উদ্যোক্তারা। সাশ্রয়ী মূল্যে নিরাপদ ডিম ও মুরগির মাংস উৎপাদন, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি এবং পোল্ট্রি পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে কর অব্যাহতি চাওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে প্রাক-বাজেট আলোচনায় এ দাবি জানানো হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া। সভায় ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশনের সভাপতি এহতেশাম বি. শাহজাহান বলেন, বিশ্বের বড় বড় দেশগুলোতে যেখানে পোল্ট্রি ও ফিস ফিড তৈরির অত্যাবশ্যকীয় কাঁচামাল নিজ দেশে উৎপাদিত হওয়ার পরও খামারিদের ভর্তুকি দেয়া হচ্ছে, সেখানে আমাদের দেশে ভুট্টা, সয়াবিন মিল, ওষুধসহ বেশির ভাগ কাঁচামাল আমদানি-নির্ভর হওয়া সত্তে¡ও এ খাতের ওপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ করের বোঝা চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। শিল্প সংশ্লিষ্টরা যেহেতু ২০২৫ সালের মধ্যেই রপ্তানি শুরু করতে চান এবং ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ^বাজারে একটা শক্ত অবস্থান তৈরি করতে চান, তাই ২০৩০ সাল পর্যন্ত সব ধরনের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর থেকে অব্যাহতি জরুরি। তিনি আরো বলেন, জাতিসংঘের হিসাব মতে দেশের জনসংখ্যা বর্তমানে প্রায় ১৬ কোটি ৭৭ লাখের ওপরে। সে হিসাবে দেশের ডিম ও মুরগির মাংসের উৎপাদন ব্যয় প্রায় ২.৭ বিলিয়ন ডলার। দেশীয় পোল্ট্রি শিল্প গড়ে না উঠলে প্রতি বছর এই বিশাল অঙ্কের বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করতে হতো ডিম ও মুরগির মাংস আমদানির পেছনে। সরকার চাচ্ছে ২০২১ সালের মধ্যে মাথাপিছু ডিমের বার্ষিক উৎপাদন ৯০ থেকে বাড়িয়ে ন্যূনতম ১০৪ টিতে এবং মাংসের উৎপাদন ৬.৫ কেজি থেকে বাড়িয়ে ৭.৫ কেজিতে উন্নীত করতে। সেটি করতে হলে ঠিক এই মুহূর্তে চাহিদা ও জোগানের যে চিত্র তাতে বছরে অন্তত ২৩৪ কোটি ৮২ লাখ ডিম এবং ১ লাখ ৮৫ হাজার টন মুরগির মাংসের উৎপাদন বাড়াতে হবে। আর যদি রপ্তানিতে যেতে হয় তবে বছরে অন্তত ১২০০ কোটি ডিম ও ৮ লাখ টন মুরগির মাংসের উৎপাদন বাড়াতে হবে। এই নেতা আরো বলেন, মিট এন্ড বোন মিলের আমদানি বন্ধ হওয়ায় ভেজিটেবল সোর্স থেকে উৎপাদিত প্রোটিন মিল ব্যবহার করতে হচ্ছে। এতে খরচ বাড়ছে। তাই সব ধরনের ভেজিটেবল প্রোটিন ও ভেজিটেবল সোর্স থেকে উৎপাদিত প্রোটিন মিল/প্রোটিন কনসেনট্রেট, সি-ফুড মিল, ক্র্যাব মিল, পোল্ট্রি মিলের আমদানি শুল্ক শূন্য করার দাবি করছি। ভুট্টা আমদানির ওপর থেকে ৫ শতাংশ অগ্রিম আয়কর, সয়াবিন অয়েল কেক আমদানির ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ রেগুলেটরি ডিউটি, কাসাব আমদানিতে ১৫ শতাংশ কাস্টমস ডিউটি, ১০ শতাংশ রেগুলেটরি ডিউটি, ১৫ শতাংশ ভ্যাট, ৫ শতাংশ এআইটি ও ৫ শতাংশ এটিভি, কটনসিড মিল ও পাম কারনেল মিলের ওপর ৫ শতাংশ কাস্টমস ডিউটি ও ৫ শতাংশ অগ্রিম ভ্যাট (এটিভি) প্রভৃতি উপকরণগুলো শূন্য শুল্কে আমদানি সুবিধার দাবি করছি। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভ‚ঁইয়া বলেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে আরো আলোচনা করব, এরপর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আসলে ভ্যাট মওকুফ করা যাবে কিনা। আর ভ্যাট মওকুফ করলে আসলে প্রান্তিক খামারিরা সুবিধা পাবেন কিনা সেটাও ভেবে দেখতে হবে। বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশনের সিনিয়র সহসভাপতি ফজলে রহিম খান শাহরিয়ার, সাংগঠনিক সচিব মো. আনোয়ারুল হক, বিল্ডার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আসিফুর রহমান, আহকাব সভাপতি ডা. নজরুল ইসলাম, বিপিআইএর মহাসচিব ডা. এম এম খান, বিপিআইসিসির সচিব দেবাশীষ নাগ, উপদেষ্টা শ্যামল কান্তি ঘোষসহ সমিতির নেতারা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App