×

অর্থনীতি

স্বর্ণ আমদানির ঘোষণার সময় বাড়ছে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০১৯, ০৪:৩৪ পিএম

স্বর্ণ আমদানিতে প্রস্তুতি পুরোপরি শেষ হয়নি জানিয়ে স্বর্ণ আমদানির ঘোষণার সময় আরো তিন মাস বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূইয়া। গতকাল মঙ্গলবার এনবিআরের সম্মেলন কক্ষে প্রাক-বাজেট আলোচনায় বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এসব কথা বলেন। এনবিআরের চেয়ারম্যান বলেন, স্বর্ণ আমদানির ঘোষণার সময় আগামী তিন মাস বাড়ানো হবে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক ও শিল্প মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়া হবে। প্রাক-বাজেট অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ এগ্রো প্রসেসরস এসোসিয়েশন (বাপা), ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশন বাংলাদেশ, বিডার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ক্রপ প্রোটেকশন এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ট্যানার্স এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ অটোব্রেড বিস্কুট ম্যানুফ্যাকচারার্স এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ব্রেড, বিস্কুট ও কনফেকশনারি প্রস্তুতকারক সমিতির প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। সংগঠনের সহসভাপতি এনামুল হক খান বলেন, স্বর্ণ নীতিমালা কার্যকর করার জন্য যে সিদ্ধান্ত হয়েছিল- এনবিআর ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রস্তুতি না থাকায়, বাংলাদেশ ব্যাংক আমাদের লাইসেন্স দিচ্ছে না। তিনি বলেন, আগামী মাসের ৮ তারিখে আমাদের মেয়াদ শেষ। এই সময়ের মধ্যে আমাদের যে গোল্ড আছে তার ডিক্লারেশন করতে হবে। এটা স্বর্ণ নীতিমালায় আছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে স্বর্ণ আমদানির যেসব অ্যাক্ট সংশোধন করতে বলা হয়েছে। সেগুলোর একটিও করা হয়নি। তাই বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে লাইসেন্স পাব না। আমদানি নীতিমালা না হলে ভ্যাট নেবে না। আমাদের সার্টিফিকেট দেবে না। পাশাপাশি ১ হাজার টাকার বিনিময়ে আমাদের দায়মুক্তির সার্টিফিকেট দেবে না। ফলে ইনকাম ট্যাক্সের বিষয়টি যতক্ষণ পর্যন্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে না, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা স্বর্ণের ডিক্লারেশন দিতে পারছি না। তাই তিনি স্বর্ণ ঘোষণার সময় আরো তিন মাস সময় বাড়িয়ে দেয়ার দাবি করেন। এনবিআরের চেয়ারম্যান বলে, সময় আরো ৩ মাস বাড়িয়ে দেব। বাংলাদেশ ব্যাংকেও আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে চিঠি দেয়া হবে। জুলেয়ারি সমিতির সহসভাপতি বলেন, ধনীরা আমাদের দেশ থেকে স্বর্ণ কিনছে না। তারা ভারত থেকে স্বর্ণালঙ্কার কিনছে কারণ দেশের বাজার থেকে স্বর্ণ কিনলে ৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হয়। আর বিদেশ থেকে ১০০ গ্রাম স্বর্ণ আনতে কোনো কর দিতে হয় না। ফলে তারা বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ নিয়ে আসছে। তিনি আরো বলেন, স্বর্ণ আমদানিতে এখনো আমাদের লাইসেন্স দেয়া হয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সরকারি প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়হীনতার কারণে এটা হচ্ছে না। কোয়ালিটি কন্ট্রোলে জন্য যে নীতিমালা দরকার শিল্প মন্ত্রণালয় তা করছে না। মোশাররফ হোসেন ভ‚ঁইয়া বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে একটি উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যেহেতু এটি ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং অ্যাক্ট অনুসারে কাজ করতে হয়। আগে বিদেশ থেকে কে কোনো রেটে স্বর্ণ আমদানি করতে পারবে সেটা নির্ধারিত ছিল। সে জন্য এটার ওপর কাজ করিনি। আমাদের পরিকল্পনা হলো ফাইন্যান্স অ্যাক্টে পহেলা জুলাই থেকে কার্যকর করা। সংগঠনের লিখিত দাবিগুলো হচ্ছে- স্বর্ণ হচ্ছে একটি মূল্যবান ও স্পর্শকাতর ধাতু। সুতরাং স্বর্ণ বিক্রির ওপর ১ দশমিক ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট নির্ধারণ করছি। স্বর্ণ শিল্পের বিকাশের জন্য আমদানির ওপর প্রতি ১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রামের (এক ভরি) জন্য সর্বমোট ১০০ টাকা কর আরোপ করা। মূসক নিবন্ধনকারী শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে আমদানি শুল্ক ৫ শতাংশ, মূসক ১ দশমিক ৫ শতাংশ রাখার এবং অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহারসহ ৫ দফা দাবি প্রস্তাব করছি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App