নেত্রকোনার দুই রাজাকারের মৃত্যুদণ্ড
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০১৯, ০১:০২ পিএম
মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে নেত্রকোনার আটপাড়া থানার হেদায়েতুল্লাহ আঞ্জু বিএসসি ও সোহরাব ফকিরকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে ৩ বিচারপতির বেঞ্চ এ রায় দেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি মো. আমীর হোসেন ও মো. আবু আহমেদ জমাদার।
এর আগে গত ৭ মার্চ মামলার শুনানি শেষ করে যে কোনো দিন রায় ঘোষণা করা হবে মর্মে সিএভি (অপেক্ষমাণ) রাখেন আদালত। এ মামলায় ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর মোখলেছুর রহমান বাদল, সাবিনা ইয়াসমিন ও তাপস কান্তি বল। আসামিপক্ষে ছিলেন আব্দুর শুক্কর খান।
২১৮ পৃষ্ঠার রায়ে আদালত বলেছে, আসামিদের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের আনা ছয়টি অভিযোগই সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। এর মধ্যে ২, ৩ ও ৪ নম্বর অভিযোগে আসামিদের সর্বোচ্চ সাজার রায় এসেছে। ১, ৫ ও ৬ নম্বর অভিযোগের প্রত্যেকটিতে তাদের দশ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রায় ঘোষণার সময় আসামি সোহরাব ফকির ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন। আরেক আসামি হেদায়েতুল্লাহ পলাতক।
২০১৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর ৩ রাজাকারের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেন তদন্ত সংস্থা। যাচাই-বাছাইয়ের পর ২৮ নভেম্বর তা ট্রাইব্যুনালে দাখিল করে প্রসিকিউশন। মামলায় ৩ আসামি ছিলেন। তবে বিচার চলাকালীন রাজাকার এনায়েত উল্লাহ ওরফে মঞ্জু (৭০) মারা যায়। আসামিদের বিরুদ্ধে আটক, অপহরণ, নির্যাতন, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, হত্যা, গণহত্যা ও দেশ ত্যাগে বাধ্যকরণের মতো ৬টি অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। ৩ আসামির গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনার আটপাড়া থানার কুলশ্রীতে। তবে আঞ্জু থাকতেন রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানার হেতেম খাঁ মেথর পাড়ায়।
অন্যদিকে সোহরাব একই জেলার মদন থানার জাহাঙ্গীরপুরে থাকতেন।