সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রেমপত্র লিখতাম : হৃদি হক
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২২ এপ্রিল ২০১৯, ০২:০০ পিএম
প্রযুক্তির ছোঁয়ায় আমরা যখন অভ্যস্ত ছিলাম না তখন চিঠিই যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হতো। এই চিঠিই কখনো বিনোদনের খোরাক জোগাত, কখনো ব্যথাতুর হৃদয়ে কান্না ঝরাত, কখনো উৎফুল্ল করত, কখনো করত আবেগে আপ্লুত। বিশেষ করে প্রেমের চিঠি পাওয়ার আকুলতা কিংবা চিঠি পড়ার আনন্দ সব কিছুই যেন আজ ম্লান। তারকার পাওয়া কিংবা লেখা প্রথম চিঠির গল্প নিয়েই ‘মেলা’র এই আয়োজনপরিবারে চিরকুটের রেওয়াজ কখনো কোনো কারণে পরিবার থেকে দূরে থাকতে হয়নি। সবসময় বাবা-মায়ের সঙ্গে থেকেছি। তাদের চোখের সামনেই বড় হয়েছি। সে জন্য নিজেদের মধ্যে তেমন করে চিঠি লেখার প্রয়োজন হয়ে ওঠেনি। তবে আমাদের পরিবারে চিরকুট লেখার প্রচলন ছিল। হয়তো কেউ ঘুমাচ্ছে বা একজন বাইরে আছে, সে সময় হঠাৎ অন্য আরেকজনেরও বাইরে যাওয়া দরকার হলো; তখন সে কী করবে! দেখা যেত তখন সে ছোট্ট একটা চিরকুট টেবিলে রেখে বের হয়ে যেত! ব্যস, তাকে নিয়ে আর ভাবতে হতো না। ছোটবেলা থেকেই আমাদের পরিবারে এমন নিয়ম দেখেছি। এবং বর্তমানে আমার পরিবার, সন্তানদের মাঝেও এই অভ্যাস-ঐতিহ্য ধরে রেখেছি। চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রেমপত্র তারপর একসময় লিটুর (লিটু আনাম) সঙ্গে পরিচয় হলো। আমরা একজন আরেকজনকে চিঠি দিতাম। চিঠির উত্তরের জন্য অস্থির হয়ে থাকতাম। তবে ভাগ্য ভালো, চিঠি নিয়ে বাবা-মায়ের হাতে কখনো ধরা পড়িনি; সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে চিঠি লিখতাম। এখনো পুরনো কাগজপত্র উল্টাতে গিয়ে তখনকার চিঠি চোখে পড়ে। ধারাবাহিক নাটক ‘চিঠি চিঠি নিয়ে খুব বেশি কাজ করেছি এমন নয়; তবে করেছি। নূরুল আলম আতিকের পরিচালনায় ‘চিঠি’ নামক একটা নাটকে কাজ করেছি, তা এনটিভিতে দেখানো হয়েছিল। চিঠি সম্পর্কিত এমন একটা ব্যতিক্রমধর্মী নাটকে কাজ করতে পেরে খুব ভালো লেগেছে। প্রিয় লেখককে চিঠি ছেলেবেলায় আরেকটা জিনিস করতাম, তা হলো আমার প্রিয় লেখকদের চিঠি দিতাম! কোনো বই পড়ে যদি ভালো লেগে যেত তাহলে সেই লেখককে চিঠিতে কী কী বলা যায় তা ভেবে মনে মনে একটা চিঠি লিখে ফেলতাম। যদিও বাস্তবে আর তা লিখে পোস্ট করা সম্ভব হতো না। ভাবনাগুলো ভাবনাই থেকে যেত।