নুসরাতকে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় আসামিদের কঠোর শাস্তি চান তাদের স্বজনরাও। এ ঘটনায় জড়িত অধ্যক্ষ সিরাজের শ্যালিকার মেয়ে মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী উম্মে সুলতানা পপি মঙ্গলকান্দি ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের মেয়ে। শহীদুল ইসলাম বলেন, অধ্যক্ষ আমার ভায়রা। তিনি যে অপকর্ম করেছেন এতে তাকে আত্মীয় পরিচয় দিতে লজ্জাবোধ করি। তার অপকর্মের বলি হয়েছে আমার মেয়ে। পপি শুধু তার আত্মীয় হওয়ার কারণে তাকে ওই কাজে ব্যবহার করা হতে পারে। তবে জড়িত থাকলে শাস্তি হবে। শামীমের মা বিবি ফাতেমা বলেন, একজন সহপাঠীকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার মতো জঘন্যতম অপরাধ যারা করেছে তাদের উপযুক্ত শাস্তি হওয়া দরকার। মো. জাবেদের পিতা রহমত উল্লাহ বলেন, জাবেদ অত্যন্ত সহজ-সরল ছেলে। সে এ ধরনের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকতে পারে না। তবে যদি কারো সহযোগিতায় হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকে তাহলে কিছুই বলার নেই। উত্তর চর ছান্দিয়ায় নূর উদ্দিনের বাড়িতে পরিবারের কাউকে দেখা যায়নি। তবে বাড়ির লোকজন জানায়, জড়িত সবার কঠোর বিচার হওয়া দরকার যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের ঘটনা ঘটার সাহস না পায়। এদিকে রাফির বড় ভাই মাহমুদ হাসান নোমান বলেন, সারা দেশের জনগণের এখন দাবি রাফির খুনিদের উপযুক্ত বিচার। এ হত্যাকাণ্ডের যারা পরিকল্পনাকারী, মদতদাতা ও কিলিং মিশনে জড়িত তাদের অবশ্যই কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। এনায়েত উল্লাহ মহিলা কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ফাতেমা আক্তার মনিষা বলেন, রাফির ঘটনা থেকে অভিজ্ঞতা নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের পথে সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে সবাইকে সচেতন হওয়া জরুরি। এ ঘটনায় পরীক্ষার্থীদের ভেতরে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। মানসিক চাপের কারণে আমাদের ফলাফল নিয়েও আমরা শঙ্কিত। এ নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কঠোর শাস্তি চাই। বাংলাদেশ মানবাধিকার সম্মিলনের চেয়ারম্যান এডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম নান্টু বলেন, নুসরাত হত্যায় জড়িতদের দ্রুত বিচার ও শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। ভবিষ্যতে যেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে, সে জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।