×

মুক্তচিন্তা

এখন থেকে তদারকি করুন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ এপ্রিল ২০১৯, ০৯:০০ পিএম

রমজান মাসকে সামনে রেখে অতি প্রয়োজনীয় ভোগ্য পণ্যের দাম বাড়তে শুরু করেছে। রমজান শুরু হওয়ার আগেই দ্রব্যমূল্য কয়েক দফা বাড়িয়ে দেয়ার এই কৌশল বিগত বছরগুলোতেও দেখা গেছে। চিনি, পেঁয়াজ, রসুন, মসুর ডাল, ছোলা, ভোজ্যতেল ইত্যাদি পণ্যের চাহিদা রমজানে বাড়ে। এরই মধ্যে এক দফা বেড়ে গেছে। চিনির মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে ব্যবসায়ীরা মিলে সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়াকে অজুহাত হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন।

অন্যদিকে সংরক্ষণের অজুহাতে পেঁয়াজ ও রসুনের মূল্যবৃদ্ধির যুক্তি দেখানো হচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এখানে দাম বাড়ে, কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমলে সে প্রভাব দেশীয় বাজারে পড়ে না। আর রমজানের জন্য পণ্য বহু আগেই আমদানিকারকরা এনে মজুদ করেছেন, ফলে এর মধ্যে বাজারে দাম বাড়ার কথা নয়।

এদিকে দেখা গেছে বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকার নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে। গত ২৭ মার্চ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এক বৈঠকে ব্যবসায়ীরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, এবার রমজানে পণ্যের মূল্য বাড়ানো হবে না। ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির মাধ্যমে যাতে বাজারকে অস্থিতিশীল করতে না পারে সেদিকে লক্ষ রাখার কথা জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন কর্মকর্তারা।

অবশ্য এসব তৎপরতা প্রতি বছরই দেখা যায়। রমজানে বেশি চাহিদাসম্পন্ন পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ থাকার এবং যে কোনো মূল্যে পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার ঘোষণা দেন বাণিজ্যমন্ত্রী। কিন্তু এরপরও রমজানের আগে বাজার অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে। মানতেই হবে, অতীতের তুলনায় গত কয়েক বছরে রোজার সময় ভোগ্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার মোটামুটি সফলতার পরিচয় দিয়েছে। মূল্যবৃদ্ধি রোধ করতে না পারলেও নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখতে সক্ষম হয়েছে। এবার সে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকারকে আগের তুলনায় বেশি সতর্ক থাকতে হবে। কাজেই রমজান মাস শুরুর আগেই যাতে ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ানোর কৌশল বাস্তবায়ন করতে না পারে সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি রাখতে হবে এখন থেকেই।

রোজায় বাজার নিয়ন্ত্রণে টিসিবির মাধ্যমে খোলা বাজারে পণ্য বিপণন, বাজার মনিটরিং ইত্যাদি যেসব পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে, এগুলো যেন যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। পণ্য পরিবহন নির্বিঘ্ন রাখতে বিশেষ করে কৃষিপণ্যের সরবরাহে যাতে কোনো বাধার সৃষ্টি হতে না পারে সেদিকে নজর রাখতে হবে সংশ্লিষ্টদের। এর বাইরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসন থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বাজার পরিস্থিতি তদারকি অব্যাহত রাখতে হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App