×

জাতীয়

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিকৃত করা হয়

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৯ এপ্রিল ২০১৯, ০৭:০৭ পিএম

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে ইতিহাসের খলনায়ক হিসেবে অভিহিত করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জিয়াউর রহমান প্রথমে আত্মস্বীকৃত খুনিদের বড় আসনে পদায়ন করেন। তাদের বিদেশি দূতাবাসে নিয়োগ দেন। যারা প্রত্যক্ষ স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল তাদের মন্ত্রিসভার সদস্য করেন।

তিনি বলেন, ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের পর স্বৈরশাসক ও সামরিকতন্ত্রের উত্থান ঘটে। এ সময়ে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী চক্র মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও চেতনাকে বারবার বিকৃত ও বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টা চালায়। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার যাতে না হয় সে জন্য ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে। বঙ্গবন্ধুর ১৯৭২ সালের সংবিধানের স্থলে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি চালু করা হয়। জামায়াতের আমির গোলাম আযমকে নাগরিকত্ব দেয়া হলো।

আজ শুক্রবার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি চট্টগ্রাম জেলার নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির পরিচিতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শহীদ জননী জাহানারা ইমামকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে মন্ত্রী বলেন, যেদিন আওয়ামী লীগের নাম নিষিদ্ধ করা হয়েছিল অলিখিতভাবে, সেদিন ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি গঠন করলেন জাহানারা ইমাম। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে সোচ্চার হলেন তিনি। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের উত্তরাধিকার শেখ হাসিনা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছেন। দেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ফিরিয়ে এনেছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার পথে এগোচ্ছেন তিনি।

সংগঠনের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয়ক শওকত বাঙালির সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ডা. মাহফুজুর রহমান, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, নবনির্বাচিত জেলা সভাপতি প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক রেখা আলম চৌধুরী, স্বাধীনতা সংগ্রামী জহুর আহমদ চৌধুরীর সন্তান শরফুদ্দীন চৌধুরী রাজু ও জসিম উদ্দিন চৌধুরী।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App