×

জাতীয়

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ধর্ষণের পর হত্যারদায়ে পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল ২০১৯, ০৩:১২ পিএম

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ধর্ষণের পর হত্যারদায়ে পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড
চাঁপাইনবাবগঞ্জে আয়েশা খাতুন (২০) নামে এক তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক এবং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. শওকত আলী এ রায় দেন। একই সঙ্গে তাদের এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। তবে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তিনজনকে বেকসুর খালাস দেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার মালবাগডাঙ্গা গ্রামের শ্যামাপদ রবিদাসের ছেলে নয়ন কুমার রবিদাস (২৮), সোনাপট্টি গ্রামের বীরেন রবিদাসের ছেলে প্রশান্ত রবিদাস (২২), চাকপাড়া গ্রামের রতন রবিদাসের ছেলে নিতাইচন্দ্র রবিদাস (২৬), সুচেন দাসের ছেলে সুভাষ দাস (৪২) ও খোকন রবিদাসের ছেলে প্রশান্ত রবিদাস (২৪)। রায় ঘোষণার সময় আসামিদের মধ্যে নয়ন কুমার রবিদাস ও প্রশান্ত রবিদাস (২২) উপস্থিত ছিলেন। অন্যরা পলাতক রয়েছেন। মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে আদালতের অতিরিক্ত পিপি আঞ্জুমান আরা বেগম জানান, ২০১৫ সালের ১৪ জুন সদর উপজেলার মহারাজপুর মেলার মোড়ের একটি ডোবা থেকে কালিনগর বাবলাবোনা গ্রামের মফিজুল ইসলামের মেয়ে আয়েশা খাতুনের (২০) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রথমে তার মৃত্যুর কারণ জানা না গেলেও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে ধর্ষণের পর হত্যার কথা উল্লেখ থাকায় ওই বছরের ১৫ আগস্ট সদর থানার এসআই শামীম আকতার অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার পরিদর্শক সারোয়ার রহমান একই বছরের ১৪ ডিসেম্বর ঘটনার রহস্য উদঘাটন করে আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, আসামি নয়ন প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে আয়েশা খাতুনকে ১৩ জুন ডেকে সহযোগিদের নিয়ে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। মামলায় ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক আজ এ রায় দেন। বেকসুর খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- সদর উপজেলার বাথানপাড়া গ্রামের অনীল শিলের ছেলে শ্রীকৃষ্ণ (২৩), হরিশপুরের আতাবুরের ছেলে আব্দুর রহিম (৩৫) ও রাজশাহীর জিয়া কলোনির আশরাফুল ইসলামের স্ত্রী সোহাগী বেগম (২৭)।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App