আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করেই ভাঙা হবে বিজিএমইএ ভবন: গণপূর্ত মন্ত্রী
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০১৯, ০৫:৩২ পিএম
জান-মালের ক্ষতি এড়াতে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে না করে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিজিএমইএ ভবন ভেঙে ফেলা হবে বলে জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
বিজিএমইএ ভবন ভাঙার সবশেষ অবস্থা নিয়ে আজ বুধবার (১৭ এপ্রিল) সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রশ্নের জবাবে একথা জানান গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী। কোন পদ্ধতিতে ভাঙা হবে- প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, কোনোভাবেই ম্যানুয়াল পদ্ধতি নয়, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করেই আমরা এ ভবনটিকে ভেঙে ফেলবো। সেক্ষেত্রে নানা রকম পরিকল্পনা রয়েছে। যারা টেন্ডারে অংশ নেবেন, তারা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করার মতো উপযুক্ত কেউ আছে কিনা- সেটা আমরা ক্ষতিয়ে দেখবো। যদি না থাকে প্রয়োজনে আমরা বাইরের প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে আসবো।
‘আমাদের সঙ্গে ইতোমধ্যে দেশের বাইরের এ জাতীয় কাজ করার অভিজ্ঞ, নির্মাণ প্রযুক্তিতে যারা দক্ষ, তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমরা প্রথমে অগ্রাধিকার দিতে চাই দেশীয় প্রতিষ্ঠানকে। যদি সে রকম না পাই, সেক্ষেত্রে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ রয়েছে। কোনোভাবেই ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে না, কোনোভাবেই মানুষের জীবন ও মালের ঝুঁকিপূর্ণ পদ্ধতিতে এই ভবন ভাঙা হবে না ‘ ইতোমধ্যে ডিনামাইট ব্যবহার করে ভবনটি ভাঙার কথাও শোনা যাচ্ছে। এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, যে পদ্ধতির কথা পত্র-পত্রিকায় আপনারা শুনেছেন, সবটা সঠিকভাবে আসেনি। আধুনিক প্রযুক্তিতে এমন সব কৌশল সৃষ্টি করা হয়েছে যে এই বিল্ডিংটি ভাঙতে বেশি সময় লাগবে না। এক ঘণ্টার ভেতরেই বিল্ডিংটি স্তূপ আকারে ওই জায়গায় বসে পড়বে। যেদিন আমরা কাজটি বাস্তবে কাজ করবো, সেদিন আপনারা মিডিয়ার সবাই দেখবেন যে বাংলাদেশ প্রযুক্তিতে কত দূর এগিয়েছে, যা অতীতে কল্পনা করা যায়নি। সেগুলো আমরা করতে পারি। ডিনামাইট ব্যবহার হচ্ছে কি হচ্ছে না- প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘ডিনামাইট’ শব্দটা প্রচলিত অর্থে একটা বোমার ব্যবহার। আসলে সেই ‘ডিনামাইট’ না। নানা রকমভাবে আছে। বাঘ মানে সব সময় সুন্দরবনের বাঘ নয়, কখনও বাঘ মানে ছারপোকাও হয়ে যায়। সেই ডিনামাইট এখানে না, একটা পদ্ধতি আছে সেই পদ্ধতির বাহ্যিক পরিচিতটা ডিনামাইট আকারে। কিন্তু কোনোভাবেই এটা ডিনামাইট বোম মেরে বিল্ডিং ভেঙে ফেলা ডিনামাইট নয়। এটা নির্মাণ প্রযুক্তি, ভেঙে ফেলার কৌশল। কোনোভাবেই সেটা প্রচলিত অর্থে ডিনামাইট বোম, সেটি নয়। ভবন ভাঙতে সেনাবাহিনীকে সম্পৃক্ত করার পরিকল্পনা আছে কিনা- প্রশ্নে বলেন, আমাদের সিভিল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন যথেষ্ট এ জাতীয় কাজ সম্পন্ন করার জন্য। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং অধীনস্থ রাজউকই যথেষ্ট। আমরা এলাকার নিরাপত্তা ও অন্যান্য বিষয়ের স্বার্থে ল ইনফোর্সমেন্ট এজেন্সিসহ অনেকের সাহায্য নিতে পারি। কিন্তু ইমারতটি ভেঙে ফেলার ক্ষেত্রে আমাদের বাইরের অন্য কোনো সংস্থার সাহায্যে প্রয়োজন হবে না।