×

জাতীয়

১১ দফা দাবিতে নৌযান শ্রমিকদের কর্মবিরতি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০১৯, ১২:২১ পিএম

১১ দফা দাবিতে নৌযান শ্রমিকদের কর্মবিরতি
বেতনভাতা বৃদ্ধি, নিরাপত্তা, নৌপথে চাঁদাবাজি বন্ধসহ ১১ দফা দাবিতে নৌযান শ্রমিকদের একাংশের ডাকে দেশব্যাপী লাগাতার কর্মবিরতি পালন করছেন নৌযান শ্রমিকরা। সোমবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে এই কর্মবিরতি শুরু হয়। কর্মবিরতির কারণে চট্টগ্রাম, চাঁদপুর, খুলনা, বরিশাল, ভোলা, লক্ষ্মীপুরসহ বিভিন্ন নৌবন্দর থেকে যাত্রীবাহী, মালবাহী ও তেলবাহীসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। নৌযানগুলো নদীবন্দরে নোঙ্গর করে রয়েছে। মালামাল বোঝাই ও খালাসের কাজ বন্ধ রয়েছে। এদিকে সোমবার (১৫ এপ্রিল) শ্রম অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ানের সঙ্গে নৌ-যান মালিক-শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে নেতারা ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। সেই খবরে অনেকেই ঢাকা সদরঘাটসহ দেশের বিভিন্ন নৌবন্দরে এসে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন। বিআইডব্লিউটিএ’র পরিবহন পরিদর্শক দিনেশ কুমার সাহা বলেন, সোমবার রাত ১২টার পর ঢাকা সদরঘাট থেকে কোনো লঞ্চ ছাড়েনি। তবে দক্ষিণাঞ্চল থেকে রাত ১২টার আগে ছেড়ে আসা ৪৩টি লঞ্চ আজ (মঙ্গলবার) ভোরে সদরঘাটে এসে পৌঁছেছে। তিনি আরও জানান, সকালে সদরঘাটে অনেক যাত্রী এসেছিল। কিন্তু লঞ্চ না চলায় তারা ফিরে যেতে বাধ্য হন। এর আগে গত শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে ১৫ এপ্রিলের মধ্যে নৌ শ্রমিকদের ১১ দফা দাবি বাস্তবায়িত না হলে ১৫ এপ্রিল মধ্যরাত ১২টা ১ মিনিট থেকে কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দেন বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের নেতারা। ওই সমাবেশে বক্তারা বলেন, ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে ১১ দফা দাবি নিয়ে সরকার, মালিক ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে জানানোর পরও কার্যকরী কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। যে কারণে কর্মবিরতিতে যেতে বাধ্য হচ্ছি আমরা। শ্রমিকদের ১১ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, নৌপথে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, শ্রমিক নির্যাতন বন্ধ, সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার এবং নৌযান শ্রমিকদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। দুর্ঘটনায় কর্মস্থলে কোনো শ্রমিকের মৃত্যু হলে তার পরিবারকে ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। সেই সঙ্গে সমুদ্র ভাতা ও রাত্রিকালীন ভাতা নির্ধারণ করতে হবে। এদিকে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই লাগাতার কর্মবিরতি চলবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের নেতারা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App