ভারতের রাজনীতিতে একটি কালো ট্রাঙ্ককে ঘিরে উত্তাপ ছড়িয়েছে। কংগ্রেসের অভিযোগ, রহস্যময় ওই ট্রাঙ্কটি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হেলিকপ্টার কনভয় থেকে নামানো হয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে ঘটনাটি তদন্ত করে দেখার দাবি জানায় তারা। এনডিটিভি জানায়, ঘটনাটি ঘটে এ সপ্তাহের শুরুর দিকে। ৯ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী মোদি কর্নাটকের চিত্রদুর্গে ভোটের প্রচারে যাওয়ার সময়। কংগ্রেস বলছে, প্রধানমন্ত্রী নামার আগেই তার নিরাপত্তারক্ষীরা ট্রাঙ্কটি তড়িঘড়ি করে হেলিকপ্টার থেকে নামিয়ে একটি গোপন জায়গায় নিয়ে যায়। কংগ্রেস মুখপাত্র আনন্দ শর্মা বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীর হেলিকপ্টার পাহারায় থাকা আরো তিনটি কপ্টার দেখেছি। নামার পরই প্রধানমন্ত্রীর কপ্টার থেকে একটি কালো ট্রাঙ্ক নামিয়ে দৌড়ে গিয়ে তা বেসরকারি একটি গাড়িতে তুলে দেয়া হয়। গাড়িটি মোদির বিশেষ নিরাপত্তা বহরে ছিল না। নির্বাচন কমিশনের কাছে এ ঘটনা তদন্তের দাবি জানান আনন্দ শর্মা। ওই ট্রাঙ্কে কি ছিল তাও জানতে চান তিনি। বলেন, ওতে কি আছে মোদির তা জানানো উচিত ছিল। ট্রাঙ্কে টাকাও থাকতে পারে বলে তিনি অভিযোগ করেন। নির্বাচন কমিশনের কাছে কংগ্রেসের কর্নাটক শাখা এরই মধ্যে অভিযোগ দায়ের করেছে বলেও জানান আনন্দ শর্মা। মোদির হেলিকপ্টার থেকে কালো ট্রাঙ্ক তড়িঘড়ি করে নামানোর অভিযোগের প্রমাণ হিসেবে গত শনিবারই। কর্নাটকের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি দীনেশ গুণ্ডুরাও নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে ১৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও পোস্ট করেন। ওই ভিডিওতে ধরা পড়েছে, প্রধানমন্ত্রীর কপ্টার থেকে ট্রাঙ্কটি নামিয়ে দ্রুত একটি ইনোভা গাড়িতে তুলে দেয়া হচ্ছে। গাড়িটি সঙ্গে সঙ্গে অজানা গন্তব্যে চলে যায়। নির্বাচন কমিশনের কাছে দীনেশ গুণ্ডুরাওয়ের দাবি, গাড়িটাই বা কার, সে সব কিছু তদন্ত করে দেখা হোক। ওদিকে মোদির ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) কালো ট্রাঙ্ক নিয়ে কংগ্রেসের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে। কংগ্রেসের বরং দুর্নীতির ক্ষেত্রে নিজেদের স্বচ্ছতার দিকে মনোনিবেশ করা উচিত বলে মন্তব্য করেছে দলটি।