×

খেলা

জীবনের গল্প

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০১৯, ০২:৪৭ পিএম

জীবনের গল্প

৯ নম্বর জার্সি পরিহিত ঢাকা আবাহনীর ফরোয়ার্ড নাবীব নেওয়াজ জীবন

পরিহাস করে অনেকেই তাকে ‘মিস মাস্টার’ নামে ডাকেন। এমন নামে ডাকার পেছনে কারণ একটাই গোল মিস। তবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের এবারের আসরটা তার যেভাবে কাটছে তা যেন কল্পনাকেও হার মানায়। প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই পাচ্ছেন গোলের দেখা, আছেন সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার দৌড়ে। বলছি ঢাকা আবাহনীর বাংলাদেশি ফরোয়ার্ড নাবীব নেওয়াজ জীবনের কথা। বিপিএলের চলতি মৌসুমে দেশি ফুটবলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল তিনি। গত সপ্তাহে ঢাকা আবাহনীর হয়ে ২টি গোল করেছেন জীবন। তিনিই আমাদের এ সপ্তাহের স্টার অব দ্য উইক। প্রায় এক মাসের বিরতির পর গত ৬ এপ্রিল থেকে ফের মাঠে গড়িয়েছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের চলতি মৌসুমের খেলা। গত সপ্তাহে লিগে ২টি ম্যাচ খেলেছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনী। এর একটি চট্টগ্রাম আবাহনীর বিপক্ষে এবং অপরটিতে আকাশি-নীলদের প্রতিপক্ষ ছিল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। যেখানে চট্টগ্রাম আবাহনীকে ২-০ গোলে হারিয়েছে বিপিএলের ছয়বারের চ্যাম্পিয়নরা। আর ঐতিহ্যবাহী দলটি শেখ জামালকে হারিয়েছে ৪-৩ গোলে। দুটি ম্যাচেই জীবনের পা থেকে আসে একটি করে গোল। সব মিলিয়ে ৮ গোল নিয়ে বিপিএলের চলতি মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলদাতাদের তালিকায় এখন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের বাল্লো ফামুসার সঙ্গে যৌথভাবে দ্বিতীয় স্থানে আছেন জীবন। এ তালিকায় শীর্ষে আছেন জীবনের ক্লাব সতীর্থ সানডে চিজোভা। আবাহনীর এই ফরোয়ার্ডের নামের পাশে আছে ৯ গোল। রহমতগঞ্জের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করে এবারের লিগে গোলের খাতা খুলেছিলেন নবীব নেওয়াজ জীবন। এরপর আরামবাগের বিপক্ষে করেন জোড়া গোল। এ ছাড়া সাইফ স্পোর্টিং, চট্টগ্রাম আবাহনী ও শেখ জামালের বিপক্ষে একবার করে বল জালে পাঠিয়ে হয়ে ওঠেন লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার জেতার অন্যতম দাবিদার। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের আগের ১০ আসরের ৯টিতেই সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার জিতেছেন বিদেশি ফুটবলাররা। কেবল একবার সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার উঠেছে বাংলাদেশি কোনো ফুটবলারের হাতে। তাও টুর্নামেন্টটির তৃতীয় আসরে। সেবার ২১ গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছিলেন আবাহনীর এনামুল হক। আর এবার জীবনের সামনে সুযোগ রয়েছে দ্বিতীয় স্থানীয় ফুটবলার হিসেবে সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার জেতার। ১৯৯০ সালের ১৭ আগস্ট বগুড়ায় জন্ম নেয়া নাবীব নেওয়াজ জীবনের পেশাদার ফুটবল ক্যারিয়ার শুরু হয় ২০১৩ সালে উত্তর বারিধারা স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে। প্রথম মৌসুমেই ক্লাবটির হয়ে ১৩ গোল করে বড় ক্লাবগুলোর নজর কাড়েন তিনি। ২০১৬ সালে ঢাকা আবাহনীতে যোগ দেয়ার আগে খেলেছেন টিম বিজেএমসি ও ঢাকা মোহামেডানে। ২০১৫ সালে বাংলাদেশ জাতীয় দলের জার্সিতে আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষেক ঘটে তার। জীবনের চাচা শাহীনুল কবির শিমুল আশির দশকে জাতীয় দলে স্ট্রাইকার হিসেবে খেলতেন। বাবা কাদের নেওয়াজ ছিলেন ফুটবলার। তাই ফুটবলের সঙ্গে শৈশবেই সখ্যতা গড়ে উঠে তার। ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন দেখতেন ফুটবলার হওয়ার। চাচা শাহীনুল কবির বলতেন মিডফিল্ডে খেলতে। কিন্তু জীবন চাইতেন স্ট্রাইকার হতে। শেষ পর্যন্ত নিজের চাওয়াটাকেই বাস্তবে রূপ দিলেন তিনি। নাবীব নেওয়াজ জীবন এখন বাংলাদেশের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App