×

বিশেষ সংখ্যা

নববর্ষে মিষ্টিমুখ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ এপ্রিল ২০১৯, ০৯:২৫ এএম

নববর্ষে মিষ্টিমুখ
মানব জীবনচক্রের নানা পর্যায়ে আমাদের সমাজে যেমন উৎসব-অনুষ্ঠানের রীতি প্রচলিত, তেমনি প্রকৃতি ও বর্ষপরিক্রমার নানান বাঁকে আছে উৎসব-অনুষ্ঠানের আয়োজন। বাঙালির বর্ষপরিক্রমায় শুধুমাত্র খাদ্য তালিকার বৈচিত্র্য খুঁজে পাবো আমরা নিচের লোকছড়াটিতে চৈত্রে গিমা তিতা বৈশাখে নালিতা মিঠা জ্যৈষ্ঠে কৈ আষাঢ়ে ভোর পান্তা শ্রাবণে দৈ ভাদ্রে তালের পিঠা আশ্বিনে শশা মিঠা কার্তিকে ওল অঘ্রাণে খলসে মাছের ঝোল পৌষে কাঞ্জি মাঘে তেল ফাল্গুনে গুড়-আদা-বেল। বাঙালির বছর ধরে চলে উৎসব-অনুষ্ঠান। এসব অনুষ্ঠানে সবাই মিলিত হয় প্রাণের আবেগে। ষড়ঋতুর বর্ষ পরিক্রমায় ঋতুচক্রের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে লোকবাংলার যেসব আয়োজন সুদীর্ঘকাল ধরে আমাদের গ্রাম-গঞ্জে নিয়মিত সেসব আয়োজন হয়ে আসছে। বাঙালির বর্ষপরিক্রমার প্রথম এবং প্রধান উৎসব ‘নববর্ষবরণ’। বঙ্গাব্দের সূচনায় বাঙালি নতুন বছরকে বরণ করে নিতে আয়োজন করে নববর্ষবরণ উৎসব। আমাদের সমাজের মানুষের ধারণা বছরের প্রথম দিন ভালো কাটলে সারা বছর ভালো কাটবে। নববর্ষে একজন অন্যের বাড়িতে গেলে সামর্থ্য অনুযায়ী তাকে আপ্যায়িত করে, মিষ্টিমুখ করায় এবং পরস্পরের সঙ্গে কোলাকুলি করে। সাম্প্রতিক সময়ে নববর্ষ উপলক্ষে শহরে বৈশাখীমেলার আয়োজন, মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন ইত্যাদি সাড়ম্বরে পালিত হলেও গ্রামের অনুষ্ঠানের আয়োজন ভিন্নমাত্রার। নববর্ষ উপলক্ষে গ্রামে কবাডি খেলা, দাড়িয়াবাঁধা খেলা, লাঠিখেলা, ষাঁড়ের লড়াই, ঘুড়ি উড়ানো ইত্যাদি খেলার আয়োজন হয়। গৃহস্থ বাড়িতে গৃহপালিত প্রাণীদের স্নান করানো হয়, কলকিতে রং লাগিয়ে গরু-ছাগলের গায়ে নকশা আঁকা হয় এবং ঘর-দুয়ার-উঠোন-আঙিনা পরিষ্কার পরিপাটি করা হয়। নববর্ষ উপলক্ষে ব্যবসায়ীরা হালখাতার আয়োজন করে। হালখাতার প্রস্তুতি চলে দুদিন আগে থেকেই। দোকানপাট দুদিন আগে থেকেই ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার করা হয় এবং দোকানের মালামাল পুনর্বিন্যাসের পাশাপাশি পুনর্মূল্যায়িতও হয় নববর্ষে। হালখাতার অনুষ্ঠানকে গ্রামে বলা হয় পুণ্যি। পুণ্যি অনুষ্ঠানে নিয়মিত ক্রেতাদের মিষ্টিমুখ করানো হয়। বর্ষবরণের আয়োজন ছাড়াও বর্ষপরিক্রমায় আমাদের গ্রামবাংলার নানা প্রান্তে আছে নানা আয়োজন। লক্ষ করলেই দেখা যাবে লোকবাংলার প্রতিটি আয়োজনের সঙ্গে কৃষির একটা সংযোগ আছে। জ্যৈষ্ঠ-আষাঢ় মাসে গ্রামে গ্রামে মানুষ আম কাঁঠাল দুধ খৈ নিয়ে আত্মীয় বাড়ি যায়, বিশেষত মেয়ের বাড়ি যায় এবং নিজেদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয়। শ্রাবণ-ভাদ্র মাসে গ্রামে গ্রামে ভরা নদীতে আয়োজন হয় নৌকাবাইচ; এই প্রতিযোগিতা কোনো কোনো ব্যক্তি এবং বংশের জন্য সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়। ভাদ্র মাসে মেয়েরা বাপের বাড়িতে নাইওর যায়। দীর্ঘদিন পর মেয়ের আগমন উপলক্ষে আয়োজিত হয় সামাজিক নানান উৎসব-অনুষ্ঠান। ভাদ্রে তালের পিঠা, কার্তিক শেষে মশা-মাছি তাড়ানো এবং নতুন ফসলের মঙ্গল কামনা। কার্তিকের শেষ দিন বাড়ি থেকে অশুভ তাড়াতে খড়ের ‘বুইন্দা’য় আগুন দিয়ে বাড়ির চারপাশে প্রদক্ষিণ করে খড়ের ‘বুইন্দা’টি নিজের ধানি জমিতে পুঁতে দেয়া হয়। বুইন্দা নিয়ে প্রদক্ষিণের সময় চিৎকার করে বলা হয় ‘বালা আয়ে বুড়া যায় মশা-মাছির মুখ পুড়া যায়’। মানুষের ধারণা এই ধোঁয়ার মাধ্যমে মশা-মাছি-অশুভ পতঙ্গ বিনাশ হবে এবং ক্ষেতে অধিক শস্য ফলবে। অঘ্রাণে নতুন ধান ওঠে কৃষকের ঘরে ঘরে, চলে নবান্নের উৎসব। রাতভর ঢেঁকিতে ধানভানা, আর ধানভানার গীত। ঢেঁকিতে ধান ভানার দৃশ্যটি এখন অবশ্য নিতান্তই বিরল। পৌষে পিঠা-পায়েশ তৈরির ধুম। মাঘে শীত সকালে নাড়ার আগুনে নিজেদের সেঁকে নেয়া। চৈত্রে চৈত্রসংক্রান্তির মেলা বান্নির মেলা-চরকগাছ ইত্যাদি। শীতের রাতে গ্রামে গ্রামে বাড়িতে বাড়িতে বসে কিসসাপালা, পুঁথিপাঠ, গাইনের গীত আর কীর্তনের আসর। সব মিলিয়ে আনন্দ-বেদনায় কেটে যায় আমাদের গ্রাম-বাংলার জীবনের প্রত্যহিকতা। আমাদের বর্তমান রচনা বাংলা নববর্ষে মিষ্টিমুখ নিয়ে। আগেই বলেছি লোকবাংলার বর্ষবরণ আর নগরসংস্কৃতির নববর্ষ বরণের পার্থক্য নিয়ে। বাঙালির নাগরিক জীবনে নববর্ষে পান্তা-ইলিশ, পাটশাক, শুঁটকি ভর্তা (চ্যাপা শুঁটকি/ হিদল ভর্তা) সম্প্রতি খুবই জনপ্রিয়তা পেয়েছে; যার সঙ্গে লোকজীবনের সামান্য মিলও নেই; যে মিলটি সর্বত্র বিরাজমান তা হলো ‘মিষ্টিমুখ’। সামর্থ্য অনুযায়ী দেশজুড়ে বাঙালি নববর্ষে মিষ্টিমুখ করতে চায়। নববর্ষে বাঙালির মিষ্টি খাওয়ায় অভিন্নতা লক্ষ করা যায়। রবীন্দ্রনাথের কালজয়ী সেই গানের বাণী আমরা অন্তরে কতটা ধারণ করি সে প্রশ্নটি কখনো কি নিজেকে করেছি? কখনো কি নিজের ভেতরের অন্ধকারটি সরিয়ে দিতে সচেষ্ট হয়েছি আমরা? না কি গান গেয়ে পরক্ষণেই ভুলে গেছি তার মর্মকথা? এসো হে বৈশাখ এসো এসো তাপসনিঃশ্বাস বায়ে মুমূর্ষুরে দাও উড়ায়ে বৎসরের আবর্জনা দূর হয়ে যাক \ যাক পুরাতন স্মৃতি, যাক ভুলে যাওয়া গীতি অশ্রুবাষ্প সুদূরে মিলাক \ মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা, অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা। রসের আবেশরাশি শুষ্ক করি দাও আসি, আনো আনো আনো তব প্রলয়ের শাঁখ। মায়ার কুজ্ঝটিজাল যাক দূরে যাক \ এ গান কেবল বৈশাখ বা নতুন বছরকে বরণ করার স্তোত্রপাঠ নয়, বরং এ গান আমাদের জীবনের প্রাত্যহিকতাকে নবায়নের গান; এ গান তাই প্রতিদিনের। রবীন্দ্রনাথ আমাদের জন্য সংস্কৃতির যে মাত্রা নির্ধারণ করে রেখে গেছেন, সে কথা আমাদের প্রাগ্রসর মানুষেরা বক্তৃতা-বিবৃতি আর পাণ্ডিত্যপূর্ণ প্রবন্ধে উচ্চারণ করেন, ব্যক্তিগত জীবনাচারে তা চর্চায় আনতে চান না সচেতনভাবেই। জীবনাচারে শুদ্ধতার চর্চা করলে যদি স্বার্থ বিঘ্নিত হয়? হয়তো সে-ই তাঁদের ভয়! বাংলা নববর্ষ যেহেতু সর্ববাঙালির সর্বজনীন উৎসব, সঙ্গত কারণেই নববর্ষ নিয়ে বাঙালির আবেগেরও অন্ত নেই। উৎসবপ্রবণ বাঙালির জীবনে উৎসবের অনিবার্য অনুষঙ্গ হয়ে আছে মিষ্টি। মিষ্টির ইতিহাস অথবা ঠিকুজি পড়ে বাঙালি কখনো মিষ্টির দোকানে যায় না। অবশ্য বাঙালি যে কেবল দোকানে গিয়েই মিষ্টি খায়, তা নয়; আমাদের ঘরে ঘরেও নানান বৈচিত্র্যপূর্ণ মিষ্টান্ন তৈরির পরম্পরা আছে। তবে বাঙালির জীবনে আদি ছানার মিষ্টি বলতে রসগোল্লাকেই জানি। এর আগে বাঙলি মিষ্টি বলতে চিনি-নারকেল যোগে সন্দেশ অথবা মণ্ডজাতীয় মিষ্টিকেই জানতো। বাঙালির আদি মিষ্টির মধ্যে ‘প্যারা’ও একটি উল্লেখযোগ্য মিষ্টি। প্যারা মিষ্টিটি তৈরি হয় দুধের ক্ষীর থেকে। ময়মনসিংহের ‘প্যারা’ মিষ্টির কথা শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় লিখেছেন তাঁর ‘দূরবীন’ ও ‘উজান’ উপন্যাসে। মিষ্টির জন্য ছানার ব্যবহার বাঙালি প্রথম শেখে ডাচদের কাছে। ডাচদের কাছে বাঙালি ছানা তৈরির প্রক্রিয়া শিখলেও ছানা থেকে মিষ্টি তৈরি এবং মিষ্টিতে বৈচিত্র্য আনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখেন সেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, যিনি বাঙালির শিষ্টসংস্কৃতির রূপকার। কথাশিল্পী শংকর তাঁর ‘বাঙালির খাবার দাবার’ গ্রন্থে বলেন, ‘ছানা ও চিনি অনেকটা সাহিত্যের কাগজ ও কলমের মতো রবীন্দ্রনাথের হাতে পড়লে এক রকম ফল, আর হরিদাস পালের হাতে পড়লে আরেক রকম।’ মিষ্টিশিল্পকেও রবীন্দ্রনাথ তাঁর সৃজনচিন্তা দিয়ে ঋদ্ধ করে তুলেছিলেন। রবীন্দ্রনাথের স্পর্শে মিষ্টিশিল্প যেমন মহিমান্বিত হয়েছে, তেমনি রবীন্দ্রনাথও মিষ্টিশিল্পে অবদানের জন্য অমর হয়ে আছেন। রবীন্দ্রনাথের পাশাপাশি সন্দেশের স্থপতি নকুড় নন্দী, রসগোল্লার উদ্ভাবক নবীন দাস ও ভীম নাগেরা’র নামও আজ ইতিহাসে অমর হয়ে আছে। রবীন্দ্রনাথের পাশে অন্য যাদের নাম উচ্চারণ করা হলো তাঁরা সবাই ছিলেন মিষ্টির কারিগর এবং ব্যবসায়ী। মিষ্টিপ্রিয় বাঙালির জীবনে আজ যত বিচিত্র মিষ্টির নাম-পরিচয়ই আমরা শুনি, বাঙালি কিন্তু মিষ্টি বলতে প্রথমত এবং প্রধানত রসগোল্লাকেই চেনে; আর মিষ্টান্ন বলতে পায়েশ, ক্ষীর, সন্দেশ, রসমঞ্জরী, তকতি-বরফি-মোরব্বা, নাড়ু ইত্যাদিকে জানে। বাঙালির জীবনে মিষ্টিপ্রিয়তায় মুসলমান বাদশাহদের ভ‚মিকাও নিতান্ত গৌণ নয়। কালপরিক্রমায় আজও বাঙালির দারিদ্র্য-সংকটে মিষ্টপ্রিয়তা বিভিন্নভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হলেও মিষ্টি নিয়ে বাঙালির আগ্রহ এবং উদ্দীপনা মিষ্টির ইতিহাসে যুক্ত করেছে বৈচিত্র্য, কিংবদন্তি এবং কল্পকাহিনী। ১৯৭৪-এ দুর্ভিক্ষের সময় মানুষ যখন দুবেলা দুমুঠো ভাতের সংস্থান করতে পারেনি, তখনো মিষ্টির দোকানে ভিড় দেখা গেছে, তখনো মানুষকে ভিড় করে মিষ্টি কিনতে দেখা গেছে; তখন জেনেছিলাম যারা ভিড় করে মিষ্টি কিনছে তারা সবাই মানুষ নয়, অধিকাংশই জিন; যত্ন নিয়ে লক্ষ করলেই দেখা যাবে ওদের পাগুলো সব উল্টোদিকে; এ কথার সত্যতা কখনো যাচাই করে দেখা হয়নি; সত্যতা যাচাই করে দেখা না হলেও জিনেরা যে মিষ্টির দোকানে ভিড় করে মিষ্টি কেনে, কথাটির বিজ্ঞানভিত্তিক কোনো ব্যাখ্যা না থাকলেও বিশ্বাস করতে ভালোই লেগেছিল। বাংলাদেশের মিষ্টির সুখ্যাতি আছে বিশ্বব্যাপী, আবার কোনো কোনো মিষ্টির আছে দেশজোড়া সুনাম। যেমন রাজবাড়ীর চমচম, রাজশাহীর রসকদম, নাটোরের কাঁচাগোল্লা, যশোরের জামতলার রসগোল্লা ও চমচম, ফরিদপুরের মালাইসর, বরিশালের গটিয়া সন্দেশ ও আদি রসগোল্লা, দিনাজপুরের ক্ষীরমোহন, রংপুরের হাবসি হালুয়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জের তকতি, পাবনার ইলিশপেটি, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছানামুখী, টাঙ্গাইলের চমচম ইত্যাদি। এসব মিষ্টির পাশাপাশি বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের মিষ্টির সুনাম-সুখ্যাতি এবং স্বাদ-গুণ বিবেচনায় বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত বলেই এসব মিষ্টির কদর ও গৌরব দেশব্যাপী এমনকি দেশের বাইরেও। বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের মিষ্টির মধ্যে কিশোরগঞ্জের কাঁচাগোল্লা, টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচম, শেরপুরের অমৃত্তি, জামালপুরের প্যারা, নেত্রকোনার বালিশমিষ্টি, ময়মনসিংহের মালাইকারী এবং ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার মণ্ডার খ্যাতি দেশব্যাপী এবং বিশ্বময়। বৃহত্তর ময়মনসিংহের কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামের পনির এক সময় বাংলাদেশের পনিরের চাহিদা মেটালেও আজ আর সে বাস্তবতা নয়। গুণে-মানেও অষ্টগ্রামের পনিরের খ্যাতি ছিল দেশজোড়া। উৎসব উপলক্ষে পাঠকের ঘরে ঘরে মিষ্টি পাঠাতে না পারি মিষ্টিবার্তা পাঠানোর আনন্দ থেকে নিজেকে বঞ্চিত করতে চাই না; তাই আজ বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলসহ বাংলাদেশেরে মিষ্টির সামান্য পরিচিতি তুলে ধরতে চেয়েছি আমার পাঠকের কাছে। দেশের যে কোনো অঞ্চলের তুলনায় বৃহত্তর ময়মনসিংহের মিষ্টির সম্ভার বর্ণাঢ্য এবং বৈচিত্র্যময়। সা¤প্রতিক সময়ে ব্যবসায়ক্ষেত্র প্রসারের ফলে জলুস প্রদর্শন-প্রবণতা বৃদ্ধির ফলে প্রতিটি শো-রুমে বৈচিত্র্যময় মিষ্টি দেখতে পাওয়া যায়। ভারতের শত্তিগড়ের বিখ্যাত ‘ল্যাংচা’ মিষ্টিও বাংলাদেশের বিভিন্ন দোকানে দেখতে পাওয়া যায়। বিভিন্ন মিষ্টির দোকানে যেসব মিষ্টির সাক্ষাৎ মেলে, তার মধ্যে মণ্ডা, মালাইকারী, চমচম, বালিশ, লালমোহন, দানাদার, কালোজাম, কাঁচাগোল্লা, কাঁচাসন্দেশ, রসমালাই, প্যারা, ছানার অমৃত্তি, গুড়ের সন্দেশ, বুঁদিয়ার লাড্ডু, ছানার পোলাও ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। ‘মধুমেহ’ রোগের কারণে অনেকেই মিষ্টি অনীহা প্রকাশ করলেও নববর্ষে সবাই মিষ্টি খেতে চায়, হোক তা কৃত্রিম মিষ্টি দিয়ে বানানো। বাঙালির নববর্ষে মিষ্টি খাবার প্রবণতা বেঁচে থাকুক; আর সম্বৎসর বাঙালি পরস্পরের সঙ্গে মিষ্টিসুরে কথা বলুক; সমাজে সবার মধ্যে মিষ্টিসম্পর্ক বিরাজ করুক; আসুন নববর্ষে সবাই মিষ্টি খেতে খেতে এই প্রতিজ্ঞায় অঙ্গীকারাবদ্ধ হই।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App