×

জাতীয়

মহারশী নদীর বালু লুটপাটের অভিযোগ দুদকে ফাইল বন্দি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ এপ্রিল ২০১৯, ০৫:০৬ পিএম

মহারশী নদীর বালু লুটপাটের অভিযোগ দুদকে ফাইল বন্দি
শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে মহারশী নদীর বালু লুটপাটের অভিযোগ দুদকে ফাইল বন্দি হয়ে পরে আছে। ২ বছরেও এর কোনো অগ্রগতি হয়নি। ফলে মহারশী নদী থেকে বালু লুটপাট অব্যাহত রয়েছে। জানা গেছে, স্থানীয় ছামিউল ফকির নামে এক বালু ব্যবসায়ী মহারশী নদী থেকে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বালু লুটপাট চালিয়ে আসছে। স্থানীয় বাসীন্দারা জানায়, ২০০৫ সাল থেকে এ নদীতে চলছে অবৈধভাবে বালু লুটপাটের মহোৎসব। হলদী গ্রামের আব্দুল কাদের, আঃ মজিদ, গোমড়া গ্রামের জজ মিয়া, জামাল উদ্দিনসহ এলাকাবাসী জানায়, ছামিউল ফকির মহারশী নদীতে ৪০-৫০টি শ্যালোমেশিন বসিয়ে অবাধে বালু উত্তোলন করে আসছে। তারা বলেন, এ নদী থেকে প্রতিদিন গড়ে ১০-১৫ লাখ টাকা মূল্যের বালু উত্তোলন করা হয়। এসব বালু দেশের বিভিন্ন স্থানে তা বিক্রি করা হচ্ছে। এভাবে অবাধে বালু লুটপাট করা হলেও এসব দেখার যেন কেউ নেই। জানা গেছে ২০০৪সালে ১ বছর মেয়াদী বালু উত্তোলনের জন্যে খনিজ মন্ত্রনালয় থেকে লিজ নেয়া হয়। ১বছরের জন্য ৩০ হাজার টাকায় এ বালু মহলটি ইজারা নেয়া হয়। মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর সামিউল ফকির পুনরায় ইজারার মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন করেন খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয়ে। এ সময় খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয় বালু মহালের কর্তৃত্ব জেলা প্রশাসনের উপর ন্যাস্ত হওয়ার বিষয় উল্লেখ করে সামিউল ফকিরের আবেদনটি বাতিল করে দেন। পরে সামিউল ফকির বালু মহালের উপর হাই কোর্টে একটি রিট মামলা দায়ের করেন। আদালত উক্ত মামলার প্রেক্ষিতে ৩ সপ্তাহের জন্য বালু মহালের উপর স্থিতি অবস্থা বজায় থাকার নির্দেশ দেন। কিন্তু সামিউল ফকির আদালতের নির্দেশ অমান্য করে বালু এ নদী থেকে বালু উত্তোলন অব্যাহত রেখেছেন। এদিকে ২০০৪ সালের নেয়া ৩০ হাজার টাকা প্রতি বছর ট্রেজারী চালানের মাধ্যমে খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয় বরাবর প্রেরণ করা হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। উক্ত বালু মহালের বর্তমান ইজারা মুল্য হবে ১০ কোটি টাকা। ২০১৭ সালে উপজেলার রামেরকুড়া গ্রামের মৃত হায়দার আলীর ছেলে সোহেল হোসাইন এসব বালু লুটপাটের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) প্রধান কার্যালয়ে একটি অভিযোগপত্র প্রেরণ করেন। উক্ত অভিযোগটি যাচাই-বাছাই স্মারক নং দুদক/অভিঃ যাচাই-বাছাই/ ৮৬-২০১৭/৫৮৬৩, তাং ১৯/০২/২০১৭ ইং যাচাই-বাছাই কমিটিতে স্থান পায়। কিন্তু র্দীঘ প্রায় ২ বছরেও দুদক এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। ফাইল বন্দি হয়ে পড়ে আছে দুদক কার্যালয়ে। এ নিয়ে সামিউল ফকিরের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আদালত আমাকে বালু উত্তোলনের অনুমতি দিয়েছেন। তাই বালু উত্তোলন করে আসছি। তিনি বৈধভাবে বালু উত্তোলন করেন বলে জানান। ইউএনও রুবেল মাহমুদ বলেন, বালু উত্তোলন বিষয়ে বৈধ কোন অনুমতি আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App