ব্যক্তিগত পর্যায়েও নদীতে বর্জ্য ফেলবেন না: প্রধানমন্ত্রী
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১ এপ্রিল ২০১৯, ০৭:১৬ পিএম
বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা/ছবি: পিআইডি
কলকারখানা থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত পর্যায়েও নদীতে বর্জ্য ফেলা বন্ধ করে নদীকে দূষণের হাত থেকে রক্ষা করতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় আয়োজিত বিশ্ব পানি দিবসের অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বব্যাপীই এটি একটি সমস্যা। এই সমসাটি নদীতেই কেবল নয়, সাগরেও দেখা দিচ্ছে, সমুদ্রগামী জাহাজের মাধ্যমে বর্জ্য ফেলা। আমি সবাইকে বলবো, নদীতে বর্জ্য ফেলা বন্ধ করতে হবে। কারণ এটি বড় একটি সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে।
তিনি বলেন, শিল্প প্রতিষ্ঠান যারা গড়ে তুলবেন তারা যেন নদীদূষণ না করেন। সেজন্য তাদের আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নির্মাণ করতে হবে, পানি শোধনাগার করতে হবে।
একই সঙ্গে চলাচল করার সময় ব্যক্তিগত পর্যায়েও রাস্তা-ঘাট, নদীসহ এদিক সেদিকে বর্জ্য না ফেলার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
নদীগুলোকে দুষণমুক্ত করতে সংশ্লিষ্টদের যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, নদী সংরক্ষণের সঙ্গে যারা জড়িত তারা যার যার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবেন যেন ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারি।
সবুজায়নে কাজ করতে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে বলবো কেবল নদী ড্রেজিং করলেই হবে না, সেখানে বৃক্ষরোপণটাও করে দিতে হবে। প্রতিটি উপকূল অঞ্চলে সবুজ বেষ্টনীর সৃষ্টি করতে হবে।
দৈনন্দিন কাজে পানি ব্যবহারে সবাইকে মিতব্যয়ী হওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
চলতি মেয়াদে ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ পুনঃখনন করে নৌ চলাচলের উপযোগী করা হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
আরও ড্রেজার সংগ্রহের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ২২টি, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং সেনাবাহিনীর আওতায় ৪০টি ড্রেজার রয়েছে। আরও ৮০টি ড্রেজার সংগ্রহ প্রক্রিয়াধীন।
নদী ভাঙন রোধে বালু মহাল নিয়ে জেলা প্রশাসনগুলোকে নির্দেশনা দেওয়ার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডিসিদের নির্দেশ দিয়েছি এক জায়গায় বেশিদিন করা যাবে না। বালু মহলগুলি ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে করতে হবে যাতে করে আমাদের ওই অঞ্চলটা নদী ভাঙনের হাত থেকে মুক্তি পেতে পারে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা ও ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ এর উপর দু’টি ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুকের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান রমেশ চন্দ্র সেন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন পানি সম্পদ সচিব কবির বিন আনোয়ার।