×

জাতীয়

মেয়ের হত্যাকারীদের শাস্তির দাবিতে ফের রাস্তায় বাবা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০ এপ্রিল ২০১৯, ১১:০০ পিএম

মেয়ের হত্যাকারীদের শাস্তির দাবিতে ফের রাস্তায় বাবা

ছবি: সংগৃহীত

‘হয় আপস করো, না হয় মরো’ একমাত্র মেয়ের হত্যা মামলা তুলে নিতে এভাবেই এক বাবাকে হুমকি দিচ্ছে আসামি পক্ষের লোকজন। মেয়ে কামরুন নাহার তুর্ণার হত্যার বিচার ও নিজের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে আজ বুধবার দুপুর ১২টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধ মফিজুল হক। তুর্ণার ছবিসংবলিত একটি ব্যানার গলায় ঝুলিয়ে একাই অবস্থান নেন। মৃত্যুর আগে মেয়ে হত্যার বিচার দেখে যাওয়ার আকুতি জানান এ অসহায় বাবা।

জানা গেছে, ২০১২ সালের জানুয়ারি মাসে জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার চরচারতলা গ্রামের আমিরুল হকের ছেলে আরিফুল হক রনির সঙ্গে পারিবারিকভাবে তার চাচাতো বোন কামরুন নাহার তুর্ণার বিয়ে হয়। তাদের একটি মেয়েসন্তানও রয়েছে। বিয়ের পরই তাদের মধ্যে পারিবারিক বিষয় নিয়ে কলহ দেখা দেয়। এ কলহের জেরে ২০১৭ সালের ২৪ এপিল তুর্ণাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন রনি।

হত্যার সময় তুর্ণা তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। হত্যার পর তুর্ণার মরদেহ বাড়ির একটি পরিত্যক্ত পানির ট্যাংকে লুকিয়ে রাখা হয়। এ ঘটনায় তুর্ণার স্বামী রনিকে আসামি করে ২৫ এপ্রিল আশুগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন মফিজুল হক। পরে ওই বছরের ২১ মে আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক রনিকে কারগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

পরবর্তীতে জামিনে কারামুক্ত হন রনি। ইতোমধ্যে আদালতে হত্যা মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। এরপর থেকেই মামলা তুলে নিয়ে আপস করার জন্য তুর্ণার বাবা মফিজুল হককে নানাভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন রনি ও তার পরিবারের লোকজন।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে মফিজুল হক বলেন, আসামি পক্ষের লোকজন আমাকে বারবার হুমকি দিচ্ছে আপস না করলে আমাকে মেরে ফেলবে। আমার তো কোনো ওয়ারিশ নেই, তাই আমাকে হত্যা করেলে আমার বিচার চাওয়ারও কেউ নেই। সেজন্য আমাকে এলাকার সর্দারদের দিয়ে চাপ দিচ্ছে মামলা তুলে নিতে। আমি একা অসহায় অবস্থায় আছি, আমার কেউ নেই। আমি বিপদে আছি। আমার মেয়ের হত্যার বিচার যেন হয়, আসামির যেন সর্বোচ্চ শাস্তি হয়।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার) মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন বলেন, মফিজুল হক তাকে হুমকি দেয়ার কোনো অভিযোগ থানায় করেছেন কিনা সেটি আমার জানা নেই। তবে অভিযোগ করে থাকলে বিষয়টি তদন্ত করে বিয়ষটি আদালতকে জানানো হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App