সেমিফাইনালে অ্যাঞ্জেলিক কারবার

আগের সংবাদ

দখিনে তরমুজের বাম্পার ফলন

পরের সংবাদ

অনুশীলনে মাহমুদউল্লাহ

প্রকাশিত: এপ্রিল ৭, ২০১৯ , ৩:০৪ অপরাহ্ণ আপডেট: এপ্রিল ৭, ২০১৯ , ৩:০৪ অপরাহ্ণ

কাঁধে তীব্র ব্যথা নিয়ে নিউজিল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফিরেছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ইচ্ছে থাকা সত্তে্বও খেলতে পারছেন না ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে। এমনকি ইনজুরির কারণে তার বিশ্বকাপে খেলতে পারা নিয়েও রয়েছে শঙ্কা। তবে টাইগার সমর্থকদের জন্য সুখবর, গতকাল থেকে ব্যাটিং অনুশীলন শুরু করেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
বিশ্বকাপের আগেই নিজেকে ফিট করে করে তোলার জন্য জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার। গত কয়েক দিন মাঠে এসে নিয়মিত রানিং-জিম করেছেন তিনি। গতকাল দুপুরে প্যাড পায়ে ব্যাট হাতে একাডেমি মাঠে ছুটতে দেখে সাংবাদিকরা কৌত‚হলবশত জানতে চান, ব্যাট করবেন কিনা। উত্তরে রিয়াদ বলেন, আর কত! ২১ দিন ধরে ব্যাট করি না। আজ (গতকাল) করব।
এরপর বিসিবির একাডেমি মাঠের নেটে প্রায় ৪০ মিনিট ব্যাটিং অনুশীলন করেন মাহমুদউল্লাহ। খেলেছেন পেস-স্পিন উভয় ধরনের বোলিংয়ের বিপক্ষেই। ব্যাটিং অনুশীলনের পর জানান, কোনো সমস্যা উপলব্ধি করিনি। কোনো অস্বস্তি ছিল না। শতভাগ এফোর্ট দিয়েই ব্যাট করেছি। ব্যথা নেই। মাহমুদউল্লাহর ব্যাটিং পর্যবেক্ষণ করেন বিসিবির ফিজিও বায়েজিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, আপাতত এভাবেই নিয়মিত ব্যাটিং অনুশীলন করে যেতে হবে রিয়াদকে। তবে বোলিং শুরু করতে আরো কিছুটা সময় লাগবে। আগামী ৩০ মে থেকে শুরু হতে যাচ্ছে বিশ্বকাপের দ্বাদশ আসর। সে হিসাবে আর বাকি আছে আর মাত্র ৫৩ দিন। এ সময়ের মধ্যেই অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সম্পূর্ণ ফিট হয়ে উঠাটা বেশ জরুরি।
বিশ্বকাপে মাহমুদউল্লাহর রেকর্ড দারুণ উজ্জ্বল। এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে দুটি সেঞ্চুরি রয়েছে টাইগারদের। আর এই দুটি সেঞ্চুরিই এসেছে মাহমুদউল্লাহর ব্যাট থেকে। তাও গত বিশ্বকাপে। ২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ওই বিশ্বকাপ আসরে টানা দুই ম্যাচে শতক হাঁকান বর্তমানে ৩৩ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার। এ দুটি শতকের একটি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এবং অপরটিতে প্রতিপক্ষ ছিল নিউজিল্যান্ড। ইংলিশদের বিপক্ষে তিনি খেলেছিলেন ১০৩ রানের নান্দনিক ইনিংস। আর কিউইদের বিপক্ষে তিনি অপরাজিত ছিলেন ১২৮ রানের দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করে।
মাহমুদউল্লাহ এখন পর্যন্ত দুটি বিশ্বকাপ খেলেছেন। ২০১১ সালের বিশ্বকাপে ৪টি ম্যাচ খেলে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছিলেন তিনবার, করেছিলেন ৩২ রান। ওই বিশ্বকাপে বল হাতে নিয়েছিলেন ৩ উইকেট। তবে ২০১৫ বিশ্বকাপে ৬টি ম্যাচ খেলেছিলেন এই অলরাউন্ডার। এর মধ্যে মিডল অর্ডারে ব্যাট করতে নেমে ২ সেঞ্চুরি ও ১ হাফ সেঞ্চুরিতে করেছিলেন ৩৬৫ রান। গড় ছিল ৭৩। আর অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ওই বিশ^কাপে বল হাতে ১টি উইকেট পেয়েছিলেন তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়