×

জাতীয়

পিবিআইয়ের তদন্তে রুবির বক্তব্যের সত্যতা মেলেনি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ এপ্রিল ২০১৯, ০৪:০৭ পিএম

পিবিআইয়ের তদন্তে রুবির বক্তব্যের সত্যতা মেলেনি
হত্যা না আত্মহত্যা- এই বিতর্কেই দীর্ঘ ২২ বছর পার। দফায় দফায় তদন্ত সংস্থা বদল আর তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন করা হলেও জট খোলেনি নব্বই দশকের সাড়া জাগানো নায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর রহস্য। চাঞ্চল্যকর এই মামলাটি গত দুই বছর ধরে তদন্ত করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তাদের তদন্তেও এখনো পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই। ‘হত্যা’ ও ‘আত্মহত্যা’ নিয়ে দুই দশক ধরে চলমান বিতর্কের মাঝে ২০১৭ সালের এক ভিডিও বার্তায় ‘সালমান আত্মহত্যা করেনি, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে’Ñ এমন বক্তব্য দিয়ে আলোচনায় আসেন আমেরিকা প্রাবাসী রাবেয়া সুলতানা রুবি। যিনি এই মামলার ৭ নম্বর আসামি। তখন রুবির ওই বক্তব্য নিয়ে দেশে-বিদেশে থাকা সালমান ভক্তদের মাঝে তোলপাড় শুরু হয়। আলোচনার ঝড় ওঠে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও। ফলে নড়েচড়ে বসে তদন্ত সংস্থা পিবিআই। রুবির ওই বক্তব্যকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে জোর তদন্তে নামে তারা। কিন্তু তাদের দীর্ঘ তদন্তে রুবির ওই বক্তব্যের কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে পিবিআইয়ের ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার ভোরের কাগজকে বলেন, সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যা- তা বলার সময় এখনো আসেনি। আমরা এখন পর্যন্ত ২৪-২৫ জন সাক্ষীর বক্তব্য পেয়েছি। আরো কিছু সাক্ষীর বক্তব্য লাগবে, যাদের অনেকেই দেশের বাইরে আছেন। সবার সাক্ষ্য নেয়ার পর আমরা একটি চ‚ড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারব। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এক ভিডিওতে আমেরিকা প্রবাসী রুবি যে বক্তব্য দিয়েছিলেন, তা সত্য নয়। রুবির ওই বক্তব্যকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে তদন্ত করেছি। কিন্তু তার বক্তব্যের কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা অবস্থায় ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সালমান শাহর আকস্মিক মৃত্যুর পর অভিযোগের তীর ওঠে সালমানের স্ত্রী সামিরা হক, তার পরিবার ও চলচ্চিত্র প্রযোজক-ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের দিকে। সালমানের পরিবারের অভিযোগ, সালমানকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। যদিও সালমান শাহর মরদেহের দুবারের ময়নাতদন্তেই আত্মহত্যার কথা বলা হয়েছে। চাঞ্চল্যকর এই মামলার আসামিরা হলেন- সালমানের স্ত্রী সামিরা হক, আজিজ মোহাম্মদ ভাই, সামিরার মা লুসি, রিজভী আহমেদ ফরহাদ, নজরুল শেখ ডেভিড, আশরাফুল হক ডন, রাবেয়া সুলতানা রুবি, মোস্তাক ওয়াহিদ, আবুল হোসেন, মনোয়ারা বেগম প্রমুখ। তবে আসামিরা কে কোথায় আছেন তার সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই তদন্ত সংস্থার কাছে। তদন্ত সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র মতে, সালমান শাহ গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলা হলেও কেউ তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেনি। সাক্ষীরা তাকে বিছানায় শুয়ে থাকতে দেখেছে বলে আগের তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে। এ ছাড়া আত্মহত্যা করলেও সালমান শাহর মুখ কেন বিকৃত হয়নি? সালমানকে কেন দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হয়নি? কেন তার শরীরে তেল মালিশ করা হচ্ছিল? সালমানের লাগেজে চেতনানাশক ওষুধ পাওয়ার রহস্যই বা কী? সেখানে কেন ভেজা তোয়ালে ছিল? সালমানের পরিবারের এমন অনেক প্রশ্নের উত্তর মেলাতে পারছেন না তারা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App