×

জাতীয়

স্বাধীনতার বিরেধীরা ক্ষমতায় আসলে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস নষ্ট হয়

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫ এপ্রিল ২০১৯, ০১:১০ পিএম

স্বাধীনতার বিরেধীরা ক্ষমতায় আসলে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস নষ্ট হয়
বেসরকারী বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট মাহবুব আলী বলেছেন ৪ এপ্রিল একটি ঐতিহাসিক দিন। একদিন আমরা কেউ থাকব না কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের ইতিহাস থাকবে। তেলিয়াপাড়া দিবস থাকবে। আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধ শেষ হয়েছে। পাকিস্তানীদের কাছে আমরা পরাজিত হয়নি। এ দেশের মুক্তিযোদ্ধারা এখনো জিবিত আছে, তাদের সন্তানরা জিবিত আছে আমাদের পূর্ব পুরুষরা যেমন পাকিস্তানীদের কাছে পরাজিত হয়নি আমরাও কোনাদিন তাদের উত্তরাধিকারিদের কাছে পরাজিত হব না। আমাদের একটাই করনিয় যাতে রাজাকার আলবদর রাষ্ট্রিয় ক্ষমতায় এসে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস কে কলংকিত করতে না পারে। রাজাকার আলবদর রাষ্ট্রিয় ক্ষমতায় আসলে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস মানুষের কাছে নষ্ট হয়ে যায়। এ দেশে বিরোধীদল থাকবে কিন্তু তারাও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের হতে হবে। বুলেট যেমন মাথা উচু করে দাড়ানো আমরাও তেমনি তেলিয়াপাড়া কে নিয়ে মাথা উচু করে দাঁড়াব। মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন , আপনাদের সকল দাবি পুরন করা হবে। তিনি বৃহস্পতিবার ঐতিহাসিক তেলিয়াপাড়া দিবসে মুক্তিযোদ্ধা -জনতার মহা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানের সময় এ কথা গুলো বলেন। ৪ঠা এপ্রিল তেলিয়াপাড়া দিবসে তেলিয়াপাড়া চা বাগান স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত মুক্তিযোদ্ধা জনতার মহাসমাবেশে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ফজলুল জাহিদ পাবেলের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাবেক সেনাপ্রধান ৩নং সেক্টর কমান্ডার কেএম শফিউল্লাহ বলেন ১৯৭১ সালের ১৮ই মার্চ জয়দেবপুর থেকে ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের একদল সৈন্যবাহিনী নিয়ে ২৮শে মার্চ ভারত সীমান্তবর্তী তেলিয়াপাড়া চা বাগানে আসেন। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে ৪ এপ্রিল তেলিয়াপাড়া চা বাগান বাংলোতে ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সামরিক কর্মকর্তাদের বৈঠক করে যুদ্ধ শুরু করেন। পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য দেশের মুক্তিকামী জনগণকে প্রশিক্ষণ অস্ত্র দিয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। স্বাধীনতা যুদ্ধে তেলিয়াপাড়ার ভূমিকা ঐতিহাসিক। ঐ স্থানটিকে নতুন প্রজন্মের জন্য ইতিহাস শিক্ষার জন্য সংরক্ষণ করে জাতীয় স্বীকৃতি প্রয়োজন। ম্যানেজার বাংলোটিকে জাদুঘর ঘোষণা করে মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন স্মৃতি সংরক্ষণ করে রাখা প্রয়োজন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মেজর জেনারেল অবঃ হেলাল মুর্শেদ খান বলেন, ৭ই মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন তৈরি থাক। ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। জাতির জনকের ঘোষণা মুক্তিযোদ্ধারা সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধে অংশ না নিলে দেশ স্বাধীন হত না। ৪ঠা এপ্রিল মুক্তিযুদ্ধের প্রথম বৈঠক হয়েছিল তেলিয়াপাড়া চা বাগান বাংলোতে। ঐ স্থানটিকে ইতিহাসের পাতায় ধরে রাখার জন্য মুক্তিযুদ্ধের যুদ্ধক্ষেত্র সংরক্ষণ স্থান হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। রাজনৈতিক, সামরিক ও কুটনৈতিক প্রচেষ্ঠার সম্বলিত ফল হচ্ছে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ। বক্তারা মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক ওই স্থানটিকে পর্যটন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করার জন্য বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রীর নিকট জোর দাবি জানান। জবাবে বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী এই স্থানটিকে সংরক্ষনের জন্য সরাকরি ভাবে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে ঘোষণা করেন। জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার এড. মোহাম্মদ আলী পাঠানের পরিচালনায় মুক্তিযোদ্ধা জনতার সমাবেশে অন্যান্যদের বক্তব্য রাখেন হবিগঞ্জ ১ আসনের সংসদ সদস্য শাহনেওয়াজ মিলাদ গাজী, নরসিংদী জেলা প্রশাসক সৈয়দা ফারজানা কাউনাইন, ঢাকা মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সভাপতি আমির হোসেন, নরসিংদীর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার আঃ মোতালেব, হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্লাহ, নবীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান সেলিম চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শেখ আতিকুল বাবু, মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্রীমতি মল্লিকা দে প্রমুখ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App