বাউফলে এক প্রসূতি মাকে সিজার করতে গিয়ে চিকিৎসকের অবহেলায় নবজাতক ও মায়ের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার গভীর রাতে উপজেলার কালাইয়া বন্দর লঞ্চ ঘাট সড়কের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সাহেদা গফুর হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে ৯৯৯ নম্বর ও বাউফল থানায় ফোন দিয়ে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থল এসে ভুক্তভোগীদের আইনি সহায়তা দেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেন। মৃত্যু ওই প্রসূতির নাম মোসাঃ জুলিয়া বেগম। জুলিয়া কালাইয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মাসুদ রানার স্ত্রী। সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, প্রসূতি জুলিয়া মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুপুরের দিকে ওই হাসপাতালে ভর্তি হন। বিকেলে তার প্রথমিক সকল পরীক্ষা শেষে চিকিৎসক আফিয়া ফারজানা তন্নী রাত ১০টার দিতে তাকে সিজার করার জন্য অপরেশন থিয়েটারে নিয়ে যান। এসময় স্বজনরা বাইরে অপেক্ষা করছিলেন। প্রায় ৩ ঘন্টা অপেক্ষার পরও অপরেশন থিয়েটার থেকে কোন সারা না পাওয়ায় জুলিয়ার পরিবার থেকে বিষয়টি হাসপাতালের নার্সদের কাছে জানতে চাওয়া হয়। এরপর রাত ১টার দিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, রোগির অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত বরিশাল প্রেরণ করা হবে। এসময় হাসপাতালের নিজস্ব এ্যাম্বুলেন্সে রোগি ও নবজাতক শিশুকে উঠাতে গেলে স্বজনদের সন্দেহ হয়। তখন তারা দেখতে পায় মা ও শিশু উভয়ই মৃত অবস্থায় রয়েছে। এ নিয়ে স্বজনরা হট্রগোল শুরু করলে তাদেরকে বিভিন্ন রকমের ভয়ভীতি দেখানো হয়। এক পর্যায়ে তারা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে কিছুক্ষণের মধ্যে পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন এবং ভূক্তভোগিদের আইনি সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দেন। এ বিষয়ে চিকিৎসক আফিয়া ফারজানা তন্নী বলেন, (০১৭৪৮৩৫২৪৮৮ )এ্যানেস্থেসিয়া (অবেদন) ফেল করার কারণে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এ্যানেস্থেসিয়া কোন চিকিৎসক দিয়েছেন, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তন্নী বলেন, চিকিৎসক সঞ্জয় এ্যানেস্থেসিয়া পুশ করেছেন। এখানে আমার কোন দায়-দায়িত্ব নেই। এদিকে চিকিৎসক সঞ্জয় কুমার সাহার ব্যাক্তিগত মোবাইল নম্বরে (০১৭২২১৯১০৬৭) ফোন দিলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। তবে এখনো কেউ অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।