×

আন্তর্জাতিক

ব্যারিস্টার সুমনকে নিউইয়র্কে বিএসিসির সংম্বর্ধনা

Icon

শামীম আহমেদ

প্রকাশ: ০১ এপ্রিল ২০১৯, ১১:৪৩ পিএম

ব্যারিস্টার সুমনকে নিউইয়র্কে বিএসিসির সংম্বর্ধনা
বাংলাদেশের তরুণ আইনজীবি এবং সমাজকর্মী ব্যারিষ্টার সাঈদুল হক সুমনকে নিউইয়র্কে সংম্বর্ধনা দিয়েছে বাংলাদেশ কম্যুউনিটি কাউন্সিল (বিএসিসি) নামের একটি সংগঠন। ব্রঙ্কসের বাংলাদেশী অধ্যুষিত বাংলাবাজার স্টার্লিং-এ এশিয়ান ড্রাইভিং স্কুলের হলরুমে গতকাল রোববার সন্ধ্যায় এ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার শতাধিক প্রবাসী বাংলাদেশী উপস্থিত ছিলেন। বিএসিসির প্রেসিডেন্ট এন মজুমদারের সঞ্চালনা ও সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, নিউইয়র্কের সেচ্ছাসেবী ও সাংস্কৃতিক সংগঠন হৃদয়ে বাংলাদেশের সভাপতি সাইদুর রহমান লিংকন, মুনতাসিম বিল্লাহ তুষার, সোহান আহমেদ টুটুল, মোঃ সারোয়ার, আবদুল্লাহ আল রেজা, কম্যুউনিটি বোর্ড ৭ এর সদস্য মঞ্জুর চৌধুরী জগলু, ব্রঙ্কস বাংলাদেশ এসোসিয়েশনের এ ইসলাম মামুন, মুক্তিযোদ্ধা কাওসার চিশতি,আমেরিকা বাংলাদেশ বিজনেস এসোসিয়েশনের সভাপতি ফকরুল ইসলাম দেলোয়ার, মার্কস হোম কেয়ারের ম্যানেজার আলমাস আলী প্রমুখ। বক্তারা বলেন, ব্যারিস্টার সুমন এমপি, মন্ত্রী না হয়েও এমন সব জনকল্যানমূলক কাজ করে যাচ্ছেন যা সত্যিই নজীরবিহীন। নেতা না হয়েও ইচ্ছা ও আন্তরিকতা থাকলে দেশের এবং দেশের মানুষের সেবা করা যায় তিনি তা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন। গণ মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে তিনি তার অবস্থান, অহংকার ভুলে সাধারন মানুষের কাতারে নেমে এসেছেন। ব্যারিষ্টার সুমন তার বক্তব্যে বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতা, রাজনৈতিক ব্যবস্থার তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশর এতো দলাদলি, এতো লুটপাট, আরে কোথাও আছে কিনা তা আমার জানা নেই। অনেক দলীয় নেতা পাবেন কিন্তু সৎলোক কম পাবেন। একশ্রেনীর ব্যবসায়ী অতি মুনাফা লাভের আশায় খাবারে ফরমালিন মিশিয়ে নিজের দেশের, সমাজের ও পরিবারের সদস্যদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। একই সঙ্গে তিনি হিংসুক, পরনিন্দাকারী, পরচর্চাকারীদের প্রতি ক্ষোভ ব্যক্ত করে বলেন,বাংলাদেশে একজন আরেক জনের ভালো দেখলে জ্বলে পুড়ে মরে। তিনি বলেন, আমি টরেন্টো, ক্যালিফোর্নিয়া, এ্যারিজোনা, নিউইয়র্কসহ উত্তর আমেরিকার বিভিন্ন স্থান সফর করেছি। সেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার সহপাঠিদের অনেককে পেয়েছি। যাদের কেউ ইঞ্জিনিয়ার, কেউ গবেষক কেউবা যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে উচ্চপদে কাজ করছেন। ওরা ভালো ফল করেছিলো। বাংলাদেশে নামিদামি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেয়েছিলো। আরও উচ্চতর ডিগ্রি নেয়ার কথা বলে তারা দেশ ছেড়েছে। দেশ তাদের অনেক কিছু দিয়েছে, তারা দেশকে কিছু দেননি। তারা তাদের মেধা, তাদের শিক্ষা কাজে লাগাচ্ছেন এইসব দেশে। অন্যদিকে আমাদের সঙ্গে যারা এইট-নাইন পর্যন্ত যারা পড়েছে, স্কুলের গন্ডি পার হয়নি তারা-ই এখন এলাকার চেয়ারম্যান, মেম্বার, রাজনৈতিক নেতা, তারাই সমাজের গণ্যমান্য। তাদের কিছু বললে রাম-দা দিয়ে তেড়ে আসে। এই স্রোতের বিপরীতে এখন একটা বিকল্প শক্তি দাড়িয়ে গেছে। এই শক্তিই বাংলাদেশকে পথ দেখাবে। নতুন এক দিগন্তে নিয়ে যাবে। যা দেশে এবং প্রবাসে বসবাসরত সকল বাংলাদেশী-ই প্রত্যাশা করে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App