×

মুক্তচিন্তা

রিভার ট্যুরিজমের অপার সম্ভাবনা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩১ মার্চ ২০১৯, ০৮:৫১ পিএম

ঢাকা-কলকাতা যাত্রীবাহী নৌযোগাযোগ সার্ভিস চালু হয়েছে। ৭০ বছর পর পর্যটকদের জন্য নিশ্চয় খুশির খবর। এতে করে দুদেশের সম্পর্কের মাত্রা গভীরতর হবে।

গত ২৯ মার্চ বিআইডব্লিউটিসির এমভি মধুমতি নারায়ণগঞ্জের পাগলা মেরি এন্ডারসন থেকে বরিশাল-মোংলা-সুন্দরবন-আন্টিহারা-হলদিয়া রুট হয়ে কলকাতার উদ্দেশে প্রথম যাত্রা করে। ঢাকা-কলকাতা নৌপথে যোগাযোগ আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতে সমৃদ্ধির একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হয়ে উঠতে পারে। এটা আমাদের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভিন্নমাত্রা এনে দিতে পারে। এই পথে রিভার ট্যুরিজমকে যদি কাজে লাগানো যায় তাহলে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের জন্য সমৃদ্ধির নতুন সোপান সৃষ্টি করবে সন্দেহ নেই।

জানা গেছে, নৌপ্রটোকল চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ১৯৭২ সাল থেকে পণ্য পরিবহন করা হচ্ছে। তবে এতদিন যাত্রীবাহী কোনো জাহাজ চলাচল করেনি। ২০১৫ সালের ১৬ নভেম্বর বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে কোস্টাল এবং প্রটোকল রুটে প্যাসেঞ্জার ও ক্রজ সার্ভিস চালুর জন্য সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।

২০১৮ সালের ২৫ অক্টোবর এ বিষয়ে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটর প্রসিডিউর (এসওপি) স্বাক্ষরিত হয়। এই প্রটোকল চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ-ভারত ভ্রমণে ইচ্ছুক পর্যটকদের যাতায়াতের সুবিধার্থে সার্ভিসটি চালু হয়েছে। যাত্রীরা আড়াই দিন জাহাজেই থাকবেন। প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে ঢাকা থেকে কলকাতা আর কলকাতা থেকে ঢাকায় পৌঁছবেন। কলকাতা পৌঁছতে বিমানে ঢাকা থেকে মাত্র ৩০ মিনিট আর বাসে ঢাকা থেকে বেনাপোল দিয়ে ১০ ঘণ্টা লাগে। আর ট্রেনেও লাগে ১০-১১ ঘণ্টা। সেখানে আড়াই দিন ধরে সাধারণ যাত্রীরা কীভাবে যাবেন সেটা নিয়ে ভাবতে হবে।

পর্যটকরা আকৃষ্ট হলেই লাভজনক রুটে পরিণত হবে এটি। তবে এর জন্য করণীয় রয়েছে। দুই দেশের সাধারণ মানুষের অনেকেই ভ্রমণপিপাসু। আর যেহেতু জাহাজ সুন্দরবনের পাশ দিয়ে যাবে তাই সুন্দরবনে একটা বিরতি দিয়ে এটি দেখার সুযোগ করে দিতে পারে কর্তৃপক্ষ।

এ ছাড়া বরিশাল-মোংলা-খুলনা এবং কলকাতায় প্রবেশ করবে এই জাহাজ। এই পথে যাত্রীদের জন্য পর্যটন কেন্দ্রগুলো দেখার সুযোগ সৃষ্টি করা যায় কিনা ভাবা দরকার। রিভার ট্যুরিজম বা নৌপর্যটনের বিকাশের মাধ্যমে আমাদের পর্যটন শিল্প দ্রুত আরো অনেকটা পথ এগিয়ে যেতে পারে। সরকার যদি এ খাতের উন্নয়নে একটি জোরালো উদ্যোগ নেয় এবং কার্যকর পরিকল্পনা গ্রহণ করে তা বাস্তবায়ন করে তাহলে রিভার ট্যুরিজম থেকে প্রচুর উপার্জন সম্ভব। দীর্ঘপথে যাত্রীদের ভ্রমণও স্বাচ্ছন্দ্য হবে বলে আমরা আশা করি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App