এইচএসসিতেও প্রশ্ন ফাঁসের কোনো সুযোগ নেই: শিক্ষামন্ত্রী
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ৩০ মার্চ ২০১৯, ১০:৫৭ পিএম
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপুমনি। ছবি: সংগৃহীত
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপুমনি বলেছেন, এসএসসির মতো এইচএসসিতেও প্রশ্ন ফাঁসের কোনো সুযোগ নেই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্ন ফাঁসের গুজবে কান না দেওয়ার জন্য শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদেরকে আহ্বান জানান। গুজব ছড়ানোর অপকর্মের সাথে কারো সম্পৃক্ততা পেলে তাদের কঠোর আইনের আওতায় আনা হবে।
আজ শনিবার দুপুরে শেরপুরে নকলা উপজেলার চন্দ্রকোণা রাজলক্ষ্মী উচ্চ বিদ্যালয়ের শতবষপূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, শিক্ষার মান উন্নয়নে শুধুমাত্র অবকাঠামো নয়, ক্যারিকুলামসহ শিক্ষা পদ্ধতিতেও কিছুটা পরিবর্তন আনা হবে। দেশের শিক্ষা উন্নয়নে আমাদের অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে, সেই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করার জন্য আমরা কাজ করছি। শুধু শিক্ষা ও বিজ্ঞানে নয়, শিক্ষার্থীদের মানবিকভাবেও সমৃদ্ধ হতে হবে। শিক্ষিত তরুণদেরকে তিনি দেশের উন্নয়নে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষা বাতিলের কোনো চিন্তা নেই। ফেক আইডিতে অনেক কিছু পোস্ট করা হয়ে থাকে। তবে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী তৃতীয় শ্রেণি পরীক্ষা উঠিয়ে দেওয়ার জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিভাগ কাজ করছে।
শতবর্ষপূতি উৎসবের উদ্বোধন করেন শেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য কৃষি মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবেক কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। এ সময় তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকার যখনই ক্ষমতায় আসে তখনই দেশের উন্নতি হয়। এখন সড়ক যোগাযোগ, বিদ্যুৎ, শিক্ষা, কৃষি, ইন্টারনেটসহ বিভিন্ন সেক্টরে যে উন্নতি হয়েছে তাতে জনগণ উপকৃত হচ্ছে। যার ফলে জামান-বিএনপির কোনো আন্দলনে জনগণ সাড়া দিচ্ছে না।
তিনি দলীয় নেতাকর্মী ও শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হলে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থেকে কাজ করতে হবে।
স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জনতা ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মুক্তিযোদ্ধা মো. আকরাম হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব নজরুল ইসলাম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ডা. মো. মুফাখখারুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব, সাবেক অধ্যাপক আসাদুজ্জামান, প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
নকলার দুর্গম চরাঞ্চল চন্দ্রকোণায় ১৯১৯ সালে শেরপুরের জমিদার গোপাল দাস চৌধূরী তাঁর মায়ের নামে চন্দ্রকোনা রাজলক্ষী উচ্চ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। শর্তবর্ষপূর্তি উদযাপন ও মিলনমেলার দু দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানটি বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্শীদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা প্রিয় প্রতিষ্ঠানে এসে আবেগে আপ্লুত হয়ে ওঠেন এবং একে-অপরকে জড়িয়ে ধরে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
এ উপলক্ষে বিদ্যালয়ের কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা, মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা এবং মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।