×

আন্তর্জাতিক

মার্কিন কর্মকর্তার মুখে বাংলাদেশের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা

Icon

শামীম আহমেদ

প্রকাশ: ২৭ মার্চ ২০১৯, ০৮:০১ পিএম

মার্কিন কর্মকর্তার মুখে বাংলাদেশের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা
মার্কিন কর্মকর্তার মুখে বাংলাদেশের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা
মার্কিন কর্মকর্তার মুখে বাংলাদেশের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা
মার্কিন কর্মকর্তার মুখে বাংলাদেশের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা
বাংলাদেশের বর্তমান আর্থ-সামাজিক অবস্থা নিয়ে উচ্ছ্বসিত প্রংশসা করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক ঊর্ধতন কর্মকর্তা। ওই কর্মকর্তা বাংলাদেশকে আশাবাদ ও সুযোগ সৃষ্টির এক গল্প বলে আখ্যায়িত করেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের দূতাবাসে বাংলাদেশের ৪৯তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর ভারপ্রাপ্ত উপ-সহকারী সেক্রেটারি ডেভিড জে রঞ্জ এই মন্তব্য করেন। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে পেরে যুক্তরাষ্ট্র গর্বিত। অনুষ্ঠানে হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তাবৃন্দ, স্টেট ডিপার্টমেন্ট, জাস্টিস, বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা, হোমল্যান্ড এবং মার্কিন প্রশাসনের অন্যান্য কার্যালয়, বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত, বিভিন্ন বিদেশী মিশনের উচ্চ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তা এবং ওয়াশিংটনসহ যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত নেতৃস্থানীয় বাংলাদেশীরা উপস্থিত ছিলেন। সেক্রেটারি ডেভিড জে রঞ্জ বলেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের অংশীদার এবং শক্তি ও অবকাঠামো হিসাবে বাংলাদেশের অর্থনীতির বিকাশ ও বিকাশে সহযোগিতা করে। আমরা প্রতিরক্ষা ও সন্ত্রাসবাদে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি। মার্কিন কর্মকর্তা মিয়ানমার থেকে এক মিলিয়ন রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে আশ্রয় দেয়ার জন্য বাংলাদেশের উদার আত্মার প্রশংসা করেন এবং বলেন, এই সংকট সমাধানের জন্য যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সাথে কাজ করেছে। রোহিঙ্গা সঙ্কটের শুরু থেকে যুক্তরাষ্ট্র মানবিক সহায়তায় প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা করেছে। নিউজিল্যান্ডের সন্ত্রাসী হামলায় পাঁচজন বাংলাদেশী নাগরিকের মৃত্যুর সমবেদনা জানিয়ে রঞ্জ বলেন, আমাদের অবশ্যই সব ধরণের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে হবে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জিয়াউদ্দিন যুদ্ধ অপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি করতে অপরাধীদের দেশে ফেরত পাঠাবার জন্য যুক্তরাষ্ট্র সহ অন্যান্য দেশগুলোর প্রতি অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় থেকে ন্যায়বিচার আশা করে। কারণ কেবলমাত্র ন্যায়বিচারই আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ক্ষত নিরাময় করতে পারে এবং আমাদের স্বদেশে চিরস্থায়ী শান্তি আনতে পারে। রাষ্ট্রদূত জিয়াউদ্দিন স্বাধীনতা যুদ্ধের সমর্থনে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিবিদ, কর্মকর্তা ও আমেরিকান জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, আমাদের মুক্তির জন্য তাদের সমর্থন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের সর্বোত্তম উপভোগ করছে এবং উভয় দেশ বর্তমান মার্কিন প্রশাসনের সহায়তায় বিদ্যমান সম্পর্ককে আরো শক্তিশালী করে চলেছে। আমাদের সরকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ফলপ্রসূ কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য যুক্তরাষ্টের শীর্ষ পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে কাজ চালিয়ে যাবার আশা করে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বাস করেন যে, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের মধ্য দিয়ে একটি দায়িত্বপূর্ন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসাবে মুক্ত, শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল গড়ে তুলতে পারে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র শক্তিশালী রাজনৈতিক ও মানবিক সহায়তা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের মত একজন পরীক্ষিত বন্ধুর কাছ থেকে আমাদের প্রয়োজনের সময়ে এই সহযোগিতা ছিল স্মরণ করবার মত। অনুষ্ঠানে ওয়াশিংটনের ডিসি মেয়রের প্রতিনিধিরা আনুষ্ঠানিকভাবে ২৬ শে মার্চকে 'বাংলাদেশ ডে ২০১৯' ঘোষণা দেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App