×

মুক্তচিন্তা

কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখুন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৬ মার্চ ২০১৯, ০৮:১৯ পিএম

আগামী ১ এপ্রিল থেকে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। পরীক্ষা উপলক্ষে ১ এপ্রিল থেকে ৬ মে পর্যন্ত সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। গত সোমবার এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এই নির্দেশনা দিয়েছেন।

অতিসম্প্রতি শেষ হওয়া এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার সময়ও কোচিং সেন্টার বন্ধ ছিল। এতে প্রশ্নপত্র ফাঁসসহ নানা অনিয়মের ঘটনা কম ঘটছে। আসন্ন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে হোক এমন প্রত্যাশা রাখছি। জানা গেছে, এবার আটটি সাধারণ বোর্ডসহ ১০টি বোর্ডের অধীনে ১৩ লাখ ৫১ হাজার ৩০৯ পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে।

নয় হাজার ৮১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার্থীরা দুই হাজার ৫৮০ কেন্দ্রে এই পরীক্ষায় অংশ নিবে। প্রথমে বহুনির্বাচনী ও পরে সৃজনশীল বা রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বহুনির্বাচনী পরীক্ষার জন্য ৩০ মিনিট ও তত্ত্বীয় পরীক্ষার জন্য আড়াই ঘণ্টা নির্ধারিত থাকবে। ১২ মে থেকে ব্যবহারিক পরীক্ষা শুরু হয়ে ২১ মে পর্যন্ত চলবে।

পরীক্ষার আগে প্রশ্নফাঁস রোধে নানা উদ্যোগ দেখা যায়। এবারো ব্যতিক্রম নয়। সম্প্রতি শেষ হওয়া এসএসসি পরীক্ষায় নিয়মিত ও অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্র নিয়ে তালগোল পাকিয়ে ফেলা হয়েছিল। এতে অনেক জায়গায় পরীক্ষা শুরু হতেও দেরি হয়। তাই এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় নিয়মিত ও অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের ভিন্ন ডিজিটের রোল নম্বর দেয়া হয়েছে।

তাদের জন্য আলাদা কক্ষ, আসন বিন্যাস ও পৃথক প্রশ্ন প্রণয়ন করা হয়েছে। দেখা যাক, কতটা স্বচ্ছতা বজায় রাখা যায়। দেশে পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস এখন সাধারণ ঘটনা। বিশেষ করে এসএসসি পরীক্ষায় এর ভয়াবহতা বেশি দেখা যায়। এ বছর অবশ্য উল্লেখ করার মতো ঘটনা ঘটেনি। এটি ইতিবাচক দিক।

এর আগে প্রাথমিক সমাপনী, জেএসসি-জেডিসি, এসএসসি ও এইচএসসি এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল পর্যায়ে ভর্তি পরীক্ষা এবং চাকরির পরীক্ষার ক্ষেত্রেও প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা ঘটেছে। প্রশ্নপত্র ফাঁসরোধে সরকারিভাবে নানা উদ্যোগ নেয়া হয়। পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হলে এর ব্যাপক প্রভাব পড়বে পরীক্ষার্থীদের ওপর, এমনকি তাদের অভিভাবকদের ওপর।

প্রশ্নফাঁস, ভর্তি বাণিজ্য, দুর্নীতিসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত আমাদের পরীক্ষা ব্যবস্থা। আকাশ-সংস্কৃতির কল্যাণে জেএসসি, এসএসসি-এইচএসসিসহ সব পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্ন আজ ফাঁস হয়ে যাচ্ছে, যা আমাদের জাতীয় জীবনে গভীর অন্ধকার বয়ে আনছে। সন্তানদের উচ্চ রেজাল্টের আশায় প্রশ্নফাঁসকারী দুর্বৃত্তদের খপ্পরে পড়েন এক শ্রেণির নৈতিকতাহীন অভিভাবকও।

আমরা মনে করি, সরকার আন্তরিকভাবে উদ্যোগী হলে প্রশ্নফাঁস ঠেকানো সম্ভব। পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নীতি-নৈতিকতা ও শুদ্ধাচার বিষয়ে শিখন ও প্রশিক্ষণ জোরদার করতে হবে। কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধে সরকারের নির্দেশনা পালনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ উদ্যোগী হবেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App