আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আজকের শিশুরাই একদিন সোনার বাংলার নেতৃত্ব দেবে। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকালে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে শিশু-কিশোর সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের শিশুরাই আগামী দিনের প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী হবে। তারা দেশ পরিচালনা করবে। সেভাবেই তাদেরকে গড়ে উঠতে হবে। সকাল ৮টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় স্টেডিয়ামে উপস্থিত হওয়ার পর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক ও ঢাকা জেলা প্রশাসক আবু সালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান তাকে অভিবাদন জানান। এরপর প্রধানমন্ত্রী জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। জাতীয় পতাকা উত্তোলনের সময় জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। এরপর প্যারেড কমান্ডার মৌসুমী আক্তার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সালাম জানান। বেলুন ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে ৪৯তম স্বাধীনতা দিবস ও শিশু কিশোর সমাবেশের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর প্রধানমন্ত্রী মূল মঞ্চ থেকে নেমে হেঁটে হেঁটে সমাবেশ পরিদর্শন করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২৪ বছরের সংগ্রাম এবং ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। দেশের মানুষ উন্নত জীবন পাবে, ক্ষুধা এবং দারিদ্র মুক্ত থাকবে এ লক্ষ্য নিয়েই দেশ স্বাধীন হয়েছিল। এটা ছিল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন। অভিভাবক, শিক্ষক, মসজিদের ইমাম, মাদরাসা শিক্ষক ও ধর্মীয় গুরুদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জঙ্গিবাদ ও মাদক সম্পর্কে আপনারা শিশুদের বোঝাবেন। আজকের শিশুরাই আগামী দিনে দেশকে এগিয়ে নিবে। তাদের এগিয়ে যেতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিশুদের দেশপ্রেমিক ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছে সরকার। প্রযুক্তি শিক্ষায় শিশুরা যাতে গড়ে উঠতে পারে সরকার এমন শিক্ষা পদ্ধতি প্রণয়ন করছে। অভিভাবক, বাবা-মাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী বলেন সবসময় লক্ষ্য রাখতে হবে সন্তান কোথায় যায়, কার সঙ্গে মেশে, কিভাবে মেশে। সবাই যেন লেখাপড়ার দিকে মনোযোগ দেয়, খেলাধুলা, শরীর চর্চা, নানা ধরনের প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে শিশুদের মনন এবং মেধা বিকশিত হবে। শিশুদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, তোমরা বাবা-মা ও শিক্ষকদের কথা শুনবে, মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করবে, শরীরের যত্ন নেবে। তোমাদেরকেই গঠন করতে হবে বলিষ্ঠ জাতি। আমরা ৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশের যে স্বপ্ন দেখছি সেই বাংলাদেশ তোমরাই পরিচালনা করবে। শুদ্ধস্বরে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করার জন্য অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় উত্তীর্ণদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি শিশু কিশোরদের কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন। রাজধানীর বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরা কুচকাওয়াজ করে প্রধানমন্ত্রীকে অভিবাদন জানান।