×

অর্থনীতি

ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশের পোশাক আমদানি বেড়েছে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০১৯, ১২:০৪ পিএম

ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশের পোশাক আমদানি বেড়েছে
২০১৮ সালে ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি বেড়েছে ১১ দশমিক ১৭ শতাংশ। সেখানে রপ্তানিকারক শীর্ষ দশ দেশের মধ্যে বাকি সব দেশের প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের চেয়ে নিচে। আর শীর্ষ রপ্তানিকারক দেশ চীনের প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ১ দশমিক ৬৫ শতাংশ। ইউরোপের গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল পণ্য আমদানির হিসাব সংরক্ষণকারী ইউরোস্ট্যাটের হিসাব অনুযায়ী এ তথ্য পাওয়া গেছে। আলোচ্য সময়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত ২৮টি দেশে বাংলাদেশের গার্মেন্টস পণ্যের রপ্তানি প্রবৃদ্ধির হার অন্যান্য দেশের তুলনায় সবচেয়ে বেশি। এ ব্যাপারে রপ্তানিকারক ও অর্থনীতিবিদরা বলছেন, গত কয়েক বছরে তারা দেশের পোশাক কারখানাগুলো নিরাপদ করতে নিরন্তর কাজ করে গেছে। ফলে ক্রেতা ও ব্র্যান্ড উভয়ের কাছে বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসায়ে আস্থা বেড়েছে। পাশাপাশি উৎপাদন খরচ বাড়ায় চীন গার্মেন্টস পণ্য থেকে বেরিয়ে অন্য খাতের দিকে ঝুঁকছে। ফলে চীন থেকে সরে আসা অর্ডারের একটি অংশ বাংলাদেশ পেয়েছে। এ ছাড়া গত বছর নির্বাচনের আগে স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশও নিরবচ্ছিন্ন রপ্তানি কার্যক্রমে ভালো ভূমিকা রেখেছে। অবশ্য রপ্তানি প্রবৃদ্ধিতে শীর্ষে থাকলেও পণ্যের দাম না বাড়ায় অস্বস্তিতে আছেন রপ্তানিকারকরা। ইউরোস্ট্যাটের হিসাব অনুযায়ী, ইউরোপের দেশগুলো ২০১৮ সালে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ৯ হাজার ৯৪০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ পোশাক আমদানি করেছে। এটি ২০১৭ সালের চাইতে ৬ দশমিক ৫৮ শতাংশ বেশি। চীন ও বাংলাদেশ ছাড়াও ইউরোপে শীর্ষ দশ রপ্তানিকারক দেশের তালিকায় রয়েছে তুরস্ক, ভারত, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, পাকিস্তান, মরক্কো, শ্রীলঙ্কা ও ইন্দোনেশিয়া। তবে রপ্তানি প্রবৃদ্ধির তালিকায় বাংলাদেশের পরে রয়েছে যথাক্রমে কম্বোডিয়া (৯ দশমিক ৮৪ শতাংশ) ও ভিয়েতনাম (৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ)। এর পরের অবস্থানে রয়েছে মরক্কো ৮ দশমিক শূন্য পাঁচ শতাংশ, তুরস্ক ৬ দশমিক ৪৪ শতাংশ, শ্রীলঙ্কা ৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ, পাকিস্তান ৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ, ভারত ২ দশমিক ৩৮ শতাংশ ও চীন ১ দশমিক ৬৫ শতাংশ। এ ছাড়া শীর্ষ দশটি দেশের তালিকায় থাকা ইন্দোনেশিয়ার রপ্তানি না বেড়ে উল্টো কমে গেছে। এ ব্যাপারে বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, প্রবৃদ্ধির এ ধারা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, গত ৫/৬ বছরে ইউরোপ ও আমেরিকার ক্রেতাদের কারখানা পরিদর্শন জোট অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্সের সহযোগিতায় সংস্কারের ফলে কারখানাগুলো এখন কমপ্লায়েন্ট। এখন পরিবেশবান্ধব কারখানা হচ্ছে, যথাসময়ে পণ্য জাহাজীকরণ হচ্ছে। ফলে ক্রেতাদের আস্থা বেড়েছে। অন্যদিকে চীন থেকে সরে যাওয়া অর্ডারের কিছু অংশও আমরা পেয়েছি। আশা করছি, আগামীতেও এটি অব্যাহত থাকবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App