×
Icon ব্রেকিং
ইরানের ভূখণ্ডে মিসাইল হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল, ইরানের বিভন্ন শহরে বিমান চলাচল বন্ধ

জাতীয়

যক্ষা প্রতিরোধে বেড়েছে সরকারের অর্থায়ন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০১৯, ১০:৫৬ এএম

যক্ষা প্রতিরোধে বেড়েছে সরকারের অর্থায়ন
দাতা সংস্থার অর্থায়নেই দেশে এতদিন চলছিল যক্ষা রোগ নিমূল কার্যক্রম। তবে এ কর্মসূচিতে সরকারের অর্থায়ন বাড়ছে। ২০১৭ সাল থেকে শুরু হওয়া চতুর্থ সেক্টর কর্মসূচিতে যক্ষা নিয়ন্ত্রণে বরাদ্দ বাড়ায় সরকার। আর ২০১৮ সাল থেকে সরকার এ রোগের প্রাথমিক ওষুধ বা ফার্স্ট লাইন ড্রাগ রোগীদের সরবরাহ করছে। ২০১৮ সাল থেকে সরকার নিজস্ব অর্থায়নে গ্লোবাল ড্রাগ ফ্যাসিলিটির (জিডিএফ) কাছ থেকে ফার্স্ট লাইন ড্রাগ কেনা শুরু করেছে। ওই ওষুধ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মান নিয়ন্ত্রিত। রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের (ইডিসিএল) মাধ্যমে কীভাবে ওই মানসম্মত ওষুধ উৎপাদন করা যায় এ বিষয়েও সরকার ভাবছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দাতা সংস্থার ওপর নির্ভরশীলতা কমার বিষয়টি অবশ্যই দেশের জন্য ইতিবাচক একটি বিষয়। এক সময় দাতাদের নির্ভরশীলতা কমিয়ে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে সক্ষম হবে দেশ এমনটাই প্রত্যাশা করেন তারা। জাতীয় যক্ষা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি এবং এএসপি প্রকল্পের লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. সামিউল ইসলাম সাদি ভোরের কাগজকে বলেন, চলতি বছর অপারেশন প্ল্যানে যক্ষা কর্মসূচিতে ২১৪ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। এর মধ্যে ৮৫ কোটি টাকা গ্লোবাল ফান্ডের। নিরবচ্ছিন্নভাবে যক্ষা রোগীদের মাঝে ওষুধ বিতরণের জন্য ৭২ কোটি টাকার ওষুধ ক্রয় করেছে সরকার। এ ছাড়া সচেতনতামূলক প্রচারণা, যক্ষা নিয়ন্ত্রণ সহকারী (টিএলসি) এবং প্রকল্প সংগঠকসহ (পিও) অন্য কর্মচারীদের বেতন-ভাতাও দেয়া হচ্ছে সরকারের বরাদ্দকৃত অর্থ থেকে। বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের টিবি, ম্যালেরিয়া, ওয়াশ এবং ডিইসিসি প্রকল্পের পরিচালক ড. আকরামুল ইসলাম বলেন, এতদিন গ্লোবাল ফান্ডের অর্থ থেকেই আমরা যক্ষা রোগীদের জন্য ওষুধ কিনতাম। তবে ২০১৮ সাল থেকে এ ওষুধ সরকার সরবরাহ করছে। ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষার ওষুধ ছাড়া, রোগীদের ফার্স্ট লাইন ড্রাগ সরবরাহ করছে সরকার। দেশে ফার্স্ট লাইন ড্রাগের রোগীর সংখ্যাই বেশি। এদিকে জাতীয় যক্ষা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির (এনটিপি) তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালে ২ লাখ ৬৭ হাজার ২৭৬ জন যক্ষারোগী শনাক্ত হয়েছে। এক হাজার ২৪০ জন ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষা (এমডিআর-টিবি) এবং ১১ হাজার ৩৫২ জন শিশু যক্ষা রোগী (১৫ বছরের নিচে) শনাক্ত হয়েছে । এখনো ২৬ শতাংশ যক্ষারোগী শনাক্তের বাইরে রয়েছে। জাতীয় যক্ষা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির সাবেক লাইন ডিরেক্টর (টিবি এন্ড ল্যাপ্রসি) ডা. আশেক হোসেন বলেন, দাতা সংস্থার ওপর নির্ভরশীলতা কমার বিষয়টি অবশ্যই ইতিবাচক। আশা করছি এমন একটা সময় আসবে যখন এ ক্ষেত্রে আমাদের বিদেশি সংস্থার সহায়তা লাগবে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেন, বাধ্য হয়েই সরকার এ ক্ষেত্রে অর্থায়ন বাড়াচ্ছে। ২০০৪ সাল থেকে সরকারের জাতীয় যক্ষা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচিতে অর্থায়নকারী দাতা সংস্থা গ্লোবাল ফান্ড অর্থায়ন করে আসছিল। এই কর্মসূচিতে সরকারের বরাদ্দ ছিল খুবই কম। গ্লোবাল ফান্ড এ রোগের ফার্স্ট লাইন ড্রাগ বাবদ অর্থ পেতে হলে কর্মসূচিতে সরকারকে ২০ শতাংশ বরাদ্দ দিতে হবে। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরের পর এই শর্ত মানতে হবে। অন্যথায় অর্থ বরাদ্দ করা হবে না বলে শর্ত দেয়। সেই শর্ত মানতেই সরকার বরাদ্দ বাড়াচ্ছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App