×

জাতীয়

পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ রাখা হবে : দীপক চক্রবর্তী

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০১৯, ০৫:২১ পিএম

পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ রাখা হবে : দীপক চক্রবর্তী
পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ রাখা হবে বলে জানিয়েছেন বাঘাইছড়ি হত্যাকান্ডে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান দীপক চক্রবর্তী। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দুপুরে বাঘাইছড়িতে ১৮ মার্চ নির্বাচন শেষে ৯ কিলো এলাকা সংঘটিত স্বশস্ত্র হামলা ও হত্যাকান্ডের ঘটনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তদন্ত কমিটির প্রধান। তিনি বলেন, বাঘাইছড়ির হামলার ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তারা সবাই অবৈধ অস্ত্রধারী দুস্কৃতিকারী। পরিকল্পিতভাবেই এ হামলা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। তাই পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে ও পাহাড়ে বসবাসকারী পাহাড়ি বাঙ্গালী সবাই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিয়ে যাতে সুন্দর ভাবে বসবাস করতে পারে সে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করা হবে। এর আগে তদন্ত কমিটির সদস্যরা বাঘাইছড়ি উপজেলায় নির্বাচন শেষে সংঘটিত স্বশস্ত্র হামলা ও হত্যাকান্ডের ঘটনাস্থল ৯ কিলো এলাকা ও থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন করেন এবং ঘটনায় বেঁচে যাওয়া প্রত্যক্ষদর্শীসহ আহতদেরদের বক্তব্য গ্রহন করেন। সকালে কমিটির প্রধান স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও চট্টগ্রাম স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক দীপক চক্রবর্তীর নেতৃত্বে কমিটির ৭ সদস্য বেলা ১১টার দিকে রাঙ্গামাটি থেকে সড়ক পথে খাগড়াছড়ি দীঘিনালা হয়ে মারিশ্যা সড়কে ৯ কিলো এলাকায় গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং বিভিন্ন আলামত প্রত্যক্ষ করেন। তদন্ত কমিটি প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান ও নিহত আহতদের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপন করেন। এসময় তদন্ত কমিটির অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য প্রশাসন আশীষ কুমার বড়ূয়া, চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ আবুল ফয়েজ, বাঘাইহাট জোনের উপ অধিনায়ক মেজর আশরাফ, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা সাদেক আহমেদ, চট্টগ্রাম ৩০ আনসার ব্যাটালিয়নের পরিচালক ও অধিনায়ক মোঃ নুরুল আমিন ও সদস্য সচিব রাঙ্গামাটি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট নজরুল ইসলাম। এসময় তারা ওইদিন গাড়ি বহরে থাকা আনসার ও বিজিবির সাথে কথা বলেন। সেদিন কী ঘটেছিল তা জানার চেষ্টা করেন। ঘটনার আগে ও পরের অবস্থা এবং সাজেকের ভোট কেন্দ্রে কোন সমস্যা হয়েছিল কিনা তাও জানার চেষ্টা করেন। এরপর ১২টার দিকে তদন্ত কমিটির সদস্যরা বাঘাইছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে চিকিৎসাধীন আহতদের সাথে কথা বলেন এবং তাদের শারিরীক অবস্থার খোঁজ খবর নেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে কমিটির প্রধান দীপক চক্রবর্তী জানান, তারা ঘটনার সব দিক খোঁজ খবর নিয়ে দেখছেন। কী ঘটেছিল, কিভাবে ঘটলো, কারা এর সাথে জড়িত থাকতে পারে তাও খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি জানান, আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যেই তদন্ত রিপোর্ট উপস্থাপন করা হবে। প্রয়োজন হলে আরো সময় চাওয়া হতে পারে বলে জানান। এদিকে বিলাইছড়িতে আওয়ামীলীগের সভাপতি সুরেশ কান্তি চাকমাকে হত্যা ও বাঘাইছড়িতে নির্বাচনী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপর সংঘটিত হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদে উপজেলা চত্বরে মানবন্ধন করেছে বাঘাইছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ বাঘাইছড়ি। এসময় বক্তারা সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানান। উল্লেখ্য যে, গত ১৮ মার্চ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালন শেষে ফেরার পথে বাঘাইছড়ি সড়কের ৯ কিলো নামক এলাকায় সন্ত্রাসী হামলায় ৭জন নিহত আরো বেশ কয়েকজন আহত হয়। ঘটনার পরের দিন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। অন্যদিকে বাঘাইছড়িতে ৭ জন নিহত হওয়ার ঘটনার ৩ দিনের মাথায় পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাত ৪০/৫০ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীর কথা উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App