×

মুক্তচিন্তা

পাকিস্তানের অভাব কি?

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০১৯, ০৮:৩৯ পিএম

১৯৪৭ সালের দেশ বিভাগের পর ভারত বর্ষের রাজনীতিতে বেশ কিছু পরিবর্তন লক্ষিত হয়েছিল পূর্ববঙ্গের মানুষের কাছে। যে আশা ও স্বপ্ন নিয়ে পাকিস্তানের পক্ষে আন্দোলন করেছিলেন এই দেশের মুসলিম সম্প্রদায়, পাকিস্তান সৃষ্টির পর সেই আশায় ধূলিসাৎ হতে বা স্বপ্নভঙ্গ হতে বেশি সময় লাগেনি, কেননা স্বপ্নের কোনোটাই পূরণ হলো না। সেই স্বপ্ন পূরণ না হওয়ার নেপথ্যে ছিলেন দৈনিক আজাদ পত্রিকার সম্পাদক আকরম খাঁ এবং সহযোগী শাহ আজিজুর রহমান। খাজা নাজিমউদ্দিন ছিলেন আরো দূরে কালো পর্দার অন্তরালে।

শরৎচন্দ্রের ‘বিলাসী’ নামের একটি গল্প আমাদের স্কুল জীবনের শেষদিকে পাঠ্য করেছিলেন তৎকালের ইষ্ট পাকিন্তান স্কুল টেক্সট বুক বোর্ড। সময়কাল ছিল ৬০ দশকের গোড়ার দিকে।

অন্যদিকে ওই স্কুল টেক্সট বুক বোর্ডের পাঠ্যক্রমে ছিল পূর্ব পাকিস্তানের অনেক কবি গল্পকার ছাড়া ও পশ্চিমবঙ্গের অনেকের গল্প কবিতা প্রবন্ধ এবং রবীন্দ্রনাথ, নজরুল আগে ছিলেন, এখনো আছেন, ভবিষ্যতেও থাকবেন।

তবে পূর্ব পাকিস্তানি কবি ফররুখ আহমদ এবং কবি গোলাম মোস্তফার কবিতাকেই বেশি প্রাধান্য দিত বোর্ড। সেই সময়কাল ছিল ৫০ দশকের শেষদিকের বাংলা পাঠ্যবইয়ে।

কবি গোলাম মোস্তফার একটি কবিতার কথা এখনো মনে আছে। সেটির নাম ছিল ‘পাকিস্তানের অভাব কি’। কবি তাঁর কবিতার মাধ্যমে আমাদের মতো, পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রদের জানাতে পেরেছিলেন, পাকিস্তানের কোনো অভাব নাই। অনটন নাই, বিশেষত পূর্ব পাকিস্তানের তৎকালের ১৭টি জেলায় কোথায় কি কি পাওয়া যায় এবং সেই সব জেলার উৎপাদিত পণ্যের বিবরণ দিয়ে, আমাদের মতো কিশোরদের মনে একটি চিত্র এঁকে দিয়েছিলেন, তাঁর কবিতার মধ্য দিয়ে। এবং পুরো কবিতার বক্তব্যই ছিল পাকিস্তানের কোনো অভাব নাই। স্কুল জীবন শেষ করে পরে শুনেছিলাম ওই একটিমাত্র কবিতার জন্য তাঁকে

‘তমঘায়ে খেদমত’ অথবা ‘তমঘায়ে জুররত’ ওই দুটির একটি দিয়ে পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি আইয়ুব খান সম্মানিত করেছিলেন। কবি গোলাম মোস্তফাকে নাকি কাজী নজরুল ‘গোলাম মোস্তফা’ নামে আদর করেই ডাকতেন এবং পাবনা শহরের রাধানগর অধিবাসী কবি বন্দে আলী মিয়াকে ঠাট্টার ছলে এমন একটি শব্দ ব্যবহার করতেন, সেই শব্দটি শুনতেই বন্দে আলী মিয়া তার প্রিয় কাজীদার কাছে যেতেন, একই সঙ্গে যেতেন গোলাম মোস্তফা- যে কবি একদিন তার জন্মভূমি যশোর ছেড়ে কলকাতায় লেখাপড়া শিখে, স্কুল শিক্ষকতা দিয়ে শুরু করেছিলেন জীবনযাপন এবং কবিতা লেখার প্রেরণা পেয়েছিলেন কাজী নজরুল থেকে সমকালীন সময়ের অন্য কবিদের সংস্পর্শে এসে।

১৯৪৬ হিন্দু-মুসলিম সম্প্রদায়ের ভেতরে যে বিভেদের সৃষ্টি করেছিল ব্রিটিশ সরকার, সেই বিভেদের কিছুকাল পরেই ১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান নামের দুটি রাষ্ট্র বানিয়েছিলেন এবং লক্ষ-কোটি মানুষকে তার জন্মভূমি থেকে পরিকল্পিতভাবে রক্তক্ষয়ের মাধ্যমে দেশান্তরী করলেন, হাজার-লক্ষ, কোটি মানুষকে পাকিস্তান এবং ভারত থেকে। তারই একটি করুণ চিত্র আমরা দেখতে গেলাম ভারতের প্রখ্যাত লেখক খুশবন্ত সিংয়ের বিখ্যাত উপন্যাস ‘এ ট্রেন টু পাকিস্তান’-এ। যেহেতু তার পিতৃভূমি ছিল বর্তমানের পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে।

অপরদিকে পাবনার আরেক সন্তান, বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের জলপাইগুড়ির নিবাসী দেবেশ রায়, তার বিখ্যাত উপন্যাস ‘ছেঁড়া পাতার নৌকা’ লিখে তিনি পাঠককুলদের জানিয়ে ছিলেন, মাতৃভূমি হারিয়ে পরদেশে গিয়ে আশ্রয় নেয়ার এক মর্মান্তিক ব্যথা ও বেদনার কাহিনী। সেই একই কাহিনীর নতুন রূপ আমরা দেখলাম, সেই কবি গোলাম মোস্তফার সোনার পাকিস্তানের বর্বরদের অমানবিক কর্মকাণ্ড। পাকিস্তানের বর্তমান অভাব তাদের মনুষ্যত্ব। যে মনুষ্যত্ব তারা হারিয়েছিল আমাদের মহান ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৭১ সালের এই গনগনে মার্চের উত্তাল দিনে।

যে উত্তালের শুরু ’৫২, ’৬৬, ’৬৯, ’৭০ এবং ১৯৭১ সালে, তখনি আমার মনে হয়েছিল কবি গোলাম মোস্তফা কবিতাটি মিথ্যে প্রমাণিত হলো। যে দেশের মানুষদের ভেতরে মনুষ্যত্ব নেই, তাদের সঙ্গে ১২০০-১৩০০ মাইল দূরের ওই বিবেকহীন মানুষরা, বাঙালির প্রয়োজন নিষ্প্রভ হয়ে গিয়েছে।

যেটি ১৯৪৮ সাল থেকেই এ দেশের মানুষের মনে দ্বিধা-দ্বন্দ্বের সৃষ্টি করেছিল এবং সেই ১৯৪৮ সালের আগেই, অর্থাৎ ১৯৪৭ সালের দেশ বিভাগের পর ভারত বর্ষের রাজনীতিতে বেশ কিছু পরিবর্তন লক্ষিত হয়েছিল পূর্ববঙ্গের মানুষের কাছে। যে আশা ও স্বপ্ন নিয়ে পাকিস্তানের পক্ষে আন্দোলন করেছিলেন এই দেশের মুসলিম সম্প্রদায়, পাকিস্তান সৃষ্টির পর সেই আশায় ধূলিসাৎ হতে বা স্বপ্নভঙ্গ হতে বেশি সময় লাগেনি, কেননা স্বপ্নের কোনোটাই পূরণ হলো না।

সেই স্বপ্ন পূরণ না হওয়ার নেপথ্যে ছিলেন দৈনিক আজাদ পত্রিকার সম্পাদক আকরম খাঁ এবং সহযোগী শাহ আজিজুর রহমান। খাজা নাজিমউদ্দিন ছিলেন আরো দূরে কালো পর্দার অন্তরালে। যার ফলে জলপাইগুড়ি এবং দার্জিলিং পূর্ব পাকিস্তান হয়েও হলো না। অথচ ভাগকারী ব্রিটিশ সাহেব চেয়েছিলেন পূর্ব পাকিস্তানকে একটি বা দুটি শীতোষ্ণ অঞ্চল দেবেন বলে স্থির করেছিলেন, কিন্তু নাজিমউদ্দিন এবং সহযোগীরা ওই দার্জিলিং এবং জলপাইগুড়ির কথা ভুলে গিয়ে তাড়াহুড়া করে তারা এসে বসেছিলেন প্রাদেশিক সরকার, লাটবাহাদুরের চেয়ারে।

১৯৪৮ সালের এই মার্চ মাসের ১১ তারিখে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা শেখ মুজিবের নেতৃত্বে অবস্থান ধর্মঘট করেছিলেন, তৎকালের ইনেড বিল্ডিং- আজকের সচিবালয়ের সামনে, সেই পিকেটিংয়ে অন্যদের মধ্যে ছিলেন প্রখ্যাত ছাত্রনেতারা। কাজী গোলাম মাহবুব, মোহাম্মদ তোয়াহা, অলি আহাদ এবং শেখ মুজিবসহ আরো অনেকে এবং ওই একই দিনে শেখ মুজিবকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এবং পিকেটিং করার দায়ে পুলিশের লাঠির বেদম প্রহারে প্রচণ্ডভাবে আহত হয়েছিলেন তরুণ ছাত্রনেতা শেখ মুজিবসহ কাজী গোলাম মাহবুব, শওকত আলীসহ আরো অনেকেই। এমনকি শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকও সেই সময় পুলিশের লাঠ্যাঘাতে প্রচ-ভাবে আহত হয়েছিলেন, যে ফজলুল হক একদা ছিলেন উভয়বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।

দৈনিক আজাদ পত্রিকায় ১৯৪৮ সালের ১৩ মার্চ তারিখে হেড লাইন করা হয়েছিল ‘বাংলা ভাষার রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দাবি করিয়া ছাত্র বিক্ষোভ। ঢাকার ছাত্রদের উপর লাঠি চার্জ্জঃ হক সাহেবসহ ৫০ জন আহত। সরকারী অফিসসমূহে পিকেটিং ও কর্মচারীদের অফিস ত্যাগ’ [বানান অক্ষুণ্ন রেখে।] এর দিন কয়েক পরে, ১৬ মার্চ ১৯৪৮ আহত শওকত আলীর সঙ্গে শেখ মুজিবকে দেখতে গিয়েছিল নাগরিক সমাজ, তখনকার পত্রপত্রিকার মাধ্যমে। পূর্বে গ্রেপ্তারকৃত শেখ মুজিবকে পুলিশ ১৬ মার্চের আগেই ছেড়ে দিয়েছিলেন।

সাম্প্রতিক কালের পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বিগত ২০১৭-১৮ সালে বাংলাদেশ সম্পর্কে বেশ কিছু অশালীন মন্তব্য করেছিলেন, তিনি বলেছিলেন, বাঙালিরা অমানুষ, মনুষ্যত্বহীন, বিবেকহীন, কিন্তু সম্প্রতি তাদের অংশের জম্মু এবং কাশ্মির নিয়ে ভারতীয়দের কিছু সৈনিককে দিবালোকে পুলওয়ামা নামক একটি এলাকায় বিনাদোষে তারই দেশে লালিত সন্ত্রাসবাহিনী দিয়ে হত্যা করিয়ে অবশেষে প্রায় যুদ্ধাবস্থায় ইমরান খান ভারতের কাছে নতি স্বীকারে বাধ্য হলেন, কেননা পাকিস্তানের চেয়ে অনেক বেশিগুণ পারমাণবিক শক্তিধর দেশ ভারত; আবার একশ্রেণির মানুষ উল্টো কথাই বললেন, পাকিস্তানিদের যথেষ্ট পরিমাণ পারমাণবিক বোমা মজুদ আছে। ইচ্ছে করলে ইমরান খান যে কোনো মুহূর্তে ভারতকে পদানত করতে পারবে।

ঠিক অমন কথা শুনেছিলেন সেই ১৯৬৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসের দ্বিতীয় অথবা তৃতীয় সপ্তাহে, পাকিস্তান-ভারতের যুদ্ধের সময় যেটি পাক-ভারত যুদ্ধ হিসেবে এখনো সর্বজনবিদিত। এবং আরো বিদিত পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি আইয়ুব খানের সৈনিকরা সগর্বে জানিয়েছিল, যে কোনো সময় পাক বাহিনী (সৈয়দ মুজতবা আলীর ভাষায় না-পাক বাহিনী)। দিল্লি জামে মসজিদে নামাজ শেষ করেই সমগ্র ভারতের নাম পাল্টিয়ে পাকিস্তানের পতাকা উড়িয়ে দেবে ভারতের ২২-২৩টি প্রদেশে।’

৬৫ সালের যুদ্ধে পাকিস্তান হেরে গেলেও এ দেশের তৎকালের পত্রপত্রিকায় বিশেষত মোনায়েম খানের পুত্রের ‘দৈনিক পয়গাম’ প্রায় প্রতিদিন পাকিস্তানের ভারত দখলের মিথ্য প্রচারটি চালিয়ে যেতেন। পত্রিকাটির সম্পাদক ছিলেন মুজিবুর রহমান খাঁ।

যে মিথ্যে দিয়ে ১৯৪৭ সালের আগে পূর্ববঙ্গের মানুষকে প্রলোভন দেখিয়েছিল, সোনার পাকিস্তানের- সেই পাকিস্তানের বুকের ভেতরে ছিল তামা এবং লোহার আবরণ, যে আবরণে এবং বাঙালিদের স্বপ্ন দেখিয়েছিল সেই স্বপ্ন ধূলিতে মিশে যেতে সময় লাগেনি, ১৯৪৭ সাল পেরিয়ে ’৪৮-এ এসে।

বাঙালি নেতা ছাত্র সমাজ কমবেশি সবাই বুঝতে পারলেন, পাকিস্তানের জনকের ভূমিকা অপরদিকে জনাব জিন্নার বিশ্বস্ত ছিলেন লিয়াকত আলী খান, তার হঠকারিতার জন্য তাকেও প্রাণ দিতে হয়েছিল ৫০ দশকের গোড়ার দিকে। অপরদিকে ভারতের জনক করমচাঁদ মোহনচাঁদ গান্ধী তাকেও প্রাণ দিতে হলো এক সভায়।

লিয়াকত আলী, গান্ধীকে যে দুজন খুন করেছিল তার পেছনের ইতিহাস জিন্না, গান্ধী, নেহেরু এবং ইংরেজদের চক্রান্তেই গৃহহারা, দেশহারা হয়েছিল হিন্দু-মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মানুষরা। তারই প্রতিশোধ নিয়েছিলেন মি. রামসে গডসে এবং একখান পাঠনে। দেশ ভাগের আগে আমাদের পূর্ববঙ্গের মানুষরা পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় গিয়ে কেউ হয়েছিলেন পাটকলের-ডক ইয়ার্ডের, ভারতের পূর্ব রেলওয়ের শ্রমিক। তারা কেউ কোনো দিন বুঝতে পারেননি হিন্দু-মুসলমানদের ভেতরে কোনোকালে দাঙ্গা হতে পারে।

কিন্তু ১৯৪৬ সালে সব কিছু এলোমেলো করে দিল কতিপয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট মানুষরা। কোথায় গেল সেই ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গ। পুনরায় একত্রীকরণ ইতিহাস। সবকিছু মিলিয়ে গেল ’৪৬-এর দাঙ্গায় এবং একই সঙ্গে দুই সম্প্রদায়ের ভেতরে যে দূরত্বের সৃষ্টি হলো, সেটি এখনো কম-বেশি বিদ্যমান।

কয়েকদিন আগে পাবনা প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. এম আবদুল আলীমের সুলিখিত একটি গ্রন্থ পাঠ করতে গিয়ে অনেক তথ্য পেলাম, একই সঙ্গে ১৯৪৮ সাল থেকে শেখ মুজিবুর রহমানসহ অন্য নেতাদের কর্মকাণ্ডের ওপর- ড. আলীমের ‘ভাষা আন্দোলনে ছাত্রলীগ- কতিপয় দলিল’ পাঠান্তে আমার মনে হয়েছে এই দেশের ভাষা আন্দোলনে ছাত্রলীগের যে অবদান, তার সাক্ষ্য-প্রমাণ কতিপয় দলিলে বর্ণিত হয়েছে, সেটি আমাদের অনেকেরই অজানা। সেই অজানাকে জানতে গিয়ে আমাদের উত্তরা মডেল টাউনের গর্বিত, সুকণ্ঠের মশকদের অত্যাচারে অতীত ইতিহাস জানার আগেই, ঢাকা উত্তরের মেয়র পদে যিনি মনোনীত হয়েছেন, তিনি আতিকুল ইসলাম।

তাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, তিনি উত্তরাবাসীকে নিশ্চিত করেছেন, সুকণ্ঠের মশক থাকবে না। কথাটি পাঠান্তে ভালো লাগল, যেমন ভালো লেগেছিল শরৎচক্রের ‘বিলাসী’ গল্পের ন্যাড়া চরিত্রটি, ন্যাড়ার বয়ান আমরা স্কুল জীবনে জেনেছি। তিনি জানিয়েছেন, ‘মশার কামড়ে অতিষ্ঠ হইয়া সন্ন্যাসগিরি ছাড়িয়া দিলাম।’

আমি কিছুদিন ধরে ভাবছি যাবতীয় বইপুস্তক ফেলে দিয়ে একদিন পাবনায় চলে যাব, ওখানে গেলে নিশ্চয়ই জনাব আলীমের কষ্টসাধ্য, শ্রমসাধ্য বইটি ‘ভাষা আন্দোলনে ছাত্রলীগ, কতিপয় দলিল’ আশা করি শেষ করতে পারব, সঙ্গে জানাব শেখ মুজিবের যাবতীয় কর্মকাণ্ড।

রবীন্দ্রনাথের রাষ্ট্রনৈতিক মত কালান্তরে তিনি জানিয়েছেন, ‘আমাদের দেশকে সম্পূর্ণভাবে কেউই কেড়ে নিতে পারে না এবং সেই দেশকে বাইরে থেকে দয়া করে কেউ আমাদের হাতে তুলে দেয় এমন শক্তি কারও নেই।’ প্রায় শত বছর আগে লেখা কালান্তর প্রবন্ধ থেকে জানলাম ওপরের কথাগুলো। হয়তোবা ১৯৪৮ সালেই শেখ মুজিব জেনেছিলেন আমাদের দেশকে সম্পূর্ণভাবে কেউ কেড়ে নিতে পারে না। যেমন পারেনি- না-পাক দস্যুরা, ১৯৭১ সালে।

মাকিদ হায়দার: কবি ও প্রাবন্ধিক।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App