×

খেলা

বিশ্বকাপে দুই দেশের হয়ে খেলেছেন যারা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০১৯, ০২:১৮ পিএম

বিশ্বকাপে দুই দেশের হয়ে খেলেছেন যারা
সময় ঘনিয়ে এসেছে। চার বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে আবারো ক্রিকেট উন্মাদনায় মাতবে সমর্থকরা। ইংল্যান্ড-ওয়েলসে অনুষ্ঠিতব্য ১২তম এই বিশ্বকাপকে সামনে রেখে চলুন জেনে নেয়া যাক দুই দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করা ক্রিকেটারদের কথা। বিশ্বকাপ ইতিহাসে দুই দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করা ক্রিকেটারের সংখ্যা চার জন। তারা হলেন কেপলার ওয়েসেলস, অ্যান্ডারসন কামিন্স, এড জয়েস এবং ইয়ন মরগান। দক্ষিণ আফ্রিকার অরেঞ্জ ফ্রি স্টেটে কেপলার ওয়েসেলসের জন্ম ১৯৫৭ সালে। ১৯৮৩ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে অভিষেক হয় তার। একই বছর অজিদের হয়ে কেপলারের বিশ্বকাপেও অভিষেক ঘটে। ওই বিশ্বকাপে ৩ ম্যাচে তিনি মোট ৯২ রান করেন। ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসে বসা ক্রিকেট বিশ্বকাপের তৃতীয় আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে কেপলারের ব্যাট থেকে আসে ৭৬ রানের অপরাজিত এক ইনিংস। তবুও ওই ম্যাচটি রোডেশীয়রা ১৩ রানের ব্যবধানে জিতে নেয়। পরের ম্যাচে ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে করেন ১১ রান। এ ম্যাচটিও উইন্ডিজ জিতে নেয় ১০১ রানের বড় ব্যবধানে। ওয়েসেলস ভারতের বিপক্ষে তৃতীয় ম্যাচে ৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন। টানা দুই ম্যাচে খারাপ করায় দল থেকে বাদ পড়েন তিনি। পরবর্তীতে বিশ্বকাপে কেপলারের আর অজি দলে জায়গা হয়নি। অজিদের হয়ে ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপে খেলে ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপে খেলেন জন্মভ‚মি দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে। ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপ বসেছিল অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডে। সেটি ছিল এই টুর্নামেন্টের পঞ্চম আসর। ওই আসরে প্রোটিয়াদের হয়ে ৯ ম্যাচে তিনি ৩১৩ রান করেন। দুই দেশের হয়ে বিশ্বকাপে খেলেছেন অ্যান্ডারসন কামিন্সও। ১৯৯২ সালের আসরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে বিশ্বকাপ মঞ্চে আবির্ভাব হয়েছিল তার। ওই আসরে ক্যারিবিয়ানদের হয়ে ৬ ম্যাচে অ্যান্ডারসন ১২ উইকেট শিকার করেছিলেন। ওই আসরে ৩৩ রান খরচায় ৪ উইকেট শিকার করা ছিল বিশ্বকাপে তার সেরা বোলিং ফিগার। কামিন্স এরপর ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে কানাডার হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন। সেবার বিশ্বকাপ বসে ওয়েস্ট ইন্ডিজে। ওই আসরে কেনিয়ার বিপক্ষে কানাডার প্রথম ম্যাচে কামিন্সের ব্যাট থেকে আসে মাত্র ১ রান। বল হাতেও ওই ম্যাচে নিষ্প্রভ ছিলেন তিনি। ৩২ রান খরচায় শিকার করেছিলেন মাত্র এক উইকেট। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচেও অ্যান্ডারসন কামিন্স জ্বলে উঠতে পারেননি। কেপলার, কামিন্সদের মতো এড জয়েস এবং ইয়ন মরগানও বিশ্বকাপে দুই দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তারা দুজনেই ইংল্যান্ড এবং আয়ারল্যান্ডের হয়ে বিশ্বকাপ মঞ্চে খেলেছেন। জয়েস ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে খেলেন ইংলিশদের হয়ে। সে সময় আয়ারল্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করেছেন ইয়ন মরগান। ইংলিশদের হয়ে এড জয়েস ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে রানের খাতাই খুলতে পারেননি। কিউইদের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে সাজঘরে ফেরেন শূন্য রানে। দ্বিতীয় ম্যাচে কানাডার বিপক্ষে খেলেন ৬৬ রানের জমকালো এক ইনিংস। তৃতীয় ম্যাচে কেনিয়ার বিপক্ষে ফের ৭৫ রান আসে মরগানের ব্যাট থেকে। সুপার আটের তিন ম্যাচে করেন মাত্র ১১ রান। অন্যদিকে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের হয়ে ২১ রান করতে সক্ষম হন ইয়ন মরগান। দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে মরগান প্যাভিলিয়নে ফেরত যান মাত্র ২ রান করে। উইন্ডিজের বিপক্ষে তৃতীয় ম্যাচে করেন ১৮ রান। সুপার আটে সাত ম্যাচ মিলিয়ে রান করেন মাত্র ৩৫। ২০১১ সালের বিশ্বকাপে আয়ারল্যান্ডের হয়ে এড জয়েস খেলেন ৬ ম্যাচ। তার ব্যাট থেকে আসে ১৭৬ রান। ওই আসরে ইক ইনিংসে সর্বোচ্চ ৮৪ রান করেছিলেন তিনি। অন্যদিকে ইয়ন মরগান ইংল্যান্ডের হয়ে ২০১১ সালের বিশ্বকাপে নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে সুযোগ পেয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে করেছিলেন ৬৩ রান। পরের ম্যাচে উইন্ডিজের বিপক্ষে তার ব্যাট থেকে আসে মাত্র ৭ রান। কোয়ার্টার ফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হাফ সেঞ্চুরি করে লাসিথ মালিঙ্গার বলে আউট হন তিনি। ওই ম্যাচটি শ্রীলঙ্কা ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে জিতে নেয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App