×

খেলা

যাদের শেষ বিশ্বকাপ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৭ মার্চ ২০১৯, ০৫:২০ পিএম

যাদের শেষ বিশ্বকাপ
শুরু হতে যাচ্ছে ১২তম ক্রিকেট বিশ্বকাপের আসর। এবারের টুর্নামেন্ট বসবে ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসে। এ নিয়ে পাঁচবার ইংল্যান্ডে হতে যাচ্ছে বিশ্বকাপের আসর। শুধু তাই নয়, এই টুর্নামেন্টের ফাইনালও হবে ঐতিহাসিক লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে। এর আগে আরো পাঁচবার এই ভেন্যুতে বিশ্বকাপেরফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবারের আসরের পর অনেক তারকাকেই খেলতে দেখা যাবে না বিশ্বকাপের পরের আসরে। অর্থাৎ এটাই হতে যাচ্ছে তাদের সম্ভাব্য শেষ বিশ্বকাপ। এমন কয়েক জন খেলোয়াড়ের সংক্ষিপ্ত তথ্য-বিবরণী জানা যাবে এ লেখনীতে। এবারের বিশ্বকাপের পর অবসর নেবেন টাইগার ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। আগেই এমনটি ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন তিনি। মাশরাফির মতো বিশ্বকাপের পর অবসর নেয়ার কথা জানিয়ে রেখেছেন ক্যারিবীয় দানব ক্রিস গেইল এবং লঙ্কান গতি তারকা লাসিথ মালিঙ্গাও। বাংলাদেশের জার্সিতে মাশরাফি খেলেছেন বিশ্বকাপের মোট তিন আসরে। ২০০৩ সালের বিশ^কাপে অভিষেক হয়েছিল তার। ২০০৭ সালের টুর্নামেন্টে খেললেও ২০১১ সালে বাংলাদেশ, ভারত এবং শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত হওয়া আসরে মাশরাফি ইনজুরি দোহাইয়ে খেলতে পারেননি। ২০১৫ সালের বিশ^কাপে তিনি পান টাইগার দলপতির দায়িত্ব। ওই আসরে তার নেতৃত্বে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা বিশ্বকাপ ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার গৌরব অর্জন করে। বিশ্বকাপে মাশরাফি এখন পর্যন্ত খেলেছেন ১৬ ম্যাচে। টাইগার অধিনায়ক ১৬ ম্যাচে শিকার করেন ১৮ উইকেট। পাশাপাশি তার নামের পাশে রয়েছে ১৬৫ রান। ক্যারিবীয় ব্যাটিং দানব ক্রিস গেইল বিশ্বকাপের চার আসরে অংশ নিয়েছেন। ২০০৩ সালের বিশ্বকাপ দিয়ে ক্রিকেটের বড় মঞ্চে তার আবির্ভাব। চার আসরে ২৬ ম্যাচে তার ব্যাট থেকে রান এসেছে ৯৪৪। পাশাপাশি স্পিন ঘূর্ণিতে নিয়েছেন ১৪ উইকেট। শ্রীলঙ্কান গতি তারকা লাসিথ মালিঙ্গাও এবারের বিশ্বকাপের পর অবসর নেয়ার কথা বলে রেখেছেন। মালিঙ্গা খেলেছেন বিশ^কাপের তিন আসরে। তিন টুর্নামেন্টে ২২ ম্যাচে নিয়েছেন ৪৩ উইকেট। বিশ^কাপে তিনি দুবার হ্যাটট্রিকও করেছেন, যে রেকর্ডটি একমাত্র তারই দখলে। তিনি ছাড়া অন্য কেউই এই রেকর্ডে এখনো ভাগ বসাতে পারেননি। মালিঙ্গার মতো বিশ^কাপে দুটি হ্যাটট্রিক করতে না পারলেও আরো সাতটি হ্যাটট্রিক হয়েছে এই মঞ্চে। মালিঙ্গার সেরা বোলিং ফিগার ৩৮ রানের বিনিময়ে ৬ উইকেট শিকার করা। বর্তমানে ৩৭ বছর চলছে ভারতের বিশ্বকাপজয়ী তারকা মহেন্দ্র সিং ধোনির। এই বিশ্বকাপের পর খেলা চালিয়ে গেলেও বিশ্বকাপে হয়তো আর দেখা যাবে না তাকে। সে হিসেবে ১২তম আসরই হতে যাচ্ছে ধোনির শেষ বিশ্বকাপ। এই উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান বিশ্বকাপের তিন টুর্নামেন্টে খেলেছেন ২০ ম্যাচে। ৪২.২৫ গড়ে রান নিয়েছেন ৫০৭। প্রোটিয়া ক্রিকেটার হাশিম আমলার বয়স বর্তমানে ৩৫। কদিন পরেই ৩৬-এ পা রাখবেন তিনি। তাই এবারের আসরের পর আমলাকে আর বিশ^কাপে নাও দেখা যেতে পারে। দেশের হয়ে দুটি বিশ^কাপের ১৫ ম্যাচে খেলে ৬৩৯ রান করেছেন তিনি। বিশ^কাপে আমলার সেরা ইনিংসটি ১৫৯ রানের। বর্তমানে পাকিস্তানের অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদের বয়স ৩১। বয়সের বিবেচনায় তারও এই বিশ্বকাপের পর খেলার সম্ভাবনা কম। তা ছাড়া তরুণদেরও সুযোগ দেয়ার বিষয়টি মাথায় রেখে বিশ্বকাপ আর নাও খেলতে পারেন তিনি। অর্থাৎ এটাই হতে পারে তার শেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপ টুর্নামেন্ট। সরফরাজ এখন পর্যন্ত খেলেছেন ৩ ম্যাচে। তিন ম্যাচে তার ব্যাট থেকে এসেছে ১৬০ রান। এর মধ্যে একটি সেঞ্চুরিও হাঁকিয়েছেন তিনি। ৩৬ বছর বয়সী ইংলিশ পেসার জেমস অ্যান্ডারসন খেলেছেন বিশ^কাপের ৪ আসরে। এই বিশ্বকাপই হতে পারে তার ক্যারিয়ারের শেষ ওয়ানডে বিশ^কাপ। ওয়ানডে বিশ্বকাপ মঞ্চে জেমস ম্যাচ খেলেছেন ২৫টি। ২৫ ম্যাচে ২০৯ ওভার বল করেছেন এ মিডিয়াম পেসার। ১০৮১ রানের দেয়ার বিপরীতে শিকার করেছেন ২৭ উইকেট। তার সেরা বোলিং ফিগার ২৫ রানে ৪ উইকেট শিকার। বয়সের দিকে ৩২ পেরিয়ে ৩৩-এ পা রাখতে চলেছেন অজি ওপেনিং ব্যাটসম্যান ডেভিড ওয়ার্নার। এক বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ফিরেছেন তিনি। জাতীয় দলে তার দারুণ ভ‚মিকা রয়েছে। বিশ্বকাপ তিনি খেলেছেন ৮ ম্যাচে। ৮ ম্যাচে এক সেঞ্চুরিতে করেছেন ৩৪৫ রান। তার সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি ১৭৮ রানের। কিউই দলের সবচেয়ে বয়স্ক তারকা হলেন রস টেইলর। তার বয়স ৩৫ বছর। এই বিশ^কাপ শেষে তাকে হয়তো আর ক্রিকেটের বড় মঞ্চে দেখা যাবে না- এটা ধরেই নেয়া যায়। তা ছাড়া বিশ^কাপ থেকে হারিয়ে যেতে পারেন টেইলর সতীর্থ মার্টিন গাপটিলও। রস টেইলর অংশ নিয়েছেন বিশ^কাপের তিন আসরে। তিন আসরে ২৩ ম্যাচে করেছেন ৬৫২ রান। বিশ^কাপে তার সর্বোচ্চ ইনিংসটি ১৩১ রানের। এক সেঞ্চুরিসহ করেছেন ৩ হাফ সেঞ্চুরিও। আফগানিস্তান থেকে এই বিশ্বকাপ পরে অবসর নিতে পারেন বেশ কয়েক জন ক্রিকেটার। তারা হলেন- দলের অধিনায়ক আসগর আফগান, মোহাম্মদ শেহজাদ এবং মোহাম্মদ নবি। তাদের প্রত্যেকের বয়স ৩০ পেরিয়েছে। এর মধ্যে মোহাম্মদ নবির বয়স সবচেয়ে বেশি। তাই ধরে নেয়া যায় যে, এই আসর শেষে তাকেও হয়তো আর বিশ^কাপ মঞ্চে দেখা যাবে না।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App