×

জাতীয়

রামগঞ্জে ৫ কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা জনতা ডেভেলপমেন্ট কোম্পানী

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০১৯, ০৩:৩৪ পিএম

রামগঞ্জে ৫ কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা জনতা ডেভেলপমেন্ট কোম্পানী
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে জনতা ডেভেলপমেন্ট কোম্পানী নামের একটি প্রতিষ্ঠান ৫ কোটি টাকার সম্পদ ও নগদ টাকা লগ্নি করে পালিয়েছে। এতে করে পথে বসার উপক্রম জেলার রামগঞ্জ শহরের অর্ধশত ব্যবসায়ী, চাকরীজীবি ও প্রবাসীর পরিবারের। ফার্মের মালিক সাড়ে ৪ বছরে দশতলা মার্কেটটি নির্মান শেষ করার চুক্তিবদ্ধ হলেও দীর্ঘ ৯ বছরেও তিন তলার কাজ শেষ না করে কোটি কোটি টাকা নিয়ে গা-ঢাকা দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন কয়েকজন ক্ষতিগ্রস্থ ভূমির মালিকগণ। রামগঞ্জ শহরের প্রানকেন্দ্রে (থানার সামনে) জনতা ইউনিটি টাওয়ার নামে দশতলা ভবন নির্মানে টাকা ও সম্পদ দিয়ে ক্ষোভ ও হতাশা দেখা দিয়েছে ভুক্তোভুগিদের মাঝে। ব্যাংক ঋণের বোঝা ও ধার করা টাকা পরিশোধ করতে গিয়ে অনেকেই এখন সর্বশ্রান্ত। এ ব্যপারে লুৎফর রহমান মাষ্টার, তোফাজ্জল হোসেন, ফিরোজ আলম, ফেরদৌসি বেগমসহ ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিকগণ জানান, ২০১০ ইং সনে রামগঞ্জ থানা সংলগ্ন রতনপুর মৌজার বিভিন্ন দাগে স্থানীয় ১৩জন ব্যবসায়ী ১০তলা মাকের্ট ও ফ্লাট নির্মানে ঢাকার গুলশানস্থ জনতা ডেভেলপমেন্ট এন্ড টেকনোলজিস নামের একটি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধীকারী শামস রহমান মানিকের সাথে পাওয়ার অব অ্যাটর্নির মাধ্যমে চুক্তিবদ্ধ হয়। চুক্তি অনুযায়ী সাড়ে চার বছরে উক্ত মার্কেটের নির্মান কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ফার্মের মালিক গত ৮ বছরে নানান তালবাহানায় তিন তলার নিমার্ন কাজ অসম্পূর্ণ রাখে। এবং ৫৫/৬০জন বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের নিকট শামস রহমান মানিক উচ্চমূল্যে দোকান বিক্রি করেও দোকানগুলো বুঝিয়ে না দিয়ে বর্তমানে গা-ঢাকা দিয়েছেন। এছাড়াও একই দোকান কয়েকজনের কাছে বিক্রি করে দেয়ায় প্রকৃত মালিকগণ দোকানগুলো দখলেও নিতে পারছেন না। রোমান হোসেন পাটওয়ারী, আবদুল হান্নান, ফরহাদ আহমেদসহ ভূমি মালিকগণ জানান, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে গত কয়েক বছরে উক্ত প্রতিষ্ঠানের মালিককে আইনী নোটিশ দেয়া হলেও তার পক্ষ থেকে আশানুরুপ সাড়া পাওয়া যায়নি। এছাড়াও চুক্তিমতে ভূমি মালিকদের প্রাপ্য অংশ বুঝিয়ে না দেয়ায় চরম ক্ষোভ ও হতাশা দেখা দিয়েছে। বতর্মানে ভূমি মালিকগণ জনতা ডেভেলপমেন্ট এন্ড টেকনোলজিস এর নির্মানাধীন তৃতীয়তলা পর্যন্ত অসম্পূর্ণ কাজ শেষ করতে কত টাকা প্রয়োজন এ মর্মে (Archetype) নামে একটি প্রকৌশল প্রতিষ্ঠানের কাছে হিসাব চাইলে উক্ত প্রতিষ্ঠান সার্ভে করে প্রায় এক কোটি সতের লাখ টাকা প্রয়োজন বলে হিসাব প্রদান করেন। এ ব্যপারে জনতা ডেভেলপমেন্ট এন্ড টেকনোলজিস নামের একটি কনস্ট্রাকশন ফার্মের স্বত্বাধীকারী শামস রহমান মানিক মুঠোফোনে জানান, মালিকপক্ষের রিয়েল এষ্টেট বিষয়ে ধারণা না থাকায় তারা অনেক কথাই বলতে পারে। এছাড়া জমি মালিকদের জমি নিস্কন্টক নাই। প্রায় ৩ কোটি অতিরিক্ত খরছ করার কারনে ডিজাইন কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। ব্রোকারের মাধ্যমে দোকান বিক্রির কারনেও দুই একটা দোকান নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App