×

জাতীয়

১০৫ বছর বয়সেও বয়স্কভাতা জোটেনি জলে বিবির ভাগ্যে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৩ মার্চ ২০১৯, ০২:৩৫ পিএম

১০৫ বছর বয়সেও বয়স্কভাতা জোটেনি জলে বিবির ভাগ্যে
শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে ১০৫ বছর বয়সেও বয়স্কভাতা জোটেনি জলে বিবির ভাগ্যে। জলে বিবি উপজেলার ডেফলাই গ্রামের মৃত টুকু বেদের স্ত্রী। ২০ বছর পূর্বে মারা যায় টুকু বেদে। ১ ছেলে ৩ মেয়ে বিয়ে-সাদী করে আলাদা ঘর সংসার করছে। বয়সের ভারে নুইয়ে পরেছেন জলে বিবি। তবুও থেমে নেই জলে বিবির জীবন যুদ্ধ। ঠিক মতো হাটা-চলা করতে পারেন না জলে বিবি। জীবিকার তাগিতে আদি পেশা নিয়েই প্রতিদিন গ্রামে বের হতে হচ্ছে তাকে। গ্রাম ঘুরে ঝারফুক দিয়ে ১ থেকে দেড়শ টাকা আয় হয়। তাই দিয়ে কোনো রকমে চলে জলে বিবির সংসার। শারীরিক সমস্যায় যে দিন গ্রাম ঘুরতে না পারেন সে দিন অনাহারে-অর্ধাহারে কাটে তার দিন। জলে বিবির রান্নার কাজে সহায়তা করে তার প্রতিবন্ধী নাতনী লাকি (১৬)। নাতনী লাকির ভরণ-পোশণের দায়িত্ব ভারও জলে বিবির উপর। কথা হয় জলে বিবির সাথে। তিনি নিজেও জানেন না তার এ দুঃখ-কষ্টের শেষ কোথায়। বয়স্কভাতা পেয়েছেন কি না জানতে চাওয়া হলে জলে বিবি জানান, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের কাছে বহুবার গিয়েছেন। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। তিনি বলেন, বয়স্কভাতা পেতে ৩হাজার টাকা দিতে হয় ইউপি সদস্যদের। টাকা দিতে না পারায় তার ভাগ্যে জুটেনি কার্ড। তিনি আরোও বলেন, বয়স্কভাতা তো দূরের কথা ভিজিএফ’র ১০ কেজি চালের একটি সিলিভ বা শীতে একটি কম্বলও জুটেনি তার ভাগ্যে। এ বিষয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী সাথে কথা হলে তিনি বলেন, বয়স্কভাতার কার্ড বরাদ্দ এলে দেয়া হবে। উপজেলা সমাজসেবা অফিসার আরিফুর রহমান বলেছেন একই কথা। জলে বিবির ভাগ্যে আদৌ জুটবে কি একটি বয়স্কভাতার কার্ড?

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App