জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে দাফনের ২৩ দিন পর কবর থেকে ফজলুল হক (৪০) নামের এক কাঠ ব্যবসায়ীর লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। গতকাল সকালে উপজেলার ভাটারা ইউনিয়নের ফুলদহ গ্রামের পারিবারিক কবরস্থান থেকে তার লাশ উত্তোলন করা হয়। এসময় হাজারো উৎসুক জনতা ভীর জমায়। পুলিশ ও নিহতের পরিবার সুত্রে জানা যায়, গত ১৯ ফেব্রুয়ারী বিকেলে স্থানীয় এরশাদ নামের এক যুবক তাকে বাড়ী থেকে ফোন করে ডেকে নিয়ে যায়। ঐই দিনই সন্ধায় পর খবর আসে সে সড়ক দুর্ঘটনায় জামালপুর পৌর এলাকায় টিউবওয়েলপাড় মোড়ে মারা গেছে। পরে তাকে উদ্ধার জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বললে পথেই মারা যায় সে। পরের দিন সকালে তার লাশ দাফন করে পরিবারের সদস্যরা। এর পর তার পরিবারের সন্দেহ হলে নিহতের স্ত্রী আঞ্জুয়ারা বেগম বাদি হয়ে সরিষাবাড়ী থানায় ফুলদহ গ্রামের মৃত আঃ সাত্তারের ছেলে এরশাদ (৩৫), একই গ্রামের মৃত হযরত আলীর ছেলে আব্দুল ওয়াহাব (৫০) ও গুফ্ফার সহ অজ্ঞাত আরো ৫-৬ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। (মামলা নং-১, তারিখ-০১-০৩-১৯ ইং) পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রকিবুজ্জামান তালুকদার সুহরতহাল ও ময়নাতদন্তের জন্য আদালতে আবেদন করলে জামালপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট সি আর আমলী আদালতের নির্বাহী হাকিম ফয়সাল তারেক লাশ উত্তোলন করে সুহরতহাল ও ময়নাতদন্তের জন্য আদেশ প্রদান করেন। পরে আজ সকালে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের উপস্থিতিতে কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও সরিষাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রকিবুজ্জামান তালুকদার, সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।