শ্রীনগরে এলজিইডির কাঁচা রাস্তার কারণে দুর্ভোগ
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১ মার্চ ২০১৯, ০২:১৬ পিএম
শ্রীনগরের বাড়ৈগাঁও বাজার-বিবন্দী বাজার রাস্তাটির টুনিয়ামান্দ্রা গ্রামের বারেক মোল্লার বাড়ি হতে বিবন্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন অটো-বেবী ষ্ট্যান্ড মোড় পর্যন্ত এলজিইডির পাকা রাস্তার প্রায় ৫’শত মিটার ভাঙ্গাচুরা কাঁচা রাস্তা থাকার কারণে চমরদুর্ভোগে এলাকাবাসী ।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তাটির অবস্থা খুবই নাজুক হয়ে পড়েছে। গতকয়েক দিনের টানা বৃষ্টির পানি জমে গিয়ে রাস্তায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। রিক্সা, ভ্যান, মোটর সাইকেল, প্রাইভেট কারসহ বিভিন্ন গাড়ীর চাকা মাটিতে ডেবে গিয়ে ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছেন চালকসহ পথচারীরা। বিবন্দী, পাঁচলদিয়া, জুরাসার, মুসলিমপাড়া, বাগবাড়ি, বনগাঁও ও টুনিয়ামান্দ্রা নামক গ্রামের লোকজনের এ রাস্তা দিয়েই বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করতে হয়। বিবন্দী বাজার-বাড়ৈগাঁও বাজার নামক রাস্তাটি অত্রএলাকার প্রধান সড়ক। এ রাস্তাটি শ্রীনগর-তন্তর-নওপাড়া ও ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের সংযোগ রাস্তা হিসেবে পরিচিত। বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের নজরে নিয়ে এর দ্রুত সমাধান চান স্থানীয়রা।
অপর একটি সূত্র থেকে জানাযায়, টুনিয়ামান্দ্রা ও বিবন্দী দুই গ্রামের সিমান্তবর্তী খালের উপর একটি কাঠের পুল ছিল। গত ২০১৬ সালে রাস্তার কার্পেটিং কাজের সময়ে রোলার মেশিন নেয়ার লক্ষে পুলটি ভেঙ্গে খাল মাটি দিয়ে ভরাট করা হয়। কিন্তু পুলের দুই দিকের প্রায় ৫’শত মিটার রাস্তা আর পাকা করা হয়নি। একদিকে যেমন রাস্তার সমস্যা অপরদিকে কৃষি জমিগুলোতে পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় কৃষকরা মারাত্বক লোকসানের সম্মূক্ষীন হয়েছেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল কাইয়ুম মিন্টু জানান, বিবন্দী বাজার হতে বাড়ৈগাঁও বাজার পর্যন্ত পুরো সড়কটির দৈর্ঘ প্রায় সাড়ে ৩ কিলোমিটার হবে। বিবন্দীর বেবী ষ্ট্যান্ডের পরে গিয়ে ৪৮২ মিটার রাস্তা কাঁচা কাঁচা থাকায় মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। রাস্তায় কার্পেটিংয়ের সময় বিবন্দী-টুনিয়ামান্দ্রা খালের উপরে পুল ছিল। রাস্তার উত্তর-দক্ষিন পাশের বিলের পানি নিষ্কাশন হওয়ার একমাত্র মাধ্যম এ খাল। রাস্তয় কার্পেটিংয়ের কাজ চলাকালীন সময়ে রোলার মেশিন আনা নেয়ার জন্য পুলটি ভাঙ্গা হয়। আমরা শুনেছি তৎকালীন সময়ে এখানেও কার্পেটিংয়ের কাজ হবে তাই পুলটি ভাঙ্গা হয়েছে। কিন্তু রাস্তার কাজ আর হয়নি!
এবিষয়ে শ্রীনগর উপজেলা (এলজিইডি) সহকারী প্রকৌশলী মোঃ নূর ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে উধ্বর্তন কর্মকর্তাদের সাথে আলাপ চলছে। এর সমাধানে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।