×

জাতীয়

সরিষাবাড়ীর চরাঞ্চলে ভূট্টার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ মার্চ ২০১৯, ০৪:৫২ পিএম

সরিষাবাড়ীর চরাঞ্চলে ভূট্টার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা
জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার ৮ টি ইউনিয়নে ভূট্টার বাম্পার ফলনের সম্ভবনা দেখা দিয়েছে। কৃষক অধীর আগ্রহে মনের খুশিতে মাঠে কাজ করছে। চরাঞ্চলের এলাকা জুড়ে এখন শুধু ভূট্টার উঠতি চারা শোভা পাচ্ছে। ঝিলমিল করে বাতাসে দোলছে ভূট্টার সবুজ পাতা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার পোগলদিঘা, পিংনা, আওনা, ডোয়াইল, কামরাবাদ, ভাটারা ইউনিয়নের অধিকাংশ প্রান্তীক ও চরাঞ্চলের চাষীরা ভূট্টা চাষ করেছে। কারন অন্য ফসলের তুলনায় ভূট্টা চাষ কম খরচে বেশি লাভজনক হওয়ায় এ ভূট্টা চাষ করছে তারা। এতে খরচ কম ফলন বেশি। পানি সেচও তেমন বেশি দিতে হয়না। এক বিঘা জমিতে ধান চাষ করলে ১৪ থেকে ২০ মন ধান হয় অপর দিকে এক বিঘা জমিতে ভূট্টা হয় ২৫ থেকে ৩০ মন। দামেও তেমন পার্থক্য নেই। কীটনাশক সারের ব্যবহারও কম। গত বছরের চেয়ে এ বছর ভূূট্টা চাষ হয়েছে অনেক বেশি। জমিতে ফলনের আকৃতি ভাল হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। অন্যান্য রবি শস্যের চেয়ে ফলন বেশি হওয়ায় ভূট্টার বাম্পার ফলন দেখা দিয়েছে। পোগলদিঘা ইউনিয়নের চর পোগলদিঘা গ্রামের ভুট্টা চাষি ঈমান আলি বলেন, আমি এ বছর দেড় বিঘা জমিতে ভ‚ট্টার আবাদ করেছি। যা গত বছরের চেয়ে বেশি জমিতে ভূট্টা চাষ করেছি। এ বছর যেমন দেখছি তাতে বিঘাতে ৩০ মন ছাড়িয়ে যাবে আসা করছি। তবে কৃষি অফিস থেকে আমাদের কোন প্রকার পরামর্শ বা সাহায্য করা হয় না । একই ইউনয়িনরে ভুট্টা চাষি সোরহাব আলী বলনে, যেসব জমিতে প‚র্বে বোরো চাষ করা হত সে সব জমির অনেক গুলোতেই আমারা এবার ভুট্টা করছি। বোরো চাষে উৎপাদন খরচ অনেক বেশি অথচ যখন ধান কাটা মাড়াই শুরু হয় তখন ধানের বাজারে ধস নামে। ফলে অনেক ক্ষেত্রে উৎপাদন খরচই উঠেনা। কিন্তু ভুট্টার উৎপাদন খরচ যেমন কম দামও তেমন বেশি থাকে। এ জন্য আমরা ভুট্টা চাষে এবার ঝুঁকে পড়েছি। উপজলো কৃষি অফসি সুত্রে জানা যায়, গত বছর ৬৫০ হেক্টর জমিতে ভূট্টা চাষ হয়েছিল এ বছর লক্ষ্য মাত্রা ছাড়িয়ে ১০৫০ হেক্টর জমিতে ভূট্টা লাগিয়েছে। ফলনও এবার অনেক বেশি হবে। চরাঞ্চলের ভূট্টা চাষিরা অন্য ফসলের চেয়ে ভূট্টাকে এখন একমাত্র ফসল হিসেবে বেছে নিয়েছে। ফলন যেমনি হউক সঠিক মুল্য পাবে কিনা এমনটাই আশঙ্কা এখন এই নিভৃত চরাঞ্চলের কৃষকের। গতবছর যে মূল্য পেয়েছে তার চেয়ে বেশি মূল্য থাকলে বন্যায় অন্য ফসলের যে ক্ষতি হয়েছে তা কিছুটা হলেও পুশিয়ে নিতে পারবে এই ভূট্টা চাষে। পোগলদিঘা ইউপির সফল চেয়ারম্যান সামস উদ্দিন সামস বলেন, আমার ইউনিয়নে এ বছর ভূট্টার আবাদ ভালো দেখা যাচ্ছে। আমি সব সময় সকল ভূট্টা চাষিদের প্রতি অধিক ভূট্টা ফলনের লক্ষ্যে খোজ খবর নিচ্ছি। উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ভূট্টা চাষে কৃষকের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটায় তাই তারা বেশি বেশি ভূট্টা চাষ করে। আমাদের কৃষকরা যখন যে পরামর্শ চেয়েছে আমরা তা ঠিক ঠিক মত দিয়েছি তাছাড়া ভূট্টার আখ গোখাদ্য আর ডাটা জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হওয়ায় এজন্যও কৃষক ভূট্টা চাষে আরো বেশি আগ্রহ সহকারে এ আবাদ করে থাকে। আমাদের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তারা আছে তারা কৃষকের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App