×

বিনোদন

কার হাসি কে হাসে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ মার্চ ২০১৯, ০৪:০৮ পিএম

কার হাসি কে হাসে
ছবি শুরুর আগে অভিনয়শিল্পীর অদল-বদল মামুলি ঘটনা। শুটিং শুরু হয়ে যাওয়ার পর এরকম ঘটনা ঘটে খুব কম। কারো ছেড়ে দেয়া ছবিতে অন্য শিল্পী কি সফল হোন? জেনে নিন তেমনই কিছু অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার কথা
ফরীদির জায়গায় সেলিম যে ছবিতে অভিনয় করারই কথা ছিল না তার, সে ছবির জন্য একেবারে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার! এই অভাবনীয় ঘটনাটি ঘটেছে শহীদুজ্জামান সেলিমের জীবনে। হুমায়ুন ফরীদির অসুস্থ না হলে ইতিহাস হতে পারত অন্যরকম। ছোটপর্দার নির্মাতা রেদওয়ান রনির প্রথম ছবি ‘চোরাবালি’র খলনায়কের চরিত্রটি করার কথা ছিল ফরীদির। পুরান ঢাকায় প্রথমদিনের শুটিংয়েই অসুস্থ হয়ে পড়েন এই সব্যসাচী অভিনেতা। পরদিন শুটিংয়ে গেলেও আর ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানো হয়নি। বিনা নোটিশে ফরীদির স্থলাভিষিক্ত হোন শহীদুজ্জামান সেলিম। চরিত্রটি ছিল সেলিমের জন্য এক বিশাল চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জ জয়ী হয়ে দর্শকদের প্রশংসাই শুধু পাননি সেলিম, পেয়েছেন শ্রেষ্ঠ অভিনেতার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। রিয়াজের জায়গায় শাকিব ‘মাটির ঠিকানা’ শাকিব খানের ক্যারিয়ারের একটি প্রশংসিত ছবি। ব্যবসায়িকভাবেও ছবিটি সফল। অথচ এটি শুরুতে শােিকবর ছবিই ছিল না। রিয়াজের ফেলে যাওয়া ছবিতে অভিনয় করে সফলতার দেখা পান শাকিব। শাহ আলম কিরণ পরিচালিত ‘মাটির ঠিকানা’র শুটিং শুরু হয়েছিল রিয়াজকে নিয়ে। বেশ কিছুদিন শুটিংয়ের পর ছবিটির কাজ বন্ধ হয়ে যায়। যখন শুটিং শুরু হয়, তখন পাল্টে যায় ছবির নায়ক। রিয়াজের ফুটেজগুলো ফেলে দেয়া হয়। শাকিব এসে নতুন করে শুটিং করেন। ছবির নায়িকা থেকে শুরু করে মূল অভিনয়শিল্পীতে কোনো পরিবর্তন হয়নি। রিয়াজ সরে গেলেও নায়িকা পূর্ণিমা ‘মাটির ঠিকানা’য় শাকিবের বিপরীতেই অভিনয়ে রাজি হোন। পূর্ণিমার জায়গায় সাহারা ‘ভালোবেসে মরতে পারি’ ছবিতে ঘটে উল্টো ঘটনা। বদিউল আলম খোকন পরিচালিত এ ছবির শুটিং শুরু হয়েছিল পূর্ণিমা ও শাকিব খানকে নিয়ে। মহরতের মধ্য দিয়ে গাজীপুরে শুরু হয়েছিল ছবির শুটিং। শুটিংয়ের পর শুরু হয় নায়ক-নায়িকার মনোমালিন্য। সেট ছেড়ে চলে আসেন পূর্ণিমা। নায়িকা চলে এলেও শুটিং বন্ধ থাকেনি। পূর্ণিমার জায়গায় আসেন সাহারা। তাকে নিয়ে পুরো ছবি শেষ হয়। অন্যের ছেড়ে দেয়া ছবি হলে তাতে সফলতার দেখা পান সাহারা। পরীর জায়গায় মাহি বাপ্পি চৌধুরী ও পরীমণিকে নিয়ে নির্মাতা শাহনেওয়াজ শানু শুরু করেছিলেন ‘পলকে পলকে তোমাকে চাই’ ছবির শুটিং। কিছুদিন শুটিংয়ের পর পরীমণির উপরে বিরক্ত হয়ে ওঠেন নির্মাতা। নায়িকার অপেশাদারি আচরণে অতিষ্ঠ হয়ে তাকে ছবি থেকে বাদ দেয়া হয়। পরে ছবিতে যুক্ত হোন মাহিয়া মাহি। বাপ্পি-মাহি আগে থেকেই জনপ্রিয় জুটি। তাদের পেয়ে নির্মাতাও খুশি মনে শুটিং শেষ করেন। গত বছর ছবিটি মুক্তি পায়। ছবির ব্যবসায়ও নির্মাতা খুশি। এ্যামির জায়গায় মিম আরো একটি ছবির শুটিং শুরু হওয়ার পর বাদ পড়েছিলেন পরীমণি। সৈকত নাসির পরিচালিত ‘পাষাণ’র শুটিং করেছিলেন নায়িকা। কিন্তু অপেশাদারি আচরণের কারণে তাকে বাদ দেয়া হয়। তার জায়গায় আসেন এ্যামিয়া এ্যামি নামের এক মেয়ে। তিনি প্রযোজকের স্ত্রী বলে ছবিতে নায়িকা হোন বলে গুঞ্জন ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এ্যামিও শুটিংয়ের কয়েকদিন পর বাদ পড়েন। বিদ্যা সিনহা মিম আসেন অবশেষে। গত বছর ‘পাষাণ’ মুক্তি পায়। সাইমনের জায়গায় রোজ অসৌজন্যমূলক আচরণের জনই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার চুক্তিবদ্ধ চারটি ছবি থেকে বাদ পড়েন সায়মন সাদিক। জাকির হোসেন রাজুর পরিচালিত ‘দবির সাহেবের সংসার’ ছবির সেটে খারাপ আচরণ করলে সাইমনের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেয়া হয়। ‘দবির সাহেবের সংসার’ ছবির আউটডোর সেটে ইউনিটের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন সাইমন। ইউনিট ঢাকায় ফিরলে প্রযোজক সবাইকে নিয়ে বসে সিদ্ধান্ত নেন সায়মনকে বাদ দিয়ে সব ছবি নির্মাণ করবেন তিনি। সাইমনের জায়গায় আসেন সুপার হিরো খ্যাত রোজ। স্বাক্ষর শওকত

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App