×

জাতীয়

ননা সংকটে হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১ মার্চ ২০১৯, ০৪:৩২ পিএম

ননা সংকটে হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
দিনাজপুর জেলার হাকিমপুর উপজেলাটি সীমান্তবর্তী ও দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর হওয়ায় এর গুরুত্ব অপরিসীম। স্থলবন্দরে কাজ করা কয়েক হাজার শ্রমিকসহ উপজেলার ২ লক্ষাধিক মানুষের চিকিৎসার একমাত্র আশ্রয়স্থল এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। জনবলের অভাবসহ নানা সমস্যায় মুখ থুবড়ে পড়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসাসেবা। সমস্যায় জর্জড়িত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রত্যাশিত চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে হাকিমপুর উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী উপজেলার সাধারণ মানুষ। জরুরী রোগীদের যেতে হচ্ছে ৮০ কিলোমিটার দূরে সদর জেলা দিনাজপুর মেডিকেলে অথবা ১২০ কিলোমিটার দূরে রংপুর মেডিকেলে। কিন্তু বিধিবাম; স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেই কোন অ্যাম্বুলেন্স। দ্বিগুণ ভাড়ায় মাইক্রোযোগে অন্যত্র যেতে হচ্ছে জরুরী রোগীদের। আলট্রাসনোগ্রাম ও ইসিজি সেশিন না থাকায় রোগীদের বাইরের ক্লিনিক থেকে আলট্রাসনোগ্রাম ও ইসিজি করতে হচ্ছে। রোগীদের নিতে হচ্ছে অনুমান নির্ভর এক্সরে রিপোর্ট। এখানে হয়না কোন প্রকার ছোট-খাট অপারেশন। চরম দূর্ভোগের শিকার হচ্ছেন চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা। উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সরকার এলাকার জনসাধারণের চিকিৎসাসেবা প্রদানের লক্ষে ১৯৮৬ সালে ৩ ফেব্রুয়ারিতে ৩১ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি প্রতিষ্ঠা করে। পরবর্তীতে সেবার পরিসর বৃদ্ধির লক্ষে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ২০১৩ সালে ২২ অক্টোবর ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। বর্তমানে কাঙ্খিত জনবল না থাকায় মাত্র ২ জন ডাক্তার দিয়ে কোনরকমে চলছে চিকিৎসাসেবা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ৫০ শয্যায় উন্নীত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৩ জন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পদ থাকলেও বর্তমানে কর্মরত আছেন মাত্র ৪ জন। এর মধ্যে আবার ২ জন ডাক্তার প্রেষণে গেছেন অন্য হাসপাতালে। ফার্মাসিস্ট ২টি পদই আছে ফাঁকা। নেই স্টোরকিপার ও ইলেকট্রিশিয়ান। আরও নেই আলট্রাসনোগ্রাম ও ইসিজি সেশিনসহ অপারেশনের আধুনিক সরঞ্জামাদী এবং নেই ডেন্টাল সরঞ্জামাদী। রোগীর বেডে লাগেনি আধুনিকতার ছোঁয়া। আছে পরিচ্ছন্ন কর্মীর অভাব। রোগীদের বাইরের ক্লিনিক থেকে আলট্রাসনোগ্রাম ও ইসিজি করতে হচ্ছে। এ ছাড়া একটি মাত্র অ্যাম্বুলেন্স গত বছরের জুলাই মাসে পরিত্যাক্ত ঘোষণা করা হলেও অদ্যবধি নতুন অ্যাম্বুলেন্স দেয়া হয়নি। এক্সরে মেশিন অপারেটর আব্দুল্লাহ ইবনে ওহাব জানান, এক্সরে মেশিনটি প্রায় অকেজো তাই অনুমানের উপর রিপোর্ট দিতে হয়। বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা উপজেলার চেংগ্রামের গোলাম রাব্বি জানান, মাত্র একজন ডাক্তার বহির্বিভাগে রোগী দেখছেন এতে ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। পার্শ^বর্তী পাঁচবিবি উপজেলার মাঝিনা গ্রামের রেহেনুল ইসলাম রোগীসহ ভর্তিকৃত বিভিন্ন রোগীর স্বজনরা জানান, এখানে আমরা প্রকৃত সেবা পাচ্ছিনা, ডাক্তারের দর্শণ পাওয়া যেন এক সোনার হরিণ পাওয়া। আমরা এ সমস্যাগুলোর দ্রুত সমাধান চাই। হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভারপ্রাপ্ত মেডিকেল অফিসার (আরএমও) সাকিল মাহমুদ জানান, প্রতিদিন ইনডোর ও আউটডোর মিলে ৩শ থেকে ৪শ রোগী দেখতে হচ্ছে। দু’জন ডাক্তার দিয়ে রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। খুব কষ্টসাধ্য হলেও যথাসাধ্য চিকিৎসাসেবা দিচ্ছি। তিনি আরো বলেন, আমাদেও অত্যাধুনিক

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App