×

মুক্তচিন্তা

ডিএনসিসি উপনির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হোক

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০৯:০৯ পিএম

আজ ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র পদের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ। বিএনপি এই নির্বাচনে অংশ না নেয়ায় ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস নেই। প্রথমবার উপনির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণা করেছিল। কিন্তু ৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর পরিস্থিতি পাল্টে যায়। একাদশ সংসদ নির্বাচনে জালজালিয়াতির অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি।

জানা গেছে, মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম নৌকা প্রতীক, জাতীয় পার্টি জাপার লাঙ্গল প্রতীকে শাফিন আহমেদ, আম প্রতীক নিয়ে এনপিপির আনিসুর রহমান দেওয়ান, স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রহিম টেবিল ঘড়ি প্রতীক নিয়ে এবং পিডিপির শাহীন খান বাঘ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ঢাকা উত্তর সিটির ৫৪টি ওয়ার্ডে মেয়র পদে এবং উত্তর ও দক্ষিণ সিটির নতুন ৩৬টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ভোট হবে। ভোটগ্রহণ এবং পরবর্তী পর্যায়গুলো সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্নভাবে সম্পন্ন হোক এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

২০১৭ সালে লন্ডনের ওয়েলিংটন হাসপাতালে মারা যান ডিএনসিসির মেয়র আনিসুল হক। আনিসুল হকের মৃত্যুতে ডিএনসিসির মেয়র পদটি শূন্য হয়। আইন অনুযায়ী ইসি গত বছরের ৯ জানুয়ারি এ পদে উপনির্বাচন এবং ডিএনসিসিতে নতুন যুক্ত ১৮টি ওয়ার্ডে সাধারণ নির্বাচন এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে যুক্ত হওয়া ১৮টি ওয়ার্ডের নির্বাচনের তফসিল দেয়। ওই বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি ভোট হওয়ার কথা ছিল।

ঘোষিত তফসিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে পৃথক দুটি রিট করেন দুই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান। আলাদা রিট মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত গেল বছর ১৭ জানুয়ারি ডিএনসিসি নির্বাচনের তফসিলের কার্যকারিতা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন।

পরবর্তী সময় আরো ছয় মাসের জন্য নির্বাচন কার্যক্রম স্থগিত করেন আদালত। ইতিবাচক বিষয় হচ্ছে, সব জটিলতা কাটিয়ে আজ ভোট হচ্ছে। এই ক্ষেত্রে বিএনপিকে নির্বাচনে আনা গেলে আরো বেশি অর্থবহ হতো। ভোট নিয়ে উত্তাপ না থাকলেও নির্বাচনের পুরো প্রস্তুতি রেখেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, সংসদ নির্বাচনের মতো সুষ্ঠু ভোট চান সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও।

সুষ্ঠু-সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের যেমন, তেমনি অংশগ্রহণকারী প্রার্থী, ভোটার এবং সমর্থনদানকারী রাজনৈতিক দলগুলোরও দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রত্যাশা করছি আমরা। নির্বাচনে প্রার্থীদের জয়-পরাজয় থাকবে, ভোটারদের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে তা খোলামনে মেনে নেয়াই গণতন্ত্রের শিক্ষা হওয়া উচিত।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App