×

মুক্তচিন্তা

প্রকাশনা শিল্পে অনাসৃষ্টির দৌরাত্ম্য রোধে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০৯:১৯ পিএম

প্রকাশনা জগতে যারা আসবেন তাদের এই শিল্পের নিয়মনীতি মেনেই চলার নীতি অনুসরণ করতে হবে। তারা অবশ্যই ব্যবসা করবেন, কিন্তু সেই ব্যবসায় নীতি-নৈতিকতা থাকতে হবে। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে সহায়তা করা শিল্প-সাহিত্য, জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চাকে এগিয়ে নেয়াই হবে প্রকাশনা জগতের কাজ। কিন্তু এখন এই জগতের ভেতরে যেসব অন্ধকার বিরাজ করছে, যেসব অপশক্তির দৌরাত্ম্য চলছে, ঠগবাজির রাজত্ব চলছে, সেসবকে প্রতিহত করতে একমাত্র রাষ্ট্রই কঠোর হতে পারে, একজন লেখক বা গবেষক কোনো মাফিয়া প্রকাশকের সঙ্গে হেঁটে উঠতে পারবেন না।

২৮ ফেব্রুয়ারি শেষ হচ্ছে বাংলা একাডেমির আয়োজনে মাসব্যাপী বইমেলা। বইমেলা এখন বাংলা একাডেমির প্রাঙ্গণ ছেড়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেও প্রসার ঘটিয়েছে। প্রতি বছরই এর শ্রীবৃদ্ধি ঘটছে। এ বছর আগের বছরের চেয়ে অনেক বেশি সুশৃঙ্খল বলে ক্রেতা-দর্শকরা অভিমত প্রকাশ করছেন। মেলায় স্টলের সংখ্যাও প্রতি বছর বাড়তে বাড়তে এখন হাজার ছুঁই ছুঁই করছে। মেলায় নতুন বইও এসেছে ৫ হাজারের অধিক।

ক্রেতা-দর্শনার্থী মিলিয়ে এবারের মেলা বেশ জমজমাটই হয়েছে। মানুষের বিকেলটা বইমেলার মতো বিশাল পরিসরে ঘুরে বেড়ানোর কিংবা বই-পুস্তক কেনা বা নেড়েচেড়ে দেখার একটা সুযোগ ঘটে। আড্ডা দেয়ারও একটা অবকাশ ঘটে। সব মিলিয়ে ঢাকায় প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে একুশের বইমেলা এখন মাসব্যাপী মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। পশ্চিম বাংলা থেকেও অনেকে এই মেলায় ছুটে আসেন বই দেখতে, বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে সাক্ষাৎ পেতে।

দুই বাংলারই বাংলা ভাষাভাষী মানুষের কাছে ঢাকার বইমেলা বেশ প্রতীক্ষার বিষয়, ছুটে আসার বিষয়। ঢাকার বইমেলা মানুষকে কতটা আকর্ষণ করে তা ঘনিষ্ঠভাবে দেখলে দেখা যায় সুদূর অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, ইউরোপ, কানাডা, আমেরিকা থেকেও অনেকেই ছুটে আসেন, নতুন নতুন বই হাতে তুলে নেন, সংগ্রহ করেন, বিদেশে নিয়েও যান।

একুশের বইমেলাকে কেন্দ্র করে ঢাকার প্রকাশনা জগৎ নতুন নতুন বই নিয়ে হাজির হওয়ার প্রস্তুতি নেয়। কোনো কোনো প্রকাশনা সংস্থা শতাধিক নতুন বই মেলায় নিয়ে আসে। সব মিলিয়ে ৫ হাজার বই যদি এবার প্রকাশ হয়ে থাকে তাহলে এটিকে নিয়ে অনেকেই হয়তো গর্ব করবেন। কিন্তু ১৬ কোটি মানুষের এ দেশে বছরে নতুন ৫ হাজার বই মোটেও দৃশ্যমান হওয়ার ব্যাপার নয়।

এর মধ্যে বেশিরভাগ বই-ই খুব একটা মানসম্মত বলে দাবি করার কোনো কারণ নেই। আবার মৌলিক বইয়ের কথা চিন্তা করলে হতাশ হওয়ারই খবর শুনতে হবে। যেসব বই বের হচ্ছে সেখানে কবিতা, গল্প, উপন্যাস, ভ্রমণ কাহিনী ইত্যাদির বাইরে বইয়ের সংখ্যা হাতেগোনা। কবিতা, গল্প ও উপন্যাসের বেলাতেও দৃষ্টিনন্দন, সুখপাঠ্যকর, রুচিশীল শিল্প-সাহিত্যের চর্চা খুব কমই চোখে পড়ে। বেশিরভাগ প্রকাশকই মানসম্মত বই প্রকাশের উদ্যোগ নেন- এমনটি দাবি করা খুব সহজ হবে না।

অনেক বোদ্ধা পাঠকই অভিযোগ করেন, মেলা নিয়ে যত উচ্ছ্বাস, প্রচার-প্রচারণা হয় সেই পরিমাণ ভালো বই মেলায় চোখে পড়ে না। এই অভিযোগ একেবারেই উড়িয়ে দেয়ার নয়। মেলার প্রসার ঘটেছে, নতুন নতুন বইয়ের সংখ্যা বেড়েছে, কিন্তু মানসম্মত বই বাড়েনি- এটি প্রায় নির্দ্বিধায় সবাই বলছেন। সে কারণে মেলায় এখন বোদ্ধা পাঠকদের খুব বেশি আকর্ষণ করে না। তারা যখন কোনো ভালো বইয়ের খবর পান তখনই কেবল সংগ্রহ করতে চেষ্টা করেন।

এমন বাস্তবতা মেলার বিকাশে খুব সহায়ক হবে বলে মনে করি না। অথচ এই মেলা উদ্বোধন করতে আসেন সরকারের প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদ, দেশের শীর্ষস্থানীয় লেখক, সাহিত্যিক ও বুদ্ধিজীবীরা। বিভিন্ন টিভি চ্যানেল প্রতিদিন মেলার ধারাভাষ্য প্রচারও করে থাকে, পত্রপত্রিকাগুলো পেছনের পাতায় মেলা ও বইয়ের খবর মাসজুড়েই দিতে থাকে।

এত গুরুত্ব পাওয়া মেলা থেকে যদি আমরা জ্ঞান-বিজ্ঞান, প্রকৃতি, সমাজ, রাষ্ট্র, রাজনীতি, অর্থনীতি, শিক্ষা, সংস্কৃতি, প্রযুক্তি ইত্যাদি মৌলিক জ্ঞান ও তাত্ত্বিক চিন্তার উৎকর্ষ সাধনে সহায়ক নতুন নতুন গ্রন্থ না পেয়ে থাকি, একুশ শতকের এই সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার মতো বই-পুস্তক না দিতে পারি, তাহলে আমাদের সব আয়োজনই ব্যর্থ হতে বাধ্য।

বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের নীতিনির্ধারক মহল বাংলা একাডেমি, প্রকাশনা জগৎ, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকেই গভীরভাবে ভাবতে হবে, করণীয় নির্ধারণ করতে হবে। মেলায় দৃশ্যমান প্রকাশনা নিয়ে যেই হতাশা, অপূর্ণতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে তা অচিরেই চিহ্নিত করতে হবে, একইভাবে রোধ করার উদ্যোগও নিতে হবে।

তাহলেই আমাদের প্রকাশনা জগৎ থেকে সমাজ ও নতুন প্রজন্ম মেধা-মননে লাভবান হতে পারবে। নতুবা আমরা চরম এক ধাপ্পাবাজিতে পড়ে যাব- যার লক্ষণ এর মধ্যেই দেখা যাচ্ছে।

আমাদের প্রকাশনা জগতে একসময় খুব ত্যাগী, চিন্তাশীল মহৎ এবং জ্ঞান চর্চা প্রসারের উদ্যোগেই মানুষ এসেছিলেন। তাদের হাত ধরে শিল্প-সাহিত্য এবং জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার অল্প-বিস্তর বই প্রতি বছর প্রকাশিত হয়েছে। আমাদের সাহিত্যপ্রেমীরা যেমনিভাবে ক্লাসিক্যাল সাহিত্যের দিকপাল এবং নতুন নতুন প্রতিশ্রুতিশীলদের গ্রন্থ পেতেন, একইভাবে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা নানা বিষয়ের কিছু কিছু মৌলিক বই কেনার সুযোগ পেতেন।

এসব বই প্রায় সবার হাতেই দেখা যেত। নতুন সাড়া জাগানো বইয়ের খোঁজ প্রায় সবাই পেয়ে যেতেন। অনেকেই তা সংগ্রহ করতেন। প্রকাশনা জগৎ সেই সময় আমাদের মেধা-মনন, শিক্ষা, শিল্প-সাহিত্য ও জ্ঞান-বিজ্ঞানকে প্রসারিত করতে ভূমিকা রেখেছিল। বলতে দ্বিধা নেই, তখন এই পূর্ব বাংলায় শিক্ষিত মানুষের সংখ্যা তত বেশি ছিল না। সুতরাং প্রকাশনা জগৎও অনেক বড় পরিসরের ছিল না।

তারপরও প্রতিটি জেলা ও মহুকুমা শহর, এমনকি থানা শহরেও বই-পুস্তক বিক্রির কেন্দ্র ছিল, পাঠের লাইব্রেরি গ্রামাঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়েছিল। যারা বই কিনতে পারতেন না তারা লাইব্রেরি থেকে সংগ্রহ করতেন কিংবা সেখানে বসে পাঠ করে আসতেন। বই-পুস্তক মানুষের কাছে আকর্ষণীয় ছিল। স্বাধীনতা-উত্তর বাংলা একাডেমিকে কেন্দ্র করে প্রথম বইমেলা একেবারেই জীর্ণশীর্ণভাবে শুরু হয়েছিল।

এরপর বাংলাদেশে শিক্ষা-সংস্কৃতি প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে বই-পুস্তকের চাহিদা বাড়তে থাকে, পাঠ্যপুস্তকের বাইরেও শিল্প-সাহিত্যের বই-পুস্তকের চাহিদা বাড়তে থাকে। সেখান থেকেই মেলার প্রসার, প্রকাশনা জগতের প্রসারে নানা ধরনের বই-পুস্তক আসতে থাকে। এ ক্ষেত্রে সমজদার প্রকাশক যেমন প্রকাশনা জগতে ঠাঁই করে নিলেন, একই সঙ্গে নেহাত আলু, পটোল, তরিতরকারি বিক্রেতা-মানের প্রকাশকও এই জগতে ঢুকে পড়ে। দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, সামাজিক, নানা শক্তির উদয় ইত্যাদির সঙ্গে এই জগতের অনেকেরই নানা ধরনের সংশ্লিষ্টতা ঘটতে থাকে।

অনেক প্রকাশকই বই-পুস্তকের জগতে নানা ধরনের ব্যবসা-বাণিজ্যের ফাঁকফোকরে ঢুকে পড়েন। সরকারের এনসিটিবির পাঠ্যপুস্তক প্রকাশনা, ক্রয়-বিক্রেতা ইত্যাদিতে জড়িয়ে বেশ বড় ধরনের ‘প্রতিষ্ঠান’ গড়ে তুলেছে। রাজনৈতিক মহলেও তাদের অনেকেরই সংশ্লিষ্টতা ঘটেছে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠানের বই-পুস্তক কেনাবেচাতে তাদের লাভালাভের পথ খুলেছে। অনেকেই আর্থিকভাবে যেমনি বিশাল কারবারিতে পরিণত হয়েছেন, প্রভাব বিস্তারেও তাদের দৌরাত্ম্য সত্যিকার প্রকাশনা জগৎকে চিরায়ত মহৎ শিল্পের জগৎ থেকে ঠেলে দিয়েছে।

এদের অনেকেই বই-পুস্তকের পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গাইডবই-নোটবইয়ের ব্যবসাকে এতটাই বিস্তৃত করেছে যে, দেশের গোটা শিক্ষা ব্যবস্থাই এখন এসব গাইডবই-নোটবইয়ের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। বিনিময়ে বিভিন্ন প্রকাশনা সংস্থা বিপুল অর্থকড়ির মালিক বনেছে। অন্যদিকে বেশকিছু প্রকাশনা সংস্থা একুশের বইমেলাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন লেখক, গবেষকের কাছ থেকে পাণ্ডুলিপি সংগ্রহ করে, সেগুলো প্রকাশ করে, কিন্তু বেশিরভাগ প্রকাশকই লেখক, গবেষকদের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক রাখেন না।

বাংলাদেশের প্রকাশনা জগতে কিছু সংখ্যক ব্যতিক্রম ছাড়া বেশিরভাগ প্রকাশকই লেখকদের কাছ থেকে বই নিয়ে ব্যবসা করেন। কিন্তু লেখকদের সঙ্গে তারা প্রতারণা, মিথ্যাচার ও ঠগবাজি করতে মোটেও দ্বিধা করেন না। এর ফলে ভালো লেখক, গবেষক লেখালেখিতে উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন। দেশে মানসম্মত বই-পুস্তক প্রকাশিত হওয়ার ক্ষেত্রে বড় ধরনের বাধা হিসেবে প্রকাশনা জগতের এ ধরনের প্রকাশকদের কাণ্ডকীর্তি প্রধান হিসেবে কাজ করছে।

প্রকাশকদের অনেকেই এখন নতুন নতুন কবি, সাহিত্যিক ও লেখকদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে বই প্রকাশ করেন। বইমেলাতে এ ধরনের বইয়ের সংখ্যা একেবারেই কম নয়। অনেক তরুণ কবি, সাহিত্যিক ও লেখক তাদের প্রবঞ্চনার কথা চেপে রাখছেন। আর প্রকাশকরা তাদের পুঁজি নিয়েই ব্যবসা করছেন। এ এক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি। বইমেলাতেও এ ধরনের প্রকাশকের উপস্থিতি মোটেও কম নয়।

ফলে আমাদের গোটা প্রকাশনা জগৎ নিয়েই খোলামেলা আলোচনা করতে হবে। সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়কে দেশের প্রকাশনা শিল্পের নিয়মনীতি, আইন ও শৃঙ্খলা মেনে চলার উদ্যোগ নিতে হবে। প্রকাশনা জগতে যারা আসবেন তাদের এই শিল্পের নিয়মনীতি মেনেই চলার নীতি অনুসরণ করতে হবে। তারা অবশ্যই ব্যবসা করবেন, কিন্তু সেই ব্যবসায় নীতি-নৈতিকতা থাকতে হবে। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে সহায়তা করা শিল্প-সাহিত্য, জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চাকে এগিয়ে নেয়াই হবে প্রকাশনা জগতের কাজ।

কিন্তু এখন এই জগতের ভেতরে যেসব অন্ধকার বিরাজ করছে, যেসব অপশক্তির দৌরাত্ম্য চলছে, ঠগবাজির রাজত্ব চলছে, সেসবকে প্রতিহত করতে একমাত্র রাষ্ট্রই কঠোর হতে পারে, একজন লেখক বা গবেষক কোনো মাফিয়া প্রকাশকের সঙ্গে হেঁটে উঠতে পারবেন না। আধুনিক যে কোনো রাষ্ট্রে প্রকাশনা জগতে সরকার নিয়মকানুন বেঁধে দেয়। প্রকাশনা জগতে যারা ব্যবসা করতে আসছেন, তারা সেসব নিয়মকানুন মেনেই চলেন, ব্যবসাও করেন।

উন্নত দুনিয়ার প্রকাশনা সংস্থা কতটা মানসম্মত বই প্রকাশের নিয়ম অনুসরণ করে, লেখক-গবেষকের সম্মানী পাই পাই করে প্রদান করার ব্যবস্থা করে, তা আমাদের অনেকেরই জানা আছে। সে কারণে সেসব দেশে মানসম্মত বই প্রকাশিত হচ্ছে, বিভিন্ন দেশে সেসব বই রপ্তানি হচ্ছে, দেশগুলো বই বিক্রি থেকে বিপুল অর্থকড়ি আয় করছে, লেখক-গবেষক তৈরি হচ্ছেন, পাঠকও তৈরি হচ্ছেন।

আজকের দুনিয়ায় মোবাইল নিয়ে আমাদের দেশে তরুণদের বড় অংশকে যেভাবে পড়ে থাকতে দেখা যায়, বই-পুস্তক তাদের যেভাবে আকর্ষণ করতে পারছে না বলে আমরা দেখছি পশ্চিমের দুনিয়ায় তা কিন্তু ঘটছে না। সেখানে শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার চমকপ্রদ সব তথ্য ও গবেষণা নিয়ে লেখা বই-পুস্তক দেদার বিক্রি হচ্ছে, পাঠকরা পড়ছেন- সেটি সত্যি ভাবার বিষয়।

মননশীল বই না পড়লে দেশ ও জাতি চিন্তাশীল হবে কীভাবে। সুতরাং আমাদের নতুন প্রজন্মের ভবিষ্যৎ ভাবনাকে মেধা-মননে সহায়ক পথে পরিচালিত করতে হলে আমাদের বই-পুস্তক প্রকাশনার জগৎকে সৃষ্টিশীল, মননশীল ও জ্ঞান-বিজ্ঞানে উদ্ভাবনী ক্ষমতায় আকর্ষণ করার পথেই অগ্রসর হতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। সেই দায়িত্ব সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, বাংলা একাডেমি এবং প্রকাশনা জগতের বোদ্ধাদের এক সঙ্গেই নিতে হবে।

মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী : অধ্যাপক, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App