অজ্ঞাত রোগে একই পরিবারের ৫ জনের মৃত্যু!
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১০:৩৭ পিএম
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় ১৫ দিনের ব্যবধানে অজ্ঞাত রোগে একই পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। ১৫ দিনের ব্যবধানে তাদের মৃত্যু হয়।
মৃত্যুর আগে আক্রান্তরা শারীরিক যন্ত্রণায় ছোটাছুটি করেছিল। এই ভয়ে অনেকে এলাকা ছাড়ছেন।
মৃত ব্যক্তিরা হলেন- উপজেলার ধনতলা ইউনিয়নের ভাণ্ডারদহ গ্রামের নয়াবাড়ি মহল্লার তাহের আলী (৬৫), তার স্ত্রী হুসনে আরা (৫২), ছেলে ইউসুফ আলী (২৭) ও মেহেদী হাসানকে (২৫) এবং জামাই হাবিবুর রহমান (২৯)।
স্থানীয় সূত্র জানায়, তাহের আলী ও তার স্ত্রী দুই দিনের ব্যবধানে মারা যান। এর কয়েক দিন পর মেয়েজামাই হাবিবুর মারা যান। রোববার সকালে ইউসুফের মৃত্যু হয়। ইউসুফের ছোট ভাই মেহেদী হাসানকে (২৫) মুমূর্ষু অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রোববার রাতে তিনিও মারা যান।
লাহিড়ী বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাসুদ করিম বলেন, তিনি ইউসুফের জানাজায় অংশগ্রহণের পর ভয়ে ওই গ্রাম ছেড়েছেন। একই কথা জানান কৃষক আবদুল জব্বার।
এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সমর কুমার চ্যাটার্জি বলেন, আক্রান্তদের ঠাকুরগাঁওয়ে চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ করা যাচ্ছে না।
তিনি জানান, অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত মেহেদীকে মুমূর্ষু অবস্থায় অ্যাম্বুলেন্সে করে বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। আক্রান্তরা জ্বর ও বুক জ্বালা ভুগছিলেন। এ ছাড়া সাড়া শরীরে ব্যথা ও জ্বালা শুরু হলে নগ্ন হয়ে ছোটাছুটি করত। কিছুদিন পর আক্রান্তরা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি মোসাবেবরুল হক বলেন, মেহেদীর রক্ত, মলমূত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে রোগ নির্ণয় করছেন রংপুরের চিকিৎসকরা।
ঠাকুরগাঁও ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. শাহনেওয়াজ ফোনে বলেন, রোগ নির্ণয়ের কাজ শুরু হয়েছে। তবে ভয়ের কারণ নেই। স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীরা দুর্গত এলাকায় নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন।