×

জাতীয়

দেশের জনগণ ভালো থাকলে কিছু মানুষ অসুস্থ হয়ে যায়: প্রধানমন্ত্রী

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০৭:২৮ পিএম

দেশের জনগণ ভালো থাকলে কিছু মানুষ অসুস্থ হয়ে যায়: প্রধানমন্ত্রী

বক্তৃতা করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা/ ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনগণ ভালো থাকলে কিছু মানুষ অসুস্থ হয়ে যায়: প্রধানমন্ত্রী

বক্তৃতা করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা/ ছবি: সংগৃহীত

বাঙালির ওপর পাকিস্তানিদের দমন-পীড়নের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সেই সময়ের মতো এখনো ষড়যন্ত্র অব্যাহত আছে। বাংলাদেশের জনগণ ভালো থাকলে কিছু মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ে। দেশে যদি কোনো মার্শাল ল’ জারি হয়, অসাংবিধানিক শক্তি ক্ষমতা দখল করে, তখন তারা খুব শান্তিতে থাকে। কারণ তারা ক্ষমতার বাতাস পায়। সে আশায় তারা জনগণের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলে।

আজ শুক্রবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বক্তৃতার শুরুতেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করেন। তিনি উল্লেখ করেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বেই ভাষা আন্দোলন শুরু হয়, যার ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের স্বাধীনতায় তিনি নেতৃত্ব দেন।

মাতৃভাষার জন্য রক্ত দেওয়া জাতি বিশ্বের মধ্যে কেবল বাঙালিই জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে এই বাংলা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। আমাদের সবথেকে গৌরবের, ভাষার জন্য রক্ত দেওয়া। সেই মাতৃভাষার ওপর বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ একটি ভাষাভিত্তিক রাষ্ট্র।

১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে জাতিকে নিঃশেষ করে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ’৭৫ এর পর যারা ক্ষমতায় এসেছিল, তারা বাংলা ভাষা, সংস্কৃতি, সাহিত্য, এমনকি এ জাতির অস্তিত্বেই বিশ্বাস করতো না। সেজন্য তারা যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন কোনো উন্নতি-অগ্রযাত্রা হয়নি এদেশের। আর যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতে পারলো, তখনই দেশ ও জনগণের ভাগ্যোন্নয়ন হয়েছে। সেজন্য কৃতজ্ঞতা জানাই জনগণের প্রতি।

তবে ২০০১ সালের নির্বাচনের পর বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এসে যে অত্যাচার-হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে, তা একাত্তর সালের হানাদারদের মতো বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচন ঠেকানোর নামে তাদের সে তাণ্ডব, জঙ্গিবাদী আচরণ, আগুন দিয়ে জীবন্ত মানুষ পুড়িয়ে পুড়িয়ে হত্যা- সেই ভয়াবহ স্মৃতি সবার মনে আছে। তাদের জনগণ ভোট দেবে কেন? ৫০০ এর মতো মানুষ মারা গেছে। যারা মানুষ পুড়িয়েছে, তাদের জনগণ ভোট দেয়নি। যারা নির্বাচনের মনোনয়ন নিলামে উঠিয়েছে, একটি দেশের হাইকমিশন থেকে মনোনয়ন নিতে হয়েছে যাদের, তাদের জনগণ ভোট দেয়নি। সবথেকে বড় কথা হলো, তারা যুদ্ধাপরাধীদের মনোনয়ন দিয়েছে। এদেশের মানুষ যুদ্ধাপরাধীদের ভোট দেবে না, দেয়নি।

টানা তিনবারের মতো আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে সরকার গঠনের সুযোগ দেওয়ায় জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, এখন দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা এদেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় রূপান্তর করবো।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App