×

জাতীয়

সরিষাবাড়ীর অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পালিত হয় না আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১২:৫৬ পিএম

সরিষাবাড়ীর অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পালিত হয় না আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই। যার কারনে অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পালিত হয়না আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস সহ অন্য সব দিবস গুলো। কোনো কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অস্থায়ী শহীদ মিনার দিয়ে পালিত হয় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। ভাষা আন্দোলনের ৬৭ বছর পার হলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে শহীদ মিনার নির্মিত না হওয়ায় ভাষা শহীদদের প্রতি যথাযথ ভাবে শ্রদ্ধা জানাতে পারছে না এসব বিদ্যালয়ের হাজার হাজার শিক্ষার্থীরা। বির্শ্বের বিভিন্ন দেশে দিবসটি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হলেও সরিষাবাড়ীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয় স্থানীয় ভাবে তৈরি করা কলাগাছ কিংবা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি শহীদ মিনার দিয়ে। কোনো কোনো বিদ্যালয়ে সেটাও করা হয় না। সরিষাবাড়ী উপজেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস স‚ত্রে জানা যায়, উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ১৩৫ টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৪৪ টি, মাদ্রাসা ২২ টি, কারিগরি ও কলেজ ১১ টি। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কতটিতে শহীদ মিনার রয়েছে তার কোনো তথ্য জানাতে পারেননি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার পিংনা সুজাত আলী অনার্স কলেজ, পিংনা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, বগারপাড় উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রসপাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গোবিন্দপটল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গোয়ালবাথান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চেচিয়াবাধা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, পলিশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তারাকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পোগলদিঘা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম বয়ড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বগারপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সহ একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই। ফলে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার শিক্ষার্থীরা প্রত্যেক বছর ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারে না। কোনো কোনো বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অন্য স্থানে গিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। এভাবে বছরের পর বছর যায় তবু শহীদ মিনার নির্মাণ হয় না এসব বিদ্যালয়ে। যেসব প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার আছে সেগুলোও অযত্ন ও অবহেলায় পড়ে থাকে বছরের বেশির ভাগ সময়ই। শুধু মাতৃভাষা দিবস সহ অন্যান্য দিবস আসলে পরিষ্কার করা হয় । পোগলদিঘা ইউনিয়নের ১৩নং চেচিয়াবাধা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা আকলিমা খাতুন বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ে কোনো শহীদ মিনার নেই। তাই মাতৃভাষা দিবসে আমরা স্কুলের পাশের একটি মসজিদের শহীদ মিনারে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মিলে পুষ্পমাল্য অর্পণ করি। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ মোজাম্মেল হক বলেন, আমরা সব বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে চিঠির মাধ্যমে শহীদ মিনার তৈরি ও মাতৃভাষা দিবস পালন করার জন্য বলা হয়েছে। যদি কোনো বিদ্যালয় মাতৃভাষা দিবস পালন না করে তবে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল হালিমের ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে একাধিক বার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমি ইতি মধ্যেই জেনেছি। আর এসব আন্তর্জাতিক দিবস গুলোর আয়োজন বিদ্যালয় গুলোতে কেন হয় না তা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে সরেজমিন তদন্তকরতে বলা হয়েছে। এছাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গুলোতে বাজেট না পাওয়ার কারনে তারা শহীদ মিনার তৈরি করতে পারছে না। তবে এ বিষয় গুলো উল্লেখ করে লিখিত আকারে মন্ত্রানালয়ে আমরা চিঠি পাঠাবো।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App