×

জাতীয়

চারজন ডাক্তার দিয়ে চলছে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০২:০৯ পিএম

চারজন ডাক্তার দিয়ে চলছে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তার সংকট, এক্সরে মেশিন বিকলসহ চিকিৎসা সংকটে উপজেলার ৩লক্ষাধিক মানুষ। ৪জন ডাক্তার দিয়ে চলছে চিকিৎসা সেবা। ৫০ শর্য্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল হলেও পূর্বের ৩১শর্য্যার জনবল নিয়েই কার্যক্রম চলছে। ৫০শর্য্যায় নতুন ভবন উদ্বোধন করা ২০১১সালে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩৩টি পদের মধ্য ২৫টি পদই শূন্য। দায়িত্বে রয়েছে ৮জন তার মধ্যে ৪জন পেশনে ঢাকায় রয়েছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্বে রয়েছেন পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সৈয়দ আবু আহম্মেদ শাফী। ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে রয়েছেন ডাঃ সাব্বির আহম্মেদ। উপজেলায় ৮টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভাসহ ৩লক্ষাধিকের বেশী মানুষ বসবাস করে। এছাড়াও পার্শ্ববর্তী রাজীবপুর ফুলছড়ি উপজেলার রোগীরাও চিকিৎসা সেবা নিতে আসে দেওয়ানগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। জানা গেছে. ডাক্তার সাকোয়াত হোসেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পেশনে। ডাক্তার ইসরাত জাহান কাকন, ডাঃ মুর্শিদা ইয়াসমিন জামালপুর শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের দীর্ঘদিন ধরে পেশনে রয়েছেন। বিলভাতা উত্তোলন করছেন দেওয়ানগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে। বহিঃ বিভাগে কোন ডাক্তার না থাকায় চিকিৎসা সেবা নিতে আসা লোকজন বাধ্য হয়ে উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারের কাছ থেকে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন। বহিঃবিভাগে দৈনিক ২শতাধিক রোগীর সেবা প্রদান করা হয়। আরএমও, ইউনিয়ন কলসালটেন্ড এনেসথেসিয়া, জুনিয়র কলসালটেন্ড সার্জারী, জুনিয়র কলসালটেন্ড মেডিসিন, জুনিয়র কলসালটেন্ড কার্ডিওলজি, জুনিয়র কলসালটেন্ড চর্ম ও যৌন, জুনিয়র কলসালটেন্ড চক্ষু, জুনিয়র কলসালটেন্ড শিশু, জুনিয়র কলসালটেন্ড অর্থপেডিক, জুনিয়র কলসালটেন্ড ইএনটি, মেডিকেল অফিসার ইএমও, সহকারী সার্জন হোমিও মেডিকেল অফিসার পদ থাকলেও পদ গুলি শূন্য রয়েছে। স্বাস্থ্য কমেপ্লক্সের অপারেশন থিয়েটর অত্যাধুনিক সব ব্যবস্থা রয়েছে। বেশকিছু সিজারসহ অপারেশন হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘদিন জুনিয়র কলসালটেন্ড গাইনী ডাঃ রিফাত রহিম পেশনে রেলওয়ে কমলাপুর হাসপাতালে থাকায় এবং এনেসথেসিয়া ডাক্তার না থাকায় সিজারিয়ান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছেন। এসব রোগীকে জেনারেল হাসপাতালে বা প্রাইভেট ক্লিনিকে যাইতে হয়য়। গাইনী চিকিৎসক না থাকায় চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন নারী। সাধারণ মানুষ হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা না পেয়ে বাধ্য হয়ে বেসরকারি ক্লিনিক গুলোতে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন। বেসরকারি ক্লিনিকে অদক্ষ প্যাথলজিষ্ট দিয়ে পরীক্ষা নিরিক্ষা করায় প্রতিনিয়তই বিপাকে পরছে ভুক্তভোগীরা। ভুল চিকিৎসার শিকার হচ্ছে সরল সহজ মানুষগুলো। এদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে মোটা অংকের অর্থ। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্সরে মেশিন থাকলেও প্রায় সময় বিকল হয়ে থোকে। জেনারেটর থাকলেও নামে মাত্র জেনারেটর রয়েছে। এতে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত উপজেলার ৩লক্ষাধিক জনগোষ্ঠী। এব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার সৈয়দ আবু আহাম্মেদ শাফী এ প্রতিনিধিকে জানান. চারজন ডাক্তার দিয়ে ৩লক্ষাধিক মানুষের চিকিৎসা সেবা দেওয়া কঠিন ব্যাপার। উপজেলা ইউনিয়ন উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলোতে নেই কোন ডাক্তার। এব্যাপারে স্থানীয় এমপি সাবেক তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ বলেন. দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের জন্য ডাক্তার চেয়ে আমি বেশ কয়েকবার কথা বলেছি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App