×

জাতীয়

পারিবারিক দ্বন্দ্বে চৌগাছায় যুবলীগ নেতা বারিককে হত্যা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০৪:৩৮ পিএম

পারিবারিক দ্বন্দ্বে চৌগাছায় যুবলীগ নেতা বারিককে হত্যা
যশোরের চৌগাছায় যুবলীগ নেতা আব্দুল বারিক (৪৫) হত্যা কোন রাজনৈতিক ঘটনা না, পারিবারিক জমিজমা সংক্রান্ত দ্বন্দ্বের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। তবে, এ হত্যা ঘটনাকে একটি পক্ষ দলীয় কোন্দল হিসাবে তুলে আনার অপচেষ্টা করছেন বলে স্থানীয়দের মন্তব্য। দীর্ঘদিনের পারিবারিক জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে চাচাত ভাইদের সাথে দ্বন্দ্ব ছিল নিহত আব্দুল বারিক পরিবারের। নিহত বারিক ফুলসারা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চারাবাড়ি গ্রামের আজিজুর রহমানের ছেলে। এ হত্যায় এখনও কোন মামলা রেকর্ড হয়নি। এ ঘটনায় নিহতের ভাই আনিছুর রহমান (৪০) মারাত্মক আহত হয়। গত রোববার সকাল সাড়ে দশটার দিকে ফুলসারা ইউনিয়নের চারাবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ হত্যা ঘটনায় পুলিশ এখনও পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে পারিবারিকভাবে দীর্ঘদিন দ্বন্দ্ব ছিল। হামলাকারীরা একই গোষ্টির চাচত চাচাত ভাই। স্থানীয়ভাবে একাধিকবার তাদের জমিজমা নিয়ে দ্বন্দ্ব মিমাংসার চেষ্টা করা হলেও সেটি মেটেনি। এসব ঘটনায় আদালতে উভয়পক্ষের দায়ের করা কয়েকটি মামলা চলমান রয়েছে। ফুলসারা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সাবেক চৌগাছা থানা আওয়ামীলীগৈর প্রচার সম্পাদক আব্দুল মান্নান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এটা কোন রাজনৈতিক হত্যাকান্ড নয়, পারিবারিক দ্বন্দ্ব। যে ডোবায় নিয়ে তাদের মধ্যে দ্ব›দ্ব ছিল নিহত বারিক ও আহত আনিছুর সেখানে মাছ ধরছিল। এসময় প্রতিপক্ষরা তাদের মাছ ধরতে নিষেধ করায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এতে উভয়ের মধ্যে বাকবিতন্ডের একপর্যায়ে বারিক নিহত হয়। চৌগাছা থানার সেকেন্ড অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) এসএম আকিকুল ইসলাম বলেন, নিহত ও হামলাকারীদের বিরুদ্ধে পরস্পর বিরোধী একাধিক মামলা রয়েছে। স্থানীয়ভাবে একাধিকবার মিমাংসার চেষ্টা করা হলেও সেটি মেটেনি। পূর্ব শত্রু তার জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষে এখনও পর্যন্ত কোন এজাহার পাওয়া যায়নি। নিহতের ভাই আবুল বাশার সাংবাদিকদের জানান, দুইভাই আব্দুল বারিক ও আনিছুর রহমান ডোবায় মাছ ধরছিলেন। এসময় নান্নু, জুলু, আরিফসহ কয়েকজন তাদের ভাইয়ের উপর হামলা করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় তাদের হাসপাতালে আনা হয়। চৌগাছা হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আব্দুল বারিককে মৃত ঘোষণা করেন। তার সহোদর আনিছুর রহমানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে রেফার্ড করেন। চৌগাছা ৫০ শয্যা হাসপাতালের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার সুরাইয়া পারভীন বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই আব্দুল বারিকের মৃত্যু হয়। আর আনিছুর রহমানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। তিনি জানান, নিহত ও আহত উভয়ের শরীরের একাধিক স্থানে দেশীয় অস্ত্রদিয়ে আঘাত করা হয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App