×

জাতীয়

বাঁধভাঙা উল্লাসে মাতোয়ারা সবাই

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১২:১০ এএম

বাঁধভাঙা উল্লাসে মাতোয়ারা সবাই
বাঁধভাঙা উল্লাসে মাতোয়ারা সবাই
বাঁধভাঙা উল্লাসে মাতোয়ারা সবাই

কুয়াশায় আছন্ন সকালে শান্তির ঘুম উপেক্ষা করে সবাই ভিড় জমাতে থাকেন রাজধানীর সেলিনা পারভীন সড়কের ভোরের কাগজ অফিসের সামনে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লোকে লোকারণ্য গোটা সড়ক। লোকারণ্য হবেই বা না কেন? দিনটি যে ভোরের কাগজ পরিবারের সম্মেলন ও বনভোজনের। বাধভাঙা উল্লাসে হারিয়ে যাওয়ার দিন। প্রতি বছরের ন্যায় এবারো দিনটি সাজানো হয় নানারকম চমক দিয়ে। খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সর্ষে দিয়ে পদ্মার সুস্বাদু ইলিশসহ নানারকম উপাদেয় খাবার আর র‌্যাফেল ড্রর মতো আয়োজন থাকায় দেরি যেন আর সইছিল না কারো।

বেলা শেষেও তৃপ্তির ঢেঁকুর সবার চোখে মুখে। ভোরের কাগজ সম্পাদকসহ সব বিভাগে কর্মরত সদস্য ও তাদের পরিবারের স্বতঃস্ফ‚র্ত উপস্থিতিতে উৎসবে রূপ নেয়া দিনটি যেন গত বছরগুলোর আয়োজনকেও হার মানিয়েছে। তাইতো ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ সীমাহীন আনন্দের এমন দিন বারবার ফিরে আসার অপেক্ষায় রয়েছে গোটা ভোরের কাগজ পরিবার।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানের ঢালি’স আম্বার নিবাসের মনোরোম পরিবেশে এভাবেই অনুষ্ঠিত হয় ভোরের কাগজের পরিবার সম্মেলন ও বনভোজন-২০১৯। অনুষ্ঠানে প্রধান সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন বার্তা সম্পাদক ইখতিয়ার উদ্দিন, প্রধান প্রতিবেদক খোন্দকার কাওছার হোসেন, প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আবদুল করিম সোহাগ, বিজ্ঞাপন ব্যবস্থাপক এস এম এ রাজ্জাক, প্রশাসনিক ব্যবস্থাপক সুজন নন্দী মজুমদার ও সার্কুলেশন ব্যবস্থাপক তছলিম চৌধুরী।

এর আগে সকাল সাড়ে ৮টায় ভোরের কাগজের প্রধান কার্যালয়ের সামনে থেকে ৭টি বাসে যাত্রা শুরু করে ভোরের কাগজ পরিবারের সদস্যরা। বাসের মধ্যেই সবার কাছে পৌঁছে দেয়া হয় সকালের নাস্তা। বেলা ১১টার দিকে রিসোর্টে পৌঁছায় বাস। ভেতরে প্রবেশ করতেই দৃষ্টিনন্দন দৃশ্য সবাইতে মুগ্ধ করে। সবাই বাস থেকেই নেমেই সেলফিবাজিতে মেতে ওঠেন। ঢালি’স আম্বার নিবাসের প্রতিটি কোন এতই সৌন্দর্যমণ্ডিত ছিল, পুরোটা ঘুরে দেখতে কালক্ষেপণ করেননি কেউ। বেলা ১২টার দিকে প্রতিবারের মতো অনুষ্ঠিত হয় ক্রিকেট খেলা। ছেলে ও মেয়েদের আলাদা দুটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় দর্শকরা সব খেলোয়াড়কে উৎসাহ দেন। এরপরই ছেলে ও মেয়েদের হাঁড়ি ভাঙা ও শিশুদের দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। খেলাধুলার আনন্দের মধ্যেই ঘড়ির কাঁটায় ২টা বেজে যায়। সবারই হুঁশ ফেরে দুপুরে খাওয়ার বিষয়ে।

একে একে সবাই মাঠ থেকে বিদায় নিয়ে যায় ডাইনিং রুমে। আগেই জানা ছিল, দুপুরের খাবারে চমক হিসেবে থাকছে পদ্মার বড় ইলিশ। বাস্তবেও সবার পাতে উঠল সরিষা দিয়ে বড় ইলিশের মজাদার পদ। যার অতুলনীয় স্বাদ সবার মন ছুঁয়ে দেয়।

দুপুরের খাবার শেষ করে সবাই ভিড় জমায় চা ও কফি খেতে। চা-কফি হাতেই ‘স্কয়ার টয়লেটরিজের’ সৌজন্যে দেয়া ভোরের কাগজের সদস্যদের জন্য দেয়া কমন গিফট নেয়ার দীর্ঘ লাইনে দাঁড়ান অনেকে। প্রধান প্রতিবেদক খোন্দকার কাওছার হোসেন তালিকা ধরে ধরে সবার গিফট বুঝিয়ে দেন। এর কিছুক্ষণ পরেই ভোরের কাগজের সদস্যদের সন্তানদের ‘বাবুই প্রকাশনী’র সৌজন্যে তুলে দেয়া হয় ছড়া, গল্প ও চিত্রাঙ্কনের বই।

বিকেল ৪টায় শুরু হয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলে সন্ধ্যা সাড়ে ৫টা পর্যন্ত। এরপর র‌্যাফেল ড্রয়ের মাধ্যমে হয় আয়োজনের সমাপ্তি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App